আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

চেয়ারম্যানের কালো টাকায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন

ফিরোজ আহমেদ প্রতিনিধি আত্রাই নওগাঁ।

নওগাঁ:

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিকের কালো টাকায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

৮ জুন শনিবার গত ২৯ মে নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান পলাশ, আলমগীর হোসেন বাবর, মমতাজ বেগম, সনৎ কুমার প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান আফছার আলী প্রামানিকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক ও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া প্রার্থী আক্কাছ আলী।লিখিত বক্তব্যে আক্কাছ আলী বলেন, নির্বাচনে এবাদুর রহমান প্রামানিক ব্যাপক অবৈধ কালো টাকায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে এবাদ নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন করে মসজিদ, ঈদগাহ, মাদরাসা, গোরস্থানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে ব্যাপক কালো টাকা প্রদানের মাধ্যমে ধর্মভীরু ভোটারদের প্রভাবিত করে নির্বাচনী ফলাফল তার পক্ষে নেন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তার সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে জাতপাড়া ঈদগাহ মাঠে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করলেও আর কোন বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্বাচনে সকল প্রার্থীসহ ৭১ শতাংশ ভোটার কালো টাকায় বিতর্কিত নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে মর্মে পুন:নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এবাদুর রহমানের কালো টাকার প্রথাব হিসাবে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে জাতপাড়া গ্রামে ঈদগাহ মাঠের জায়গা ভরাট বাবদ দুই লাখ টাকা, কয়সা গ্রামে ২ হাজার ইট ও নগদ দুই লাখ টাকা, জালুপোঁয়াতা মন্দিরে নগদ দের লাখ টাকা, পাইকড়া মন্দিরে নগদ দের লাখ টাকা, নগেন্দ্রনগর ঈদগাহ মাঠের বাউন্ডারি বাবদ ৫ হাজার ইট ও নগদ দুই লাখ টাকা এবং মাধাইমুড়ি মসজিদ ও মাদরাসায় ৫৫ হাজার টাকা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এবাদুর রহমান একজন বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কেহ তার মুখের ভাষা বুঝতে না পারায় আত্রাইবাসীর চরম ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তার কালো টাকার মাধ্যমে মানুষকে বোকা বানানোর অভিযোগ করা হয়। এসময় নির্বাচনের ধারা ৪ মতে একজন বাক প্রতিবন্ধী নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে অযোগ্য হওয়ার কথা থাকলেও স্কুটনিতে তার মনোনয়ন বৈধ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

নির্বাচনে কালো টাকার প্রয়োগ, নির্বাচন ফলাফল পত্যাখ্যান এবং ভোটের এত দিন পর সাংবাদিক সম্মেলন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আক্কাছ আলী বলেন, কালো টাকার প্রমান সংগ্রহ, আমাদের মধ্যে আলোচনা এবং নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার কন্টোলরুম থেকে ফলাফল ঘোষণা সম্পন্ন না করে কম্পিউটারসহ সকল সরঞ্জাম নিয়ে ইউএনওর রুমে গিয়ে নিজেদের মত করে ফলাফল সাজিয়ে এনে গভীর রাতে যেনোতেনো করে ফলাফল ঘোষণাসহ সকল কিছু গুছিয়ে নিতে দেরি হলো বলে জানান।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার কালো টাকার উৎস, পাজেরো গাড়ী কিনে তা নির্বাচনী হলফ নামায় উল্লে না করার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে যাওয়ার কথা জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান পলাশ, আলমগীর হোসেন বাবর, মমতাজ বেগম, সনৎ কুমার প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান আফছার আলী প্রামানিক, উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ : মোমিন মেহেদী

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ। যেমন ক্ষমা করেনি অতিতের খলনায়কদেরকে, আগামীতেও করবে না। তিনি নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির আয়োজনে ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।

‘বন্দর বাতিল করা সময়ের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদ রানা প্রমুখ। এসময় মোমিন মেহেদী অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নোবেল পাওয়ার পর ২০০৬ সালেই তিনি বলেছিলেন বন্দর মুক্ত করে দিন, আমি দেখবো বন্দর ব্যবস্থাপনা; আজ জাতির ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে খাদের কিণারে রেখে বিদেশী কোম্পানীর হাতে তিনি বন্দর তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি নিজের স্বার্থে এদেশকে খন্ড-বিখন্ড করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে ফেলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববনে না।

এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বন্দর চুক্তি বাতিলের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশ বিরোধী বন্দর চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রিট করানো হয়েছে। সেই রিট অনুযায়ী মাননীয় আদালত বন্দর চুক্তির সকল কাজ বন্ধের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাতিলের দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। নির্মম হলেও সত্য যখন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলো ড. ইউনূসের হাত ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, তখন বাংলাদেশের ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়ে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, দুর্নীতি স্বয়ং ইউনূস সাহেবের আত্মীয়-স্বজন-পারিষদবর্গ আর পিয়ন-চাপরাশিদের পৃষ্টপোষকতায় অতিতের রেকর্ড ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমাদের এক কথা, তাদের এই বন্দর চুক্তি বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বোয়ালখালী পোপাদিয়া ৭;নং ওয়ার্ড় বিএনপির উঠান বৈঠক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সমর্থনে বোয়ালখালীর ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যাগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দিপক কুমার লালার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান, প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মহসিন খান তরুণ,পোপাদিয়া ইউনিয়ন নির্বাচন সমন্বয়কারি আলহাজ্ব জাকের হোসেন , যুগ্ন আহবায়ক আবুল

হাশেম,বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সংগঠনিক সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসলেম মিয়া। দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ দিদারুল আলম( রিটনমেম্বার), পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’রযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ইকবাল ,সাবেক ছাত্রদল নেতা মো নাজিম উদ্দীন, বিমল আচার্য়্য বাসু,মাস্টার নিপক লালা,সুনীল সুত্রধর, প্রবীর দাশ,ঝাউতলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দাশ লালু,নিরুপম আচার্য্য,রুপক লালা, প্যানেলে চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী ,শ্রমিক দল নেতা হোসেন চৌধুরী, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,

বক্তব্য রাখেন কৃষকদল বোয়ালখালী উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ ওসমান,যুগ্ন আহ্বায়ক আলমগীর, শ্রমিকদল বোয়ালখালী উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল।তাজুল ইসলাম, এমদাত আনসারি,নজরুল ইসলাম বাবু ,টুটুল,সিদ্দিক আজাদ রিহাদ,বেলাল সাহেব, রাইহান,আজাদ খান,লোকমান, আবদুল সালাম ছোটন,জাবেদ,শ্রমিকদল নেতা সাইফুল আলম । এন এম টিপু প্রমুখ। বক্তব্যরা বলেন
“বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ গণমানুষের প্রতীক। যেই খানেই ধানের শীষের প্রচারণা চলছে সেখানেই জনজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।” তিনি আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বোয়ালখালীর উন্নয়নে সহযোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি জোর আহবান জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ