আজঃ শুক্রবার ২১ মার্চ, ২০২৫

১৮ কোটি ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয়ের দাবি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বানিজ্যিক নগরী:

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভোক্তাদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় থাকলেও বাংলাদেশে ভোক্তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে। দেশের ১৮ কোটি ভোক্তার অধিকার নিয়ে সারাক্ষন সক্রিয় ক্যাব দেশব্যাপী দীর্ঘদিন ধরেই সভা, সেমিনার, মানববন্ধনসহ নানা ভাবে দাবি করে আসলেও বর্তমান সরকারের আমলেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯, ভোক্তা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়। নিত্যপণ্যের বাজারে চলমান সিন্ডিকেট ও অস্থিরতা ঠেকাতে ভোক্তাদের জন্য সমন্বিত ভাবে বিএসটিআই, ভোক্তা অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশন ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সকলকে নিয়ে ওয়ান স্টপ সেবা প্রদানের জন্য পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি। বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান ভূমিকা ও মূল কাজ হলো ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সুরক্ষা দেয়া। ব্যবসায়ীরা দেশে ব্যবসা শিল্প বানিজ্য, আমদানি-রপ্তানির যারা চালিকা শক্তি, তাদের প্রতি অধিকতর সহানুভূতিশীল থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। দেশে ন্যায্য ব্যবসার চর্চা থাকলে হয়তো ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ব্যবসা-বানিজ্যের অন্যতম অংশীজন ক্রেতা-ভোক্তাদের বিষয়টি বিবেচনায় থাকতো। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন করে সব পরিস্থিতিতে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পৃথক মন্ত্রণালয় হলে ১৮ কোটি ভোক্তার সমস্যাগুলি আরও দ্রুত সমাধানে সরকারের নীতি নির্ধারকদের দৃষ্ঠিগোছর করাা সম্ভব হবে। ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মাঝে বিদ্যমান বৈষম্যও কিছুটা হ্রাস পাবে। ১১ জুন ২০২৪ইং চট্টগ্রামের এতিহ্যবাহী সিআরবি শিরিশ তলায় পৃথক ভোক্তা অধিকার মন্ত্রনালয়ের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী মানববনন্ধনে উপরোক্ত দাবি জানানো হয়।

ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগররের সদস্য রাসেল উদ্দীনের সঞ্চালনায় কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভাগ এবং ক্যাব যুব গ্রুপের আয়োজনে আয়োজিত প্রতিবাদী মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিশিষ্ঠ মানবাধিকার নেতা অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ অধ্যাপক ডঃ ইদ্রিস আলী, ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম ক্যাব মহানগরেরর যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব পাহাড়তলী থানা সভাপতি হারুন গফুর ভুইয়া, মানবাধিকার নেতা ওসমান জাহাঙ্গীর, উন্নয়ন কর্মী সৈয়দ আবুল হাসান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহনগরের সদস্য মোহাম্মদ করিমুল ইসলাম, তানিয়া সুলতানা, নাফিসা নবী, রিদওয়ানুল হক, আবরারুল করিম নেহাল, নিলয় বর্মন ও অভিজিত দে সঞ্জীব প্র্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় নীতিনির্ধারকেরা রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা লগ্নে ১৯৪৭ সালেই ভোক্তা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয় গঠন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ভারত শুরুতেই অন্তত কাঠামোগত দিক থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল। তার কারনে ভারতে মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সব সময় সম্ভব হচ্ছে।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভোক্তা সমাজ দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক গোষ্ঠি হলেও তাদের স্বার্থ ও অধিকার সুরক্ষায় কোন পৃথক মন্ত্রণালয় নাই। অধিকন্তু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ক্ষুদ্র অধিদপ্তরের মাধ্যমে কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও এটিও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য। আবার ভোক্তাদের অধিকার ও সুবিধা প্রদানের সবকিছুর ভার দেয়া হয়েেেছ ব্যবসায়ীদের ওপর। সেকারণে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত বানিজ্য মন্ত্রণালয় ভোক্তা স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করার কারনে ভোক্তা স্বার্থ বারবার উপেক্ষিত ও ভুলন্টিত হচ্ছে। বিষয়গুলি অনেকটাই “বিড়ালকে মাছ পাহারা দেবার মতো”। ফলে ব্যবসায়ীরা মুক্ত বাজার অর্থনীতির নামে একবার পেঁয়াজ, একবার চাল, একবার মসলা, একবার তেল এভাবে পুরো বছর জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে জনগনের পকেট কাটছে। দেশের ভোক্তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বার্ষিক চাহিদা নিরুপণ, উৎপাদন, যোগান, বাজারজাতকরণে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে অনুসন্ধান, ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে চিন্তা করার সময় বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের থাকে না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বোয়ালখালীতে লবন কারখানায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর লবন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারি পুল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা এবং বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার জেরিন তাসনিম ও পরীক্ষক প্রিময় মজুমদার জয়ের, উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নানা অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লবণ প্যাকেট করে একাধিক নামে লবণ বাজারজাত করছে কারখানাগুলো। অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই আইন এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আহমেদ সল্ট রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রিজের

সুপারভাইজার দীপক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা এবং করিম সল্ট ক্রসিং এন্ড রিফাইনারির সাইগর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসহ ল্যাব স্থাপনসহ মান সম্পন্ন লবণ বাজারজাত করার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ