আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর-উপহার নতুন ঘর পাওয়ার খবরে খুশি গৃহহীন পরিবার

তৌহিদুল ইসলাম সরকার স্টাফ রিপোর্টার :

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ময়মনসিংহের-নান্দাইল উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের নতুন ঘর পাচ্ছে ১৮২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। আগামী মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব পরিবারের মধ্যে উপহারের ঘর তুলে দিবেন। এদিকে জমিসহ উপহারের পাকা ঘর পাওয়ার আশায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন উপজেলার তালিকাভুক্ত হতদরিদ্ররা। তবে, জমিসহ নতুন ঘর পাওয়ার খবরে উপজেলার গৃহহীন এসব পরিবারগুলোতে ঈদের আগেই ‘ঈদ আনন্দ’ বিরাজ করছে।

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আশ্রয়ন প্রকল্পের পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ৫১টি জেলার ১৫৮টি উপজেলার উপকারভোগীদের মাঝে পুরাতন ব্যারাকের পরিবর্তে একক নতুন ঘর ও দুই শতক জমি হস্তান্তর করা হবে। এর অংশ হিসেবে নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের উলুরচর আশ্রয়ন প্রকল্প, মুসল্লী ইউনিয়নের বারোপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্প এবং খারুয়া ইউনিয়নের চর- মহেশপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের পুরাতন ব্যারাকগুলো অপসারণ করে ১৮২টি একক ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, যেগুলো ১১ জুন প্রদান করা হবে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ৫৪টি মুসল্লী ইউনিয়নে ১৯টি এবং খারুয়া ইউনিয়নে ১০৯টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এসব জমি ও ঘর প্রাপ্তদের মধ্যে পূর্ব থেকেই সরকারি উপকারভোগী আছেন ১৫৩ জন, যাদেরকে পূর্বেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় টিনের ঘর দেওয়া হয়েছিলো। তবে নতুন করে এই তালিকায় আরও ২৯ জন যুক্ত করে সর্বমোট ১৮২ জনকে নতুন ঘর প্রদান করা হচ্ছে।

চর-মহেষকুড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন ঘর পাওয়ার খবরে খুশি মোছা. ফজিলা খাতুন জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি সুন্দর পাকা বাড়ি পাচ্ছি। সেখানে আমরা সুন্দরভাবে থাকতে পারবো। এজন্য শেখ হাসিনা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা।

এসব প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই পর্যন্ত ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪০টি পরিবারকে ২ শতক জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। আগামী ১১ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নান্দাইলের ১৮২টি ভূমিহীন-গৃহহীনদের মাঝে ২ শতক জমিসহ নতুন ঘর প্রদান করা হবে। নতুন ঘর পাওয়ার খবরে গৃহহীন পরিবারগুলোতে আনন্দের বন্যা বইছে।

তিনি বলেন,ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রমের অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত। আগে এখানে টিনশেড ব্যারাক ছিলো, এতে ১০টি পরিবার একসাথে থাকতো। বর্তমানে সবার জন্য একক ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে বসবাসরত মানুষদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারা যেন স্বনির্ভর হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্নার লাখ টাকা জরিমানা গুনল কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্নার দায়ে একটি রেস্তোরাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের টিমের সমন্বয়ে নিয়মিত বাজার তদারকিকালে ওয়াসা মোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্নার দায়ে ওয়াসা মোড়ের কুটুমবাড়ি রেস্তোরাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ