আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হলে স্কুলে তালা ঝুঁলিয়ে দেওয়ার হুমকি এলাকাবাসীর

অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ফুলবাড়ীতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগদানের উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে তাদের মনোনিত ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগদানের উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

গতকাল সোমবার (১০ জুন) সকাল ১১ টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয় চত্বরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. রায়হান আলী, সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মোছা. তাহেরা বেগম, সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. শাহানুর আলম, সহকারী শিক্ষক ওয়াহেদ আলী, সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলম, বিদ্যালয়ের জমিদাতা আফজাল তালুকদার, অভিভাবক মোহাম্মদ আলম, এজাজ মণ্ডল, শিক্ষার্থী নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, ফাহারিয়া আক্তার রিয়া, জান্নাতুন তাজরিন, মোহনা জান্নাত, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ¯িœগ্ধা আক্তার ইতিমনি, তাজমুন নাহার রীতা প্রমুখ।
মানবন্ধন শেষে বিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. রায়হান আলী, সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মোছা. তাহেরা বেগম ও সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. শাহানুর আলম বলেন, ম্যানেজিং কমিটিকে পাশ কাটিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন মন্ডল ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় যোগসাজস করে সরকারি বিধি বহির্ভূতভাবে পার্শ্ববর্তী বিরামপুরের মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুনুর রশিদকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন। গত ১৮/০৫/২০২৪ ইং তারিখের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে প্রধান শিক্ষকের পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সেই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এবং কমিটির কাউকে কোনো কিছু না জানিয়ে গোপনে মামুনুর রশিদকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আজ সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় দিন ধার্য করেন প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি। এজন্য আবেদনকারিদের কাউকে মৌখিকভাবে আবার কাউকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। এরই অংশ হিসেবে তারা অবৈধ প্রক্রিয়া মামুনুর রশীদকে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের উদ্যোগ বন্ধসহ অবৈধ পন্থা অবলম্বনকারিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে বিক্ষোব ও মানববন্ধনের জন্য সকালে নিয়োগ পক্রিয়া স্থাগিত করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তবে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ১১/০৬/২০২৪ ইং তারিখ মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তড়িঘড়ি করে নিয়োগ পক্রিয়া শেষ করে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিতু ও রিক্ত চন্দ্র রায় বলে, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তারা চায় না। মামুনুর রশিদকে নিয়োগ দেওয়া হলে তারা বিদ্যালয়ে তারা ঝুঁলিয়ে দেবে।
অভিভাবক মোহাম্মদ আলম ও এজাজ মণ্ডল বলেন, কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে দেবে এলাকাবাসী। ¯^চ্ছ ও সরকারি বিধি মোতাবেক একজন যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে হবে। এটা করা না হলে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দিতে বাধ্য হবেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায়কে তার ০১৩০৯ ১২০৪২৩ এবং ০১৭৬১ ৩৮১৮৭৯ নম্বরে মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করা হলে দুইটি মুঠোফোনেরই সুইচ বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন মন্ডলের ০১৭৪৭ ৫৪৭৭২৫ নম্বরের মুঠোফোনে ফোন করা হলে ফোনে রিং বাজলেও তিনি ফোন গ্রহণ করেননি। ফলে এ ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার মহাপরিচালকের প্রতিনিধি বিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক মুঠোফোনে বলেন, ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে মৌখিকভাবে বলেছেন, তবে লিখিতভাবে এখনও জানাননি। ফলে এ বিষয়ে কোনো কিছু জানেন না তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আলম বলেন, মৌখিকভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বলা হলেও লিখিতভাবে কোনো কিছু বলা হয়নি। ফলে নিয়োগ হবে কি না তাও তিনি জানেন না।
জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, ওই বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে তাকে লিখিতভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি। ফলে তিনিও জানেন না নিয়োগ হবে কি না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সাউর্দান মেডিকেল কলেজে আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন ৬১টি গবেষণাপত্র

দেশি-বিদেশি গবেষকদের অংশগ্রহণে সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক প্রথম দেশি ও আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক আয়োজিত ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’-এ উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দিনব্যাপি চলে এবং এতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষকগণ স্বাস্থ্য শিক্ষা, মেডিকেল কারিকুলাম, অ্যাক্রেডিটেশন, তথ্য ও প্রযুক্তি, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশুস্বাস্থ্য, লিভার, হৃদরোগ, চক্ষু, গণস্বাস্থ্য, বার্ধ্যক্যজনিত রোগ, অনুজীববিদ্যা, মৌলিক চিকিৎসা বিদ্যাসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ে প্রায় ৬১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, আমেরিকা ও লন্ডন থেকে আগত চার আর্ন্তজাতিক গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক বাংলাদেশ মেডিকেল এডুকেশন অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবির তালুকদার, অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, অধ্যাপক ডা. খন্দকার এ কে আজাদ, খ্যাতনামা শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা, খ্যাতনামা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমীন, বাংলাদেশ মেডিকেল রির্সাস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান খ্যাতনামা গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, অধ্যাপক ডা. অনুরুদ্দ ঘোষসহ বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ও ঢাকা হতে আগত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে সাইন্টিফিক প্রজেক্ট ‘নেক্টট জেনারেশন ইনোভেটরস’ উপস্থাপন করেন।
গত ১৬ অক্টোবর সাউর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘এসএমসিএইচ সামিট-২০২৫’এর কনফারেন্স লোগো মোড়ক উম্মোচন, থিম উপস্থাপনা ও ব্যানার উম্মোচনের মাধ্যমে অফিসিয়ালভাবে কার্যক্রম শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজকে আয়োজন সফলভাবে শেষ হলো।

এতে সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন সাউর্দান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জয়ব্রত দাশ, অর্গানাইর্জিং সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মেহেরুন্নিছা খানম, সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম, এমডি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএমডিসি সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও সাউর্দান মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. খুরশীদ জামিল, অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভপতি অধ্যাপক ডা. ধনঞ্জয় মজুমদার, মেডিকেল এডুকেশন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মিনহাজুল আলম, এছাড়াও বিভিন্ন কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ, পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ, উপদেষ্টাবৃন্দ, সকল চিকিৎসক, শিক্ষক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে সর্বত্র সহযোগিতা করেন।

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ