আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হলে স্কুলে তালা ঝুঁলিয়ে দেওয়ার হুমকি এলাকাবাসীর

অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ফুলবাড়ীতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগদানের উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে তাদের মনোনিত ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগদানের উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

গতকাল সোমবার (১০ জুন) সকাল ১১ টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয় চত্বরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. রায়হান আলী, সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মোছা. তাহেরা বেগম, সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. শাহানুর আলম, সহকারী শিক্ষক ওয়াহেদ আলী, সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলম, বিদ্যালয়ের জমিদাতা আফজাল তালুকদার, অভিভাবক মোহাম্মদ আলম, এজাজ মণ্ডল, শিক্ষার্থী নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, ফাহারিয়া আক্তার রিয়া, জান্নাতুন তাজরিন, মোহনা জান্নাত, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ¯িœগ্ধা আক্তার ইতিমনি, তাজমুন নাহার রীতা প্রমুখ।
মানবন্ধন শেষে বিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. রায়হান আলী, সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মোছা. তাহেরা বেগম ও সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. শাহানুর আলম বলেন, ম্যানেজিং কমিটিকে পাশ কাটিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন মন্ডল ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় যোগসাজস করে সরকারি বিধি বহির্ভূতভাবে পার্শ্ববর্তী বিরামপুরের মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুনুর রশিদকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন। গত ১৮/০৫/২০২৪ ইং তারিখের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে প্রধান শিক্ষকের পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সেই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এবং কমিটির কাউকে কোনো কিছু না জানিয়ে গোপনে মামুনুর রশিদকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আজ সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় দিন ধার্য করেন প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি। এজন্য আবেদনকারিদের কাউকে মৌখিকভাবে আবার কাউকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা অবৈধ প্রক্রিয়া মামুনুর রশীদকে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের উদ্যোগ বন্ধসহ অবৈধ পন্থা অবলম্বনকারিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে বিক্ষোব ও মানববন্ধনের জন্য সকালে নিয়োগ পক্রিয়া স্থাগিত করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তবে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ১১/০৬/২০২৪ ইং তারিখ মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তড়িঘড়ি করে নিয়োগ পক্রিয়া শেষ করে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিতু ও রিক্ত চন্দ্র রায় বলে, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তারা চায় না। মামুনুর রশিদকে নিয়োগ দেওয়া হলে তারা বিদ্যালয়ে তারা ঝুঁলিয়ে দেবে।
অভিভাবক মোহাম্মদ আলম ও এজাজ মণ্ডল বলেন, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে দেবে এলাকাবাসী। ¯^চ্ছ ও সরকারি বিধি মোতাবেক একজন যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে হবে। এটা করা না হলে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দিতে বাধ্য হবেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায়কে তার ০১৩০৯ ১২০৪২৩ এবং ০১৭৬১ ৩৮১৮৭৯ নম্বরে মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করা হলে দুইটি মুঠোফোনেরই সুইচ বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন মন্ডলের ০১৭৪৭ ৫৪৭৭২৫ নম্বরের মুঠোফোনে ফোন করা হলে ফোনে রিং বাজলেও তিনি ফোন গ্রহণ করেননি। ফলে এ ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার মহাপরিচালকের প্রতিনিধি বিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক মুঠোফোনে বলেন, ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে মৌখিকভাবে বলেছেন, তবে লিখিতভাবে এখনও জানাননি। ফলে এ বিষয়ে কোনো কিছু জানেন না তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আলম বলেন, মৌখিকভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বলা হলেও লিখিতভাবে কোনো কিছু বলা হয়নি। ফলে নিয়োগ হবে কি না তাও তিনি জানেন না।
জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, ওই বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে তাকে লিখিতভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি। ফলে তিনিও জানেন না নিয়োগ হবে কি না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাবিতে ৪ হলের নামফলক ভেঙে নতুন নাম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হল ও একটি স্কুলের নামফলক ভেঙে নতুন নামকরণ করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সব নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে দিতে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’, নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের পরিবর্তে ‘শহীদ আলী রায়হান হল’, শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে ‘ফাতিমা আল-ফাহরিয়া হল’ ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের পরিবর্তে ‘নবাব ফয়জুন নেসা চৌধুরানী’ নাম দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম পরিবর্তন করে ‘রিয়া গোপ মডেল স্কুল’ নাম দেন তাঁরা।

এর আগে রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁরা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সরেজমিন দেখা যায়, রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে যান। পরে তাঁরা হলটির নামফলক, উদ্বোধনী ফলকসহ শেখ মুজিবের চিহ্ন–সংবলিত স্থাপনাগুলো রড, হাতুড়ি ও কোদাল দিয়ে ভেঙে দেন। এ সময় তাঁরা হলটির নতুন নাম ‘বিজয় ২৪’ ঘোষণা করে রং দিয়ে দেয়ালে দেয়ালে নাম লিখে দেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নামফলক ভেঙে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের নামফলক পরিবর্তনের সময় হলের ভেতর থেকে ছাত্রীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দিকে স্যান্ডেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় বাইরে থেকেও কয়েকজন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী হলে অবস্থিত নারী শিক্ষার্থীদের দিকে ঢিল ছুড়ে মারেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ছাত্রীরা হল ফটকে টাঙানো নতুন নাম ফলকের ব্যানার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

হলের ভেতর থেকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের হলের নাম পরিবর্তন আমরা করব। বাইরে থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা এসে কেন সেটি করবে? যেহেতু আগে থেকে ব্যানার নিয়ে আসা হয়েছে, এর মানে বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত। এ বিষয়ে আমাদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলের নাম পরিবর্তন করেছেন। তবে এ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। যদি নাম পরিবর্তন করা হয়, সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও অংশীজনদের আলোচনার মাধ্যমেই করা হবে।

সড়ক সংস্কারে জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে চসিক: মেয়র ডা. শাহাদাত

জনভোগান্তি নিরসনে সড়ক সংস্কারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শীঘ্রই জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়নের নির্দেশনা দেন মেয়র। সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন। সভায় প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম জানান, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ঠিকাদার অনুপস্থিত থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

এসময় মেয়র বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে মানসম্মত ও টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করা হবে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান ও গলিপথের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। নগরবাসীকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে আমরা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেব।”

এসময় মেয়র আরও বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজে গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত এবং মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে হবে। যেসব ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করছেন না, তাদের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করুন। কোনো প্রকৌশলী দায়িত্বে ফাঁকি দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিন। যদি লোকবল ঘাটতি থাকে, তবে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করুন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করুন।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু সাময়িক মেরামত নয়, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না।”
মেয়র আরও নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যবহৃত বিটুমিনসহ সকল নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিশ্চিত করতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো ঠিকাদার যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে মামলা করুন। কাজের মান বজায় রাখতে কোনো প্রকার আপস করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে রোড সাইন ও সচেতনতামূলক বার্তা স্থাপন করতে হবে, যাতে জনসাধারণ ও যানবাহন চালকরা সাবধানে চলাচল করতে পারেন। পাশাপাশি, সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে যানজট ও দুর্ঘটনা কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সভায় উপস্থিত প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেয়রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পিডি মো. আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলমসহ প্রকৌশলীবৃন্দ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ