আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ময়মনসিংহ:

ঈদে চাহিদা বেড়েছে কাঠের গুড়া খাইটার

তৌহিদুল ইসলাম সরকার স্টাফ রিপোর্টার :

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ কে সামনে রেখে কোরবানি কেনার পাশাপাশি মাংস কাটার খাইটা বিক্রিও শুরু হয়েছে। তবে অনন্য বছর পিস হিসাবে বিক্রি হলেও এবার তা ভিন্ন, বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজিতে এমনকি পিস হিসাবেও বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায় নান্দাইল উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে এমনকি রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে এসব খাইটা। ছোট বড় নানা সাইজের এসব কাইটা কিনছেন কোরবানি দাতারা।

উপজেলার জাহাঙ্গিরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারে কিশোরগঞ্জ দেওয়ানগঞ্জ রোডের বায়তুল মামুদ জামে মসজিদ সংলগ্ন কাঠ ও খাইটা বিক্রেতা বাদল বেপারী জানান, এবছর ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে ওজন করে তারা কাইটা বিক্রি করেছেন। ওই খাইটা ৫ কেজি থেকে শুরু করে ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত ওজনের রয়েছে।

জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাক জানান তিনি একটি বড় কাইটা কিনেছেন। ওজন হিসেবে ওই খাটার দাম পরল ১০০০ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ধলাপাতা গ্রামের ইব্রাহিম জানান, গত বছর একটা খাইটা কিনেছিলাম ১০০ টাকায়। অথচ এবারে ওই একই মাপের খাইটাগুলো ওজন করে দোকানী যাচ্ছেন-২৫০ টাকায়। দাম বেশি হওয়ায় তিনি না কিনেই চলে যাচ্ছেন।

দোকানী বাদল মিয়া, কাইয়ূম,বারিক বেপারীসহ খাইটা বিক্রেতা জানান, ওই খাইটাগুলো তেঁতুল গাছ, জাম্বুরা গাছ, নিম গাছ, বনোয়া গাছ, কেটে তৈরি করা হয়। অন্য জিনিসের মতো গাছের দামও বেড়েছে। এছাড়া খাইটা উপযোগী তেতুল গাছ ও নিম গাছ ১৫-২০ বছরের পুরনো হওয়ায় দাম পরে অনেক বেশি। তাই কেজি দরে তারা খাইটা বিক্রি করেছেন।

তারা আরো জানান গত ৮-১০ বছর থেকেই কোরবানির ঈদের আগে খাইটা বেঁচেন। গত বছরও প্রায় ৩০০-৪০০ পিস খাইটা বিক্রি করেছিলেন। এবারও ৫০০-৬০০ খাইটা বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

প্রচন্ড শীতে কাজ নাই দিনমুজুরের

 

 

ভোরে আজান দেওয়ার সময় উঠেছি। রাতেই সাইকেলে কোদাল আর ডালি বাঁইধে রাখি। ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হয়। রাস্তায় আসতে আসতে মনে হয়, ফিরে যাই। এই শীতে সাত দিনে মাত্র এক দিন কাজ পায়েছি, এটা ছিল ১ জন দিনমুজুরের কথা।

কাজেম আলী (৪৫) যখন কথাগুলো বলছিলেন, তখন রোদের দেখা মেলে প্রকৃতিতে। তবুও শীতের জামা খোলেননি তিনি। বললেন, ‘রাস্তায় আসতি আসতি যে শীত গায়ে ঢুকে যায়, তা এই রোদে আর যাবি না।’

কাজেম আলীর সঙ্গে রাজশাহী নগরের তালাইমারী মোড়ে কথা হয়। তিনি রোজ কাজের সন্ধানে শহরে আসেন পুঠিয়া উপজেলার জয়পুর গ্রাম থেকে।

 

তালাইমারীর মতো রাজশাহী নগরের বিনোদপুর, রেলগেট, বর্ণালি মোড়, কোর্ট স্টেশনসহ কয়েকটি এলাকায় কাকডাকা ভোরে গ্রাম থেকে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন এই মানুষেরা। সাইকেল চালিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা এই শ্রমজীবী মানুষেরা সঙ্গ নিয়ে আসেন একটি ডালি আর কোদাল। সরকার পতনের পর শহরে কাজে একটু ভাটা পড়েছে। এই শীতে তা আরও কমে গেছে।

তালাইমারী মোড়ে কথা হয় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের মোতালেব আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গ্রামে কাজ নেই। ধান কাটাও শেষ হয়ে গেছে। আলু পেঁয়াজ লাগানোর কাজও প্রায় শেষ। শহরই এখন শেষ ভরসা। আমাদের তো আর জমিজমা নেই যে চাষ করে খাব।’ তিনিও সপ্তাহে এক দিন ৬০০ টাকার একটি কাজ পেয়েছিলেন বলে জানান।

একই গ্রামের মো. হাসান বলেন, এই শীতে কার ভালো লাগে এখানে কাজে আসতে। কাজ পেলে এক কথা। তিনি জানেন এখন কাজ পাওয়া কঠিন, তবুও আসেন। আজকে একটু রোদের তেজ আছে। কয়েক দিন আগে হাড়কাঁপানো শীত ছিলো।

রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলে। দিনের বেলায় রোদ উঠলেও কনকনে ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা ছিল।

তালাইমারীর মতো রাজশাহী নগরের বিনোদপুর, রেলগেট, বর্ণালি মোড়, কোর্ট স্টেশনসহ কয়েকটি এলাকায় কাকডাকা ভোরে গ্রাম থেকে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন এই মানুষেরা
তালাইমারীর মতো রাজশাহী নগরের বিনোদপুর, রেলগেট, বর্ণালি মোড়, কোর্ট স্টেশনসহ কয়েকটি এলাকায় কাকডাকা ভোরে গ্রাম থেকে শহরে কাজের সন্ধানে আসেন এই মানুষেরা৷

নগরীর রেলগেট এলাকায় গিয়ে কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে কথা হয়। পবার পারিলা ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম বলেন, ছয় দিন কাজে এসে চার দিনই ঘুরে যেতে হয়েছে। বাজারে এখন সবজি বাদে সবকিছুর দামই বাড়তি। সংসার চালাতে হচ্ছে ধারকর্জ করে।

পবা উপজেলার দামকুড়া এলাকা থেকে আসা আবদুল জব্বারও খুব বেশি কাজ পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘এত দূর থেকে সাইকেল চালিয়ে এসে কাজ পাই না। এই ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে আসি। কাজ পেলে সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। কিন্তু কাজ পাওয়া যেন সোনার হরিণ।

হোচট খেয়ে ট্রেেেনর ইঞ্জিনের নিচে পড়ে সিপাহীর হাত বিচ্ছিন্ন

চট্টগ্রামে দায়িত্বপালনরত অবস্থায় ট্রেনের কাটা পড়ে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সিপাহির। চট্টগ্রাম স্টেশনে ময়মনসিংহ হতে আগত চট্টগ্রাম বিজয় এক্সপ্রেসে ট্রেন ঢুকার পথে দায়িত্বপালনের সময় অসর্তক থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে হাত হারানো সিপাহীর নাম আবু জাফর মুন্না (৩৫)। তিনি অস্ত্র শাখায় কর্মরত। চট্টগ্রাম সিআই আমান উল্লাহ আমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেল স্টেশন প্রবেশের সময় কদমতলী রেল লাইনে দায়িত্ব পালনকালে রেললাইনে হোচট খেয়ে অসর্তক এ সিপাহী ট্রেেেনর ইঞ্জিনের নিচে পড়ে গেলে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রেল নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট শহিদ উল্লাহ বলেন, আহত মুন্নার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তিনি নিজেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ