
সরেজমিনে দেখা যায় নান্দাইল উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে এমনকি রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে এসব খাইটা। ছোট বড় নানা সাইজের এসব কাইটা কিনছেন কোরবানি দাতারা।

উপজেলার জাহাঙ্গিরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারে কিশোরগঞ্জ দেওয়ানগঞ্জ রোডের বায়তুল মামুদ জামে মসজিদ সংলগ্ন কাঠ ও খাইটা বিক্রেতা বাদল বেপারী জানান, এবছর ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে ওজন করে তারা কাইটা বিক্রি করেছেন। ওই খাইটা ৫ কেজি থেকে শুরু করে ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত ওজনের রয়েছে।
জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাক জানান তিনি একটি বড় কাইটা কিনেছেন। ওজন হিসেবে ওই খাটার দাম পরল ১০০০ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ধলাপাতা গ্রামের ইব্রাহিম জানান, গত বছর একটা খাইটা কিনেছিলাম ১০০ টাকায়। অথচ এবারে ওই একই মাপের খাইটাগুলো ওজন করে দোকানী যাচ্ছেন-২৫০ টাকায়। দাম বেশি হওয়ায় তিনি না কিনেই চলে যাচ্ছেন।

দোকানী বাদল মিয়া, কাইয়ূম,বারিক বেপারীসহ খাইটা বিক্রেতা জানান, ওই খাইটাগুলো তেঁতুল গাছ, জাম্বুরা গাছ, নিম গাছ, বনোয়া গাছ, কেটে তৈরি করা হয়। অন্য জিনিসের মতো গাছের দামও বেড়েছে। এছাড়া খাইটা উপযোগী তেতুল গাছ ও নিম গাছ ১৫-২০ বছরের পুরনো হওয়ায় দাম পরে অনেক বেশি। তাই কেজি দরে তারা খাইটা বিক্রি করেছেন।
তারা আরো জানান গত ৮-১০ বছর থেকেই কোরবানির ঈদের আগে খাইটা বেঁচেন। গত বছরও প্রায় ৩০০-৪০০ পিস খাইটা বিক্রি করেছিলেন। এবারও ৫০০-৬০০ খাইটা বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।