আজঃ শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

দাবি হামার একটাই ঠাকুরগাঁওয়ে বিমানবন্দর ও মেডিকেল কলেজ

মো আসাদুজ্জামান ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা:

ঠাকুরগাঁওয়ে বিমানবন্দর পুনরায় চালু ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী করেছেন জেলার সর্বস্থরের মানুষ।বুধবার সকালে জেলা সর্বস্থরের মানুষের ব্যানারে শহরের চৌড়াস্তা মোড়ে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা সহ ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড.অরুনাংশু দত্ত টিটো, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ,জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন,প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী,দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি তানভির হাসান তানু,আয়োজক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক সত্য প্রসাদ ঘোষ নন্দন, সদস্য মমিনুর রহমান বিশাল, সরিফুল করিম রুবেল, মাসুদ আহম্মেদ সূবর্ন, কামরুল হাসান, এম এ সামাদ, রবিউল এহ্সান রিপন সহ অনেকে।
বক্তরা এসময় অবিলম্বে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর ও মেডিকেল কলেজ চালুর জোর দাবি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চমেক হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই মেশিন বন্ধে রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই মেশিন বন্ধে প্রতিনিয়ত রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় চার বছর ধরে নষ্ট রয়েছে মেশিনটি। এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করাতে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগছে। ফলে গরিব রোগীরা পরীক্ষাটি করাতে পারছেন না।

জানা গেছে, দুই হাজার ২০০ শয্যার চমেক হাসপাতালে গড়ে দিনে রোগী ভর্তি থাকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন অন্তত তিন হাজার রোগী। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, এত বড় হাসপাতালে এমআরআই মেশিন মাত্র একটি। তাও সেটি বছরের পর বছর অকেজো। কোনো সভ্য দেশে এমন হতে পারে না। রোগীদের ভোগান্তির দায় এড়াতে পারে না কর্তৃপক্ষ।

তবে চমেক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এমআরআই মেশিন সচল করতে বিভিন্ন দপ্তরে অন্তত ৪০ বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুধু সচল হচ্ছে-হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায় সারছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি ১৫ উপজেলার অসংখ্য রোগীর কপাল পুড়ছে। সরকারিভাবে যেখানে মাত্র তিন হাজার টাকায় পরীক্ষা হয়, সেখানে কয়েক গুণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ১০ কোটি টাকার জাপানি হিটাচি ব্র্যান্ডের (১.৫ টেসলা) এমআরআই মেশিন চমেক হাসপাতালকে দেয়। ঢাকার মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড এটি সরবরাহ করার পর ওই বছরের ২৪ অক্টোবর হৃদরোগ বিভাগের নিচতলায় স্থাপন করা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয় কার্যক্রম। তিন বছরের ওয়ারেন্টির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের অক্টোবরে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে। প্রায় সাত মাস পর ২০২১ সালের মে মাসে মেরামত করে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। তবে মাস না যেতে আবারও অকেজো হয়ে যায়। সেই থেকে হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে এমআরআই সেবা।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, অত্যন্ত জরুরি এমআরআই মেশিন সচলের জন্য চিঠি চালাচালি করে তারা নিজেরাই এখন বিরক্ত। মেরামতে প্রায় সাত কোটি টাকা লাগবে। আবার নতুন মেশিন কিনতে গেলে লাগবে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। অর্থ বরাদ্দের বিষয় চূড়ান্ত না হওয়ায় এটি নষ্ট রয়েছে বলে জানান তিনি।

কয়েক মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন। ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালানো পঙ্গু রমিজ হোসেন তাঁকে নিয়ে আসেন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে। চিকিৎসক দেখে এমআরআই করতে বলেন। কিন্তু বাবা-ছেলে এমআরআই কক্ষের সামনে গিয়ে দেখেন, তালা ঝুলছে। পরে

হাসপাতালের লোকজন জানান, চার বছর ধরেই তালা ঝুলছে এমআরআই কক্ষে। বাইরে খবর নিয়ে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকার কথা শুনে আর পরীক্ষা করা হয়নি। রমিজ হোসেন বলেন, এক টাকা দিয়ে পরীক্ষা করানোর সামর্থ্য নেই। এ জন্য বেশ কয়েকবার হাসপাতালে এসেছি। প্রতিবার ফেরত গেছি। ছেলের সুস্থতা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।

আরেক রোগীর মেয়ে জিন্নাত আরা বলেন, মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। হঠাৎ এক দিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় মাথা, হাত, বুক ও পায়ে আঘাত পান। চিকিৎসক এমআরআই করতে দিয়েছেন। বেসরকারিতে করার সামর্থ্য নেই। চমেক হাসপাতালে অনেকবার এসেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

নেত্রকোনায় আব্দুল হাই তালুকদার স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

খেলাধুলায় বাড়ে বল, মাদক ছেড়ে খেলায় চল” এই প্রতিপাদ্য নেত্রকোনার পূর্বধলায় মৌদাম জাতীয়তাবাদী পরিবার আয়োজনে মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল হাই তালুকদার স্মৃতি নাইট মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্ট সিজন ১ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাপক দর্শক সমাগমের মধ্য দিয়ে মৌদাম সেসিপ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

৮ দলের অংশগ্রহণে টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় শাপলা একাদশ বনাম বেলী একাদশ দুটি দল মোকাবেলা করে।
নির্ধারিত ৬০ মিনিটের হাড্ডা হাড্ডি লড়াই শেষে কোন দলেই গোল করতে পারেনি। পরে ট্রাইবেকারে মধ্যদিয়ে বেলী একাদশকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শাপলা একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়।

ট্রাইবেকারে শাপল একাদশের একমাত্র গোলটি করেন নুরুল আমিন। খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক তিন তিনবারের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুবদলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুর রহিম, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান ফকির, সালাউদ্দীন আহমেদ নওয়াব, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর গফুর, মৌদাম সেসিপ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: জায়েজুল ইসলাম, পূর্বধলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হানিফ উদ্দিন রানা, জারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক মন্ডল প্রমুখ।

এসময় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠ‌নের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও দর্শকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খেলা শেষে অতিথিরা খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যুবসমাজকে মাদক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে এবং এই এলাকার যুবসমাজের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতেই এই আয়োজন করা হয়েছিলো।
খেলায় সঞ্চালনা করেন পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রদল সদস্য মোঃ শাহীন আলম তালুকদার ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ