আজঃ বুধবার ২১ মে, ২০২৫

জলবায়ু সংরক্ষণে ধর্মীয় সম্প্রীতি” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সেমিনার-২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রেস রিলিজ

“জলবায়ু সংরক্ষণে ধর্মীয় সম্প্রীতি” শীর্ষক
আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সেমিনার-২০২৪ অনুষ্ঠিত
খ্রিস্টিয় ঐক্য ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন, চট্টগ্রাম আর্চডাইয়োসিস এবং কর্ণফুলী এরিয়া প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ১২ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল সৈকতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সেমিনার-২০২৪’। উক্ত সেমিনারের মূলসুর নির্ধারণ করা হয়েছে: ‘জলবায়ু সংরক্ষণে ধর্মীয় সম্প্রীতি’। কর্ণফুলী এরিয়া প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ম্যানেজার মি. জনি রোজারিও উক্ত সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন। খ্রিস্টিয় ঐক্য ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপ কমিশন, চট্টগ্রাম আর্চন্ডাইয়োসিসের সমন্বয়কারী মি. এমরোজ গোমেজ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় তিনি বলেন- “সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছিলেন উত্তম হয়েছে। এরপর তিনি মানুষকে সমস্ত সৃষ্টির যত্নের কথা ভুলে গিয়েছি।” উপর কর্তৃত্ব প্রদান করেন এবং সৃষ্টির যত্ন নিতে উপভোগ করতে বলেন। কিন্তু আমরা মানুষ সৃষ্টিকে উপভোগ করে যাচ্ছি। আরেফিন রিয়াদ ও ইউজিন শুভর সঞ্চালনায়, সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কাথলিক আর্চডাইয়োসিসের প্রধান ধর্মগুরু ও সংলাপ কমিশনের চেয়ারম্যান পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, সিএসসি। প্রধান অতিথি পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, সিএসসি তার বক্তব্যে বলেন, “জলবায়ুর সংরক্ষণ করতে সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্ট প্রকৃতি ও সৃষ্ট মানব সমাজের মধ্যে ত্রিমাত্রিক সম্পর্ক জোরদার করা প্রয়োজন। ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এই সম্পর্কের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা ধর্মীয় সংলাপ ও সম্প্রীতির মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সকল ধর্মের ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় সাধু-সন্তদের জীবনাদর্শ থেকে সংযমী হওয়া, পারস্পরিক মর্যাদা প্রদান করা এবং যেসব ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে তার জন্যে বিনম্রতার সাথে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষতিপূরণের মনোভাব গড়ে তোলা প্রয়োজন যাতে প্রকৃতির যত্নে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে পারে” এছাড়া ‘জলবায়ু সংরক্ষণে ধর্মীয় সম্প্রীতি’ উপর সামগ্রিক আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্সেস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দীন। তিনি তাঁর সহভাগিতায় বলেন “বাংলাদেশে গত দুই দশক ধরে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব সুস্পষ্ট। ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ দূর্যোগপ্রবণ দেশ, এর পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দূর্যোগের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণ করতে হলে আমাদের প্রয়োজন সম্মিলীত প্রচেষ্টা।” এছাড়া মূলসুরের আলোকে স্ব স্ব ধর্মের শিক্ষার আলোকে যথাক্রমে, খ্রিস্টধর্মীয় শিক্ষার আলোকে ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ, নটর ডেম কলেজ ঢাকা এর প্রভাষক ফাদার ড. লিটন হিউবার্ট গোমেজ সিএসসি, ইসলাম ধর্মের শিক্ষার আলোকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুন্নবী আজহারী, সনাতন ধর্মের শিক্ষার আলোকে ইংরেজী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য্য, বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষার আলোকে লতিফা সিদ্দীক ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিমুল বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। চার ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে উপস্থাপিত বিদগ্ধ বক্তাগণের জ্ঞানগর্ভ বক্তব্যের আলোকে উপস্থিত সুধী সমাবেশ আলোচনায় অংশ নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন। অতঃপর উপস্থিত অংশগ্রহণকারী জলবায়ু সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে জলবায়ু সংরক্ষণে একযোগে প্রধান অতিথি ঘোষনা পত্র পাঠ করেন। উক্ত সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির সদস্য- তানভীর হোসাইন, দিলীপ বড়ুয়া, লায়ন ডা: বরুণ কুমার আচার্য, উইলিয়াম গমেজ, আক্রোফিন রিয়াদ, শ্যামল নন্দী, ইউজিন শুভ গোলদার, যোসেফ ডি’সিলভা, সি. মমতা পালমা এলএইচসি, ফ্লেভিয়ান ডি’কস্তা ও জুলিয়ান ডি’কস্তা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

হজ্জ: হৃদয়ের দিগন্তে আলেয়ার মতো জ্বলে ওঠা আত্মশুদ্ধির আলোকপাঁজর।

যখন কোটি কোটি হৃদয় এক সুরে উচ্চারণ করে—”লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক”, তখন আকাশ-বাতাসও থমকে দাঁড়ায়। হজ্জ তখন আর শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা থাকে না; হয়ে ওঠে আত্মার এক অভূতপূর্ব অভিষেক, পবিত্রতার এক অনন্য মহাসম্মিলন। মানুষের জীবনচক্রে এমন কোনো অধ্যায় নেই, যেখানে হজ্জের মত একান্ত ও গভীর আত্মসংশোধনের উপলক্ষ পাওয়া যায়।

ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের শেষতম অথচ সর্বোচ্চ স্তম্ভটি যেন এক অলৌকিক আহ্বান। এই আহ্বান আসে আকাশ পেরিয়ে হৃদয়ের গহীনে, যেখানে মানুষ সমস্ত পরিচয়ের অহংকার ছুঁড়ে ফেলে আত্মবিসর্জনের শুদ্ধতম অবস্থানে পৌঁছে যায়। ধনী-গরিব, রাজা-ভিখারী—সবাই একসঙ্গে দাঁড়ায় কা’বার চৌহদ্দিতে। এক রঙের পোশাক, এক কণ্ঠের ধ্বনি, এক দিকের সেজদাহ—হজ্জ আমাদের শেখায় বিশ্বমানবতার মহাঐক্য।

Oplus_0

এই হজ্জের সূচনা সেই ইতিহাসের গভীর থেকে, যেখানে পিতা ইবরাহিম (আ.) তাঁর একমাত্র পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কুরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। যে কা’বা ঘর তাঁর হাতে নির্মিত, সেই ঘরের চারপাশেই আজ কোটি মানুষের কান্না, তাওয়াফ, প্রার্থনা, নিঃশ্বাস। কত শত বছর পেরিয়ে গেছে, তবুও ইবরাহিম (আ.)-এর সেই আহ্বান—“আসো, তোমার প্রভুর ঘরে”—আজও প্রতিধ্বনিত হয় মিনার বাতাসে, আরাফার স্তব্ধতায়।

হজ্জ মানুষকে শিখিয়ে দেয় কীভাবে নতজানু হতে হয় এক মহান সত্তার সামনে। সেখানে নেই কোনো অহংকার, নেই কোনো রাজকীয়তা, নেই কোনো পার্থিব শ্রেষ্ঠত্ব—আছে কেবল আত্মবিসর্জন, কেবল ফিরে আসা, এক অনবদ্য অনুতাপে নিজের ভুলগুলো মুছে ফেলার ইচ্ছা। হজ্জ যেন একটি জীবন্ত দিগন্ত, যেখানে মুমিন তার অতীতকে পেছনে ফেলে নতুন এক আলোয় উদিত হয়।

যারা হজ্জ করেন, তারা ফিরে আসেন অন্য রকম হয়ে। চোখে থাকে এক গভীর শান্তি, কণ্ঠে থাকে বিনয়ের ঝরনা, হৃদয়ে থাকে নতুন করে জীবন শুরু করার স্পর্ধা। হজ্জ যেন এক স্বর্গীয় পুনর্জন্ম—যেখানে মানুষ নিজেকে ফিরে পায় আরও পবিত্র, আরও সত্যনিষ্ঠ এক মানুষ হিসেবে।

হজ্জের প্রতিটি ধাপে, প্রতিটি সূর্যোদয়ে ও প্রতিটি অশ্রুজলে ফুটে ওঠে ইসলামের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য—যেখানে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য। এমন ইবাদত এই পৃথিবীতে আর নেই, যা এতো সরল, অথচ এতো গভীর; এতো নিরব, অথচ এতো প্রভাবশালী।

এই ইবাদতের মাহাত্ম্য কেবল আখিরাতের প্রাপ্তিতে নয়, বরং দুনিয়ার জীবনেও এটি এক নতুন আবর্তন। হজ্জের পর এক মুসলিম যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তিত না হন, তবে সেই সফর কেবল ভ্রমণই থেকে যায়। কিন্তু যিনি অন্তর দিয়ে হজ্জ করেন, তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় হয়ে ওঠে যেন এক চলমান তাওয়াফ—আল্লাহর দিকে ফিরে ফিরে আসার অবিরাম সাধনা।

হজ্জ তাই কেবল একটি ইবাদত নয়, এটি এক জীবনদর্শন, একটি নিরব বিপ্লব, যা মানুষের ভেতরের অন্ধকার দূর করে এনে দেয় আলোর নিরবধি ছায়া।

“হজ্জ হলো এক আধ্যাত্মিক উল্লম্ফন—যেখানে মুমিন তার সমস্ত ভার ঝেড়ে ফেলে হালকা হয়ে যায় আল্লাহর রহমতের আকাশে।”

কক্সবাজারে শ্রী নৃসিংহদেবের শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আলোচনা সভা।

কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল উত্তর হিন্দু পাড়ায় শ্রী শ্রী নৃসিংহদেবের শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে ৫ম তম ২ দিনব্যাপী ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রবিবার (১১ মে) খুরুশকুল উত্তর হিন্দু পাড়া শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় হরি মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভক্ত ও ধর্মপ্রাণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল।

অনুষ্ঠানে নৃসিংহদেবের যজ্ঞ, অভিষেক, পবিত্র গীতাপাঠ প্রতিযোগিতা, শ্রীমদ্ভাগবত আস্বাদন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং ধর্মীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ধর্মীয় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ডা. পরিতোষ দত্ত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্র্যাজুয়েট প্রেস ক্লাব কক্সবাজারের যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক অন্তর দে বিশাল।

প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট ভাগবতীয় বক্তা শ্রী অজিত কুমার দাশ।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার আবদুর রহিম।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন খুরুশকুল ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিবলু পাল, কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নয়ন কান্তি দে, কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি রুপন কান্তি দে, কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সাবেক সভাপতি ছোটন কান্তি দে ও সমাজসেবক সমীরণ দে টিটু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় আয়োজক কমিটির সভাপতি রাসেল দে, সাধারণ সম্পাদক সৈকত দে, অর্থ সম্পাদক রাজু দে সহ সকল কর্মকর্তাবৃন্দ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ