আজঃ রবিবার ১৩ জুলাই, ২০২৫

চেয়ারম্যানের কালো টাকায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন

ফিরোজ আহমেদ প্রতিনিধি আত্রাই নওগাঁ।

নওগাঁ:

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিকের কালো টাকায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

৮ জুন শনিবার গত ২৯ মে নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান পলাশ, আলমগীর হোসেন বাবর, মমতাজ বেগম, সনৎ কুমার প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান আফছার আলী প্রামানিকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক ও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া প্রার্থী আক্কাছ আলী।লিখিত বক্তব্যে আক্কাছ আলী বলেন, নির্বাচনে এবাদুর রহমান প্রামানিক ব্যাপক অবৈধ কালো টাকায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে এবাদ নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন করে মসজিদ, ঈদগাহ, মাদরাসা, গোরস্থানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে ব্যাপক কালো টাকা প্রদানের মাধ্যমে ধর্মভীরু ভোটারদের প্রভাবিত করে নির্বাচনী ফলাফল তার পক্ষে নেন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তার সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে জাতপাড়া ঈদগাহ মাঠে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করলেও আর কোন বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্বাচনে সকল প্রার্থীসহ ৭১ শতাংশ ভোটার কালো টাকায় বিতর্কিত নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে মর্মে পুন:নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এবাদুর রহমানের কালো টাকার প্রথাব হিসাবে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে জাতপাড়া গ্রামে ঈদগাহ মাঠের জায়গা ভরাট বাবদ দুই লাখ টাকা, কয়সা গ্রামে ২ হাজার ইট ও নগদ দুই লাখ টাকা, জালুপোঁয়াতা মন্দিরে নগদ দের লাখ টাকা, পাইকড়া মন্দিরে নগদ দের লাখ টাকা, নগেন্দ্রনগর ঈদগাহ মাঠের বাউন্ডারি বাবদ ৫ হাজার ইট ও নগদ দুই লাখ টাকা এবং মাধাইমুড়ি মসজিদ ও মাদরাসায় ৫৫ হাজার টাকা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এবাদুর রহমান একজন বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কেহ তার মুখের ভাষা বুঝতে না পারায় আত্রাইবাসীর চরম ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তার কালো টাকার মাধ্যমে মানুষকে বোকা বানানোর অভিযোগ করা হয়। এসময় নির্বাচনের ধারা ৪ মতে একজন বাক প্রতিবন্ধী নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে অযোগ্য হওয়ার কথা থাকলেও স্কুটনিতে তার মনোনয়ন বৈধ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

নির্বাচনে কালো টাকার প্রয়োগ, নির্বাচন ফলাফল পত্যাখ্যান এবং ভোটের এত দিন পর সাংবাদিক সম্মেলন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আক্কাছ আলী বলেন, কালো টাকার প্রমান সংগ্রহ, আমাদের মধ্যে আলোচনা এবং নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার কন্টোলরুম থেকে ফলাফল ঘোষণা সম্পন্ন না করে কম্পিউটারসহ সকল সরঞ্জাম নিয়ে ইউএনওর রুমে গিয়ে নিজেদের মত করে ফলাফল সাজিয়ে এনে গভীর রাতে যেনোতেনো করে ফলাফল ঘোষণাসহ সকল কিছু গুছিয়ে নিতে দেরি হলো বলে জানান।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার কালো টাকার উৎস, পাজেরো গাড়ী কিনে তা নির্বাচনী হলফ নামায় উল্লে না করার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে যাওয়ার কথা জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান পলাশ, আলমগীর হোসেন বাবর, মমতাজ বেগম, সনৎ কুমার প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান আফছার আলী প্রামানিক, উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহীতে ৩ যুবক কে অপহরণ

রাজশাহীত ৩ যুবক কে অপহরণ করা হয়েছে ।
রাজশাহীর আদালতে মামলা করে বাড়ি ফেরার পথে ৩ যুবককে অপহরণ করে মারধর ও মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী জজকোর্ট চত্বরের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

পরে রাজপাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বিকেলে অপহৃতদের একজন বাগমারা উপজেলার পিরলী সেনপাড়া গ্রামের মোসলেম আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় মামলা করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বাগমারা উপজেলার পিরলী সেনপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুর রহমানের নামে পরিচালিত ‘গোল্ডেন লাইফ ইনসুরেন্স লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে এলাকার শতাধিক মানুষ ডিপিএস জমা রাখেন। গত ২০ জুন আব্দুল মজিদ তার জমানো টাকা চাইলে সাজেদুর তা দিতে অস্বীকার করেন।

এরপর প্রতারণার অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে আব্দুল মজিদ আদালতে মামলা করতে যান। তার সঙ্গে সাক্ষী হিসেবে ছিলেন একই গ্রামের শহিদ মণ্ডল (৪৫), মধ্য ঝিনা গ্রামের আমির হোসেন (৫০) ও সোহাগ। মামলা শেষে আদালত চত্বর থেকে বের হলে সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে সাইফুল ইসলাম, মোজাফ্ফর রহমান, মাহবুর ইসলাম, ছাদিকুর রহমানসহ ৮–১০ জন তাদের পথরোধ করে মারধর ও অপহরণ করে।

অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার সময় সোহাগ পালিয়ে গিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানালে রাজপাড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাজিহাটা এলাকা থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে। এর আগে অপহরণকারীরা তাদের কাছে থাকা ২ হাজার ৫০০ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং শহিদের ফোন থেকে পরিবারের কাছে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

উদ্ধারের পর আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তারা রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, “৯৯৯ নম্বরে ফোন পাওয়ার পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”এ বিষয়ে আরও অধিক তদন্ত চলছে ।

সাপের কামুরে মারা গেলেন বৃদ্ধা সালেহা বেগম

রাজশাহীর দুর্গাপুরে মারা গেলেন বৃদ্ধা সালেহা বেগম ।মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে সর্প দংশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন সালেহা বিবি (৫০)। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। পরে তাকে নেয়া হয় দূর্গাপুর স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু ততক্ষণে বৃদ্ধা সালেহা বিবির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন হয়ে পরে । চিকিৎসকের ভাষ্যমতে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান ওই বৃদ্ধা।

সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটার পর দুপুর ১২টার দিকে মারা যান সালেহা বিবি। বৃদ্ধা সালেহা বিবির বাড়ি উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে। সপ্তাহখানেক আগে তিনি বেড়াতে যান পৌর এলাকার বরিদ বাঁশাইল গ্রামে তার মেয়ের বাড়িতে।

স্বজনরা জানান, সকালে বাড়ির উঠানে মেয়েকে সাংসারিক কাজে সাহায্য করছিলেন সালেহা বিবি। এ সময় একটি বিষাক্ত গোখরা সাপ হঠাৎ তাকে দংশন করে। ঘটনার পর স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওঝার ঝাড়ফুঁক করার পরও ওই বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় এক সাপুড়ে এসে বিষধর গোখরা সাপটি ধরে ফেলে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে পারিবারিক কবরাস্থানে সালেহা বিবির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল হক মিরুন।মেয়ের বাড়ীতে বেড়াতে এসে জীবন দিতে হলো সাপের কামুড়ে ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ