আজঃ সোমবার ১২ মে, ২০২৫

রূপগঞ্জে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ

মাহাবুবুর রহমান রনি, রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া, বাঘবেড়, পানিআগ্রা, দক্ষিণবাগ, টেকবাড়ি, চোরাবো, টানমুশুরী, বৈরাগবাড়ি, সাহাপুর, মুশুরী, নোয়াগাঁও, দক্ষিণ নবগ্রাম, মাইফরাসপাড়া, রূপগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল ১৪জুন শুক্রবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পার পক্ষে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ছালাউদ্দিন ভুঁইয়ার অর্থায়নে এ সকল ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়। রূপগঞ্জ কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিতরণী সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান তারেক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ মোমেন, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব রমজান আলী, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব গোলাম রসূল, আনোয়ার হোসেন জমিদার, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সামসুল প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোন্তাজ উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা রাশিদুল, হাবিবুর রহমান বাবু, ইউপি সদস্য আওলাদ হোসেন প্রমুখ।

পরে দুই সহস্রাধিক নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যে নারীর পায়ের নিচে জান্নাত—তাঁকে শুধু একটি দিনে বন্দী করে রাখো না

বিশ্বময় আজ মাতৃভক্তির আনুষ্ঠানিকতা। ফুলের তোড়া, পোস্টের বহর, নকল আবেগের প্রদর্শনী। অথচ যাঁর স্তব্ধ ভালোবাসায় গড়ে ওঠে মানবতা, যাঁর নিঃশব্দ কান্নায় হয় সভ্যতার সূচনা, সেই মাকে মনে রাখা হয় শুধুই একটি দিনে? এত সংকীর্ণ আমাদের ভালোবাসা?

ইসলাম এমন একটি আদর্শ যে নারীর মর্যাদা ঘোষণা করে তখন, যখন সমাজ তাকে জীবন্ত কবর দিত। মরুপ্রান্তরের রুক্ষ বাতাসে যখন কন্যাসন্তান জন্ম এক অভিশাপ, তখন ইসলামের কণ্ঠে উঠে আসে মুক্তির জয়ধ্বনি—“মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত।”

এ শুধু একটি ধর্মীয় বাণী নয়, এ এক বৈপ্লবিক প্রতিজ্ঞা। পৃথিবীর কোনও সংবিধান, কোনও সভ্যতা, কোনও নারীবাদী ভাষ্য—মায়ের এমন আত্মমর্যাদা ঘোষণা করতে পারেনি, যতটা করে ইসলাম।

রাসূল সা.—যিনি নারীকে ‘রহমত’ বলে সম্বোধন করেন—তাঁর মুখে এক অমর বাণী:
“তোমার সবচেয়ে বেশি হকদার কে?”
“তোমার মা।”
“এরপর কে?”
“তোমার মা।”
“এরপর?”
“তোমার মা।”
তারপর তবে আসে পিতা।

এ এক ত্রিস্তরের সম্মান। ইসলাম নারীর সম্মান শুধু মুখের বুলি নয়—এ এক বিধাতার দেয়া মর্যাদা, আসমানি ঘোষণা।

মা—একজন নারী যিনি নিজেকে প্রতিদিন ভেঙে নতুন করে গড়েন সন্তানের জন্য, রাতের নিদ্রা বিসর্জন দিয়ে হাসি খুঁজে দেন মুখে, নিজে ক্ষুধার্ত থেকে তুলে দেন শেষ লোকমাটি।
ইসলাম বলেনি, ‘তাঁকে বছরে একদিন স্মরণ করো’। বরং বলেছেন, ‘তাঁর চরণতলে খুঁজে নাও জান্নাতের ঠিকানা।’

আধুনিক বিশ্ব যেখানে নারীকে স্বাধীনতার নামে ভোগ্যবস্তু বানিয়ে ছেড়েছে, সেখানে ইসলাম তাঁকে দিয়েছে পূর্ণ মর্যাদার স্বীকৃতি—একজন মা, একজন আদর্শ নির্মাতা, একজন প্রজন্মশিল্পী।

আজকের এই মা দিবসে আমাদের প্রয়োজন—ফুল নয়, ফেসবুক নয়—প্রয়োজন সত্যের কাছে ফেরা। ফেরার সেই নীতিতে, যেখানে নারী মানেই নিঃস্বার্থ, মা মানেই মহিমা।

আসুন, আমরা একটিবার ভাবি—একজন মায়ের যে পায়ের নিচে জান্নাত, তাঁকে কেবল একটি দিনে সীমাবদ্ধ করেতে কি আমাদের আত্মা কাঁপে না? আমরা কি সত্যিই ভালোবাসি, নাকি ভালোবাসার অভিনয় করি?

মাকে ভালোবাসা মানে ধর্মকে ভালোবাসা, জান্নাতকে ভালোবাসা। মায়ের সম্মান শুধু আবেগ নয়, এটি ঈমানের প্রমাণ।

র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার মৃত্যু নিয়ে স্ত্রী,র কিছু কথা।

আত্মহননের পর র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ফরিদপুরে পলাশের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা বলছেন – শাশুড়ি তাকে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করতে দেয়নি। ছেলেকে ছোট বাচ্চার মতো নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেন।
গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে সুস্মিতা বলেন – ‘ওর (পলাশ) আমার হাতের রান্না ভাল খাইত এজন্য আমার শাশুড়ি একপর্যায়ে আমার রান্নাই বন্ধ করে দিল। আমার শাশুড়ির ইথিক্স ছিল, ছেলে বিয়ে করবে বউ তাড়াতাড়ি বাচ্চা হয়ে যাবে। বউ সংসার আর বাচ্চা নিয়ে থাকবে, আর সে তার ছেলেকে নিয়ে থাকবে। আমার শাশুড়ি আমার স্বামীর যে ৩৫ বছর বয়স হলো ওকে নিজ হাতে খাইয়ে দিত।

যেদিন পলাশ গেল,ওইদিন সকালেও ওর মা ওকে খাইয়ে দিছে আড়াইটা বছর ধরে আমিও দেখতেসি যে, একটা বাচ্চা ছেলেকে যেভাবে তার মা প্যামপার করে ঠিক ওভাবে,প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ও কি পোশাক পরবে, ও কি পোশাক কিনবে, ও কোনটা পরে অফিসে যাবে না যাবে, ও কখন কি খাবে না খাবে, কখন ঘুমাবে, কখন ঘুম থেকে উঠবে, সবটা ওর মা নিয়ন্ত্রণ করত।
আর আমার স্বামী সেটা মেনে নিত। তো আমার একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে হল, এটা তো খুব প্রক্সি।

এক পর্যায়ে আমি আইডিন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছিলাম যে, আমি তো ওর বউ। কিন্তু আমার অস্তিত খুঁজে পাচ্ছিলাম না ওদের মাঝখানে। তারা মা-ছেলে দুজনে কথা বলত, আমি যখন ওদের মাঝে যেতাম তখন থেমে যেত। এটা কেমন ব্যবহার?’তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নির্লোভী ছিল। ও সৎ ছিল। ও আমাকে পছন্দ করে বিয়ে করসে। কিন্তু ও অনেক বেশি মাতৃভক্ত ছিল।

আমি সেটাকে অ্যাপ্রিসিয়েটও করতাম। কারণ আমিও তো একদিন মা হব। আমার সন্তানও তাহলে বাবার মত হবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন দেখলাম আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমি খুব আদর যত্ন করতাম ওকে, ওর মাকে। কিন্তু ওরা না আমাকে বুঝত না। আমার স্বামী আমাকে প্রচুর ভালবাসত। কিন্তু ওই যে একটা বয়সের গ্যাপ, ওই জন্য ও আমাকে বুঝত না।’তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের ৬-৭ মাস পর থেকে আমি বলা শুরু করি যে, কী, কোনো সমস্যা বা তোমার মেন্টালিটি এমন কেন?

তোমারই তো বউ আমি। তুমি পছন্দ করে আনসো, আমি যেহেতু আসি নাই। তাহলে তোমার কি কখনও ইচ্ছে করে না যে বউকে নিয়ে একটু থাকি বা বউকে একটু আলাদা করে সময় দেই। ও বলত যে না, বউকে আলাদা করে টাইম দেওয়ার কি আছে? মা আছে, আমি আছি, তুমি আছ- যা করব একসাথে করব। বউকে তো রাতে ভালবাসা যাবে, রাতে তো একসাথে ঘুমাই, তখনই ভালোবাসব। আমি বলতাম, বউকে মানুষ শুধু রাতে ঘুমানোর জন্য ভালবাসার জন্য বিয়ে করে? বড় কোনো শখ, আহ্লাদ কিচ্ছু থাকে না?’

এর আগে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় র‌্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা ‘আত্মহত্যা’ করেন। চট্টগ্রাম নগরীর র‌্যাব- ৭ এর নগরের বহদ্দারহাট ক্যাম্পে নিজ অফিস কক্ষে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। পলাশ সাহার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। পারিবারিক কলহের জেরে পলাশ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তার সুইসাইড নোটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ