
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আতিকুজ্জামান ওরফে রুবেল (৩৪) নামের এক যুবক তালাকপ্রাপ্তা ২য় স্ত্রীকে নিয়ে অবৈধভাবে সংসার এবং তারই সহযোগীতায় ১ম স্ত্রীকে নির্যাতন ও জানে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকালে উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের সতীরজান গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে রুবেলের বাড়ির সামনে মুমূর্ষুমান অবস্থায় পড়ে থাকা তার ১ম স্ত্রী ২ সন্তানের জননী জেসমিন, ওখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
আহত জেসমিন বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে রামজীবন ইউনিয়নের কে কৈ কাশদহ গ্রামের ইছহাক আলী মুন্সির মেয়ে।

বিগত ১২ বছর আগে রুবেল ও জেসমিনের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে জেহাদ (৮) ও আবিদা (৪) নামে ২ সন্তান রয়েছে। গার্মেন্টসকর্মী রুবেল স্ত্রীসহ ২ সন্তানের তথ্য গোপন রেখে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাদারপুর গ্রামের আঃ আজিজ-বিউটি বেগম দম্পত্তির মেয়ে মিম আক্তারকে বিয়ে করেন। এরপর মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবীতে জেসমিনকে নির্যাতনের পর সন্তানদেরসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন রুবেল ও তার পরিবারবর্গ। তখন থেকে জেসমিন তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করায় গত ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর মিম আক্তারকে তালাক প্রদান করেও রুবেল তাকে নিয়ে অবৈধভাবে সংসার করছেন। এদিকে, ঈদ উপলক্ষে পরের দিন (১৮ জুন) জেসমিন তার সন্তানদের টানে বাড়িতে গেলে পরিবারের সবাই মিলে নির্যাতনের পর উঠানে ফেলে আসেন। খবর পেয়ে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মনির হোসেন জেসমিনকে উদ্ধার পূর্বক স্বজনের নিকট হস্তান্তর করেন।
কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান সিরাজ বলেন- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়। জেসমিন বেগমকে উদ্ধার করে তার স্বজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।