আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

তিন শর্তে প্রাথমিক অনুমোদন

নগর পরিবহন বহরে যুক্ত হচ্ছে ২০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম মহানগরে পরিবহন বহরে যুক্ত হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস সার্ভিস। ‘চট্টলা চাকা’ নামে বাসগুলো সড়কে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে ‘শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা। প্রথম ধাপে সংস্থাটি ২০টি বাস নামানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে সড়কে বাসগুলো নামানোর কথা রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন এলাকার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি (আরটিসি) তিন শর্তে বাসগুলো নামানোর প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। শর্তগুলো হল-প্রতিটি গাড়ি ৪০ সিটের হতে হবে। গাড়ি ছাড়ার শুরু এবং শেষ প্রান্তে অর্থাৎ কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং কাটগড় প্রান্তে বাস রাখার নিজস্ব ডিপো থাকতে হবে, ডিপো ভাড়া নেয়ার চুক্তিপত্র বিআরটিএর কাছে জমা দিতে হবে এবং লোকাল যাত্রী নিতে পারবে না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, শর্তসাপেক্ষে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে কাটগড় পর্যন্ত ‘শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে এসি বাস নামানোর প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে আরটিসির সভায়। সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বাসগুলোকে রুট পারমিট দেয়া হবে। মতিউর আরো জানান, গাড়িগুলো কেনার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিআরটিএতে আবেদন করতে হবে। এছাড়া গাড়িগুলো বিআরটিএর কাছে প্রদর্শন করতে হবে। এরপর বিআরটিএর একটি টিম আরটিসির দেয়া শর্তগুলো পূরণ করেছে কিনা তা দেখতে সরেজমিন পরিদর্শনে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাসগুলোতে রুট পারমিটের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে।
জানা গেছে, নগরীর ১৮ রুটে ১৫৪৫টি বাস মিনিবাস চলাচলের অনুমোদন দেয়া হলেও ১০৪০টি গাড়ি চলাচল করছে। আরো ৫০৫টি বাস মিনিবাস চলাচল করতে পারবে রুটগুলোতে। একইভাবে নগরীতে অটোটেম্পোর রুট রয়েছে ২১টি। রুট গুলোতে ২৩৯৭টি গাড়ি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে আরটিসি। সেখানে রুট পারমিট নিয়েছে ১৮৩৯টি। আরো ৫৫৮টি অটোটেম্পোর রুট পারমিট নেয়ার সুযোগ রয়েছে। ১৮টি রুটে ১৪৫৬টি হিউম্যান হলার চলাচলের রুট পারমিট অনুমোদন দিয়েছে আরটিসি। সেখানে চলাচল করছে ৯৯৪টি। আরো ৪৬২টি হিউম্যান হলার পারমিট নিতে পারবে। এরবাইরেও প্রায় ২০০ বাস মিনিবাস আটশোর বেশি হিউম্যান হলার ও টেম্পো নগরীর বিভিন্ন সড়কে চলাচল করছে।
এর আগে ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি নগরীর ১৪ নম্বর রুটে ছয়টি পরিবহন নিয়ে এসি বাস সার্ভিস চালু করেছিল। সেটি স্থায়ী হয়নি। কয়েক মাসের মধ্যে সড়ক থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর তিনটি রুটে এসি বাস চালুর উদ্যোগ নেন। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এসব বাস চালুর জন্য কর্পোরেশনের ৫২তম সাধারণ সভায় সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। প্রথম দিকে তিনটি রুটে ১০০টি বাস নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এরমধ্যে কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা, ভাটিয়ারী থেকে লালদিঘি এবং নিউমার্কেট থেকে ফতেয়াবাদ রুটে বাসগুলো নামানোর কথা ছিল। পরে এই উদ্যোগ সফল হয়নি। আট বছর পর আবারও নতুন করে এসি বাস নামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আরটিসির সভায় অনুমোদনও পেয়েছে ‘শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেড’।
শান্তি এক্সপ্রেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, আরটিসির সভায় আমরা ২০টি বাস চলাচলের প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছি। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে কাটগড় পর্যন্ত এসব বাস চলাচল করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে সড়কে বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
শর্তসাপেক্ষে বাস নামানোর অনুমোদন প্রসঙ্গে শাহজাহান জানান, আরটিসি আমাদের তিনটি শর্ত দিয়েছে। সব শর্তপূরণ করেই সড়কে গাড়ি নামানো হবে। ইতিমধ্যে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এবং কাটগড়ে বাস পার্কিংয়ের জন্য জায়গা দেখা হচ্ছে। আশা করছি জুলাই মাসের আগে সবকিছু হয়ে যাবে। নিজস্ব পার্কিংয়ের স্থান না থাকলে গাড়িগুলো সড়কে রাখা যাবে না। এরমধ্যে নিজস্ব ডিপোর ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। রোজার ঈদের পর বাসগুলো নামানোর কথা থাকলেও ডলার সংকটের কারণে বাসগুলোর চেসিস ভারত থেকে আমদানি করা সম্ভব হয়নি। এখন জুলাই মাসের শুরুতে নামাতে পারবো বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে ১০টি বাস প্রস্তুত হয়েছে। চেসিস ভারতীয় কোম্পানি টাটা মোটরসের হলেও বডিগুলো ঢাকায় প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিটি বাসে আসন থাকবে ৪০টি। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় থাকবে, অর্থাৎ নির্ধারিত ভাড়ার অর্ধেক দেবেন তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ