আজঃ মঙ্গলবার ২৪ জুন, ২০২৫

ময়মনসিংহ:

ঈদে চাহিদা বেড়েছে কাঠের গুড়া খাইটার

তৌহিদুল ইসলাম সরকার স্টাফ রিপোর্টার :

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঈদুল আযহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ কে সামনে রেখে কোরবানি কেনার পাশাপাশি মাংস কাটার খাইটা বিক্রিও শুরু হয়েছে। তবে অনন্য বছর পিস হিসাবে বিক্রি হলেও এবার তা ভিন্ন, বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজিতে এমনকি পিস হিসাবেও বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায় নান্দাইল উপজেলার পৌর সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারে এমনকি রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে এসব খাইটা। ছোট বড় নানা সাইজের এসব কাইটা কিনছেন কোরবানি দাতারা।

উপজেলার জাহাঙ্গিরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুর বাজারে কিশোরগঞ্জ দেওয়ানগঞ্জ রোডের বায়তুল মামুদ জামে মসজিদ সংলগ্ন কাঠ ও খাইটা বিক্রেতা বাদল বেপারী জানান, এবছর ২৫/৩০ টাকা কেজি দরে ওজন করে তারা কাইটা বিক্রি করেছেন। ওই খাইটা ৫ কেজি থেকে শুরু করে ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত ওজনের রয়েছে।

জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাক জানান তিনি একটি বড় কাইটা কিনেছেন। ওজন হিসেবে ওই খাটার দাম পরল ১০০০ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ধলাপাতা গ্রামের ইব্রাহিম জানান, গত বছর একটা খাইটা কিনেছিলাম ১০০ টাকায়। অথচ এবারে ওই একই মাপের খাইটাগুলো ওজন করে দোকানী যাচ্ছেন-২৫০ টাকায়। দাম বেশি হওয়ায় তিনি না কিনেই চলে যাচ্ছেন।

দোকানী বাদল মিয়া, কাইয়ূম,বারিক বেপারীসহ খাইটা বিক্রেতা জানান, ওই খাইটাগুলো তেঁতুল গাছ, জাম্বুরা গাছ, নিম গাছ, বনোয়া গাছ, কেটে তৈরি করা হয়। অন্য জিনিসের মতো গাছের দামও বেড়েছে। এছাড়া খাইটা উপযোগী তেতুল গাছ ও নিম গাছ ১৫-২০ বছরের পুরনো হওয়ায় দাম পরে অনেক বেশি। তাই কেজি দরে তারা খাইটা বিক্রি করেছেন।

তারা আরো জানান গত ৮-১০ বছর থেকেই কোরবানির ঈদের আগে খাইটা বেঁচেন। গত বছরও প্রায় ৩০০-৪০০ পিস খাইটা বিক্রি করেছিলেন। এবারও ৫০০-৬০০ খাইটা বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ভালো লাভের আশা করছেন তিনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনায় পাহাড় না কেটেই রাস্তায় উন্নয়ন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের একটি পুরোনো পাহাড়ি পথকে চলাচলযোগ্য করতে গিয়ে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি, কাটা হয়নি গাছও। সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলো সরিয়েই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী সুবেন ঘাঘড়ার টিলা থেকে চৈতানগর মহসিন মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ কয়েক দশক ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এবং পর্যটকদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্ষায় কাঁদায় মাখা পিচ্ছিল এই পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে স্থানীয় প্রশাসন কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সমতলকরণ ও মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে।

লেংঙ্গুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “এটি বহু পুরোনো চলাচলের রাস্তা। এখানে কোনো নতুন পাহাড় কাটা হয়নি। ঝড়ে ভেঙে পড়া কিছু গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে সংস্কারকাজ চলছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের চাওয়া ছিল এই পথটি উন্নয়ন করার—এখন সেটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে।”

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা পুরোনো এই পথে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে। আশপাশে পাহাড় কাটা বা গাছ কাটার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, এটি পুরোনো পথ, নতুন করে কিছুই ধ্বংস করা হয়নি।

এই পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন নব্বই বছরের ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর সদস্য সুবেন মানখিন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাবা-দাদার সঙ্গে চলাফেরা করেছি। অনেক কষ্ট করে চলতে হতো। এখন রাস্তা সংস্কার হওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

স্থানীয়রা—তপন সাংমা, চুহিন হাজং, জুই ঘ্রা, পীযূষ বণিক ও রফিকুল ইসলাম—সবাই বলেন, “এটি পুরোনো রাস্তা, নতুন করে কিছুই কাটা হয়নি। বরং আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য যেই পথে আমরা আগে চলতাম, সেটাই উন্নয়ন করা হচ্ছে। এজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে তারা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে লেংঙ্গুরা বনবিভাগের বিট অফিসে কর্মরত বনরক্ষী আখতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, “এই রাস্তা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। পুরোনো রাস্তাটিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি।”

স্থানীয়দের অভিমত, উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগণের স্বার্থ—উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই প্রকল্পে সেই ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে বলে তারা মত দিয়েছেন।

নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিক, সাধারণ সম্পাদক শামীম।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেত্রকোনা জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি হলেন অনিক মাহবুব চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা শামীম।

বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তাদের যৌথ স্বাক্ষরিত এক পত্রে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের নয় সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি তথ্য জানা গেছে।

নেত্রকোনা ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি অনিক মাহবুব চৌধুরী এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নয় সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জিপু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোকশেদুল আলম রাজীব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরাফাত বাবু ও আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান দোলন, প্রচার সম্পাদক (যুগ্ম-সম্পাদকের পদ মর্যাদা) আশরাফুল ইসলাম খান পাঠান প্রান্ত।

নবগঠিত নয় সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির সদস্যবৃন্দকে আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ