আজঃ শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে সিন্ডিকেট করে পানির দরে চামড়া ক্রয় সাড়ে তিন লাখ সংগ্রহ নগর ও উপজেলায়

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম নগরী ও ১৬ উপজেলায় এবার তিন লাখ ৬১ হাজার কোরবানি পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। আড়তদাররা জানান, গতবারের চেয়ে এবার কিছুটা বাড়তি দামে চামড়া কিনেছেন তারা। তবে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেঁধে দেওয়া দরে চামড়া কিনেননি আড়তদাররা। অন্যান্য বছরের মতো এবার সিন্ডিকেট করে পানির দরে চামড়া কিনেছেন আড়তদাররা।
আড়তদার সমিতির তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে তিন লাখ ৬০ হাজার ৯৫০ পিস চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে গরুর চামড়া দুই লাখ ৯৭ হাজার ১৫০ পিস। মহিষের চামড়া ১২ হাজার ২ শ পিস। ছাগলের চামড়া ৫১ হাজার ৬ শ পিস। ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া না কিনলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন আড়তদাররা।
বৃৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, উপজেলা পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের যে উদ্যোগ সেটা খুবই চমৎকার হয়েছে। এরফলে চামড়ার মান ভালো থাকবে। তিনি বলেন, এখন ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনলেই হয়। তাহলে লোকসান গুনতে হবে না।
মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, এবার চট্টগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। দেশের সম্পদ নষ্ট হয়নি। তিনি দাবি করেন, ছোট আকারের গরুর চামড়া ৩-৪ শ টাকা, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ৫-৬ শ টাকা এবং বড় আকারের গরুর চামড়া ৭-৯ শ টাকা দরে কিনেছেন আড়তদাররা।
বৃৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির এক ব্যবসায়ী বলেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ও বাসা বাড়ি থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। সেই চামড়া তিন- চার হাত ঘুরে আতুরার ডিপো এলাকার আড়তে আসে। কোরবানিদাতা থেকে আড়তে আসতে দাম অন্তত দু- তিন গুণ বেড়ে যায়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ব্রাজিলের সাও পাওলোতে বাংলাদেশি পণ্যের মেলা

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের আয়াতন ৮৫ লাখ বর্গমাইল আর বাংলাদেশের ১ লাখ বর্গমাইল। ব্রাজিল আয়তনের দিক দিয়ে ৮৪ লাখ বর্গমাইল বড় হলেও জনসংখ্যার দিকে দিয়ে বাংলাদেশের সমান। ব্রাজিল থেকে দেশে আমদানি হয় চিনি, সয়াবিন তেল। দেশ থেকে রপ্তানি হয় পোশাক। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এটিকে কাজে লাগাতে আগামী ১৫ থেকে ১৮ জুন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে মেলা বসবে।

‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫’ নামের মেলায় রপ্তানিযোগ্য পণ্যের প্রচার, বাজার বৈচিত্র্যকরণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার এবং ল্যাটিন আমেরিকায় বিশেষ করে ব্রাজিলে নেটওয়ার্কিং সহজতর করার লক্ষ্যে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে ব্রাজিল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই)।
১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিল-বাংলাদেশ চেম্বারের পরিচালক ইমরান চৌধুরী এ তথ্য জানান। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিল অ্যাম্বেসী ঢাকার ডেপুটি হেড অব মিশন

লিওনার্দো ডি অলিভিরা জানুঝি, ব্রাজিল বাংলাদেশ চেম্বারের পরিচালক ইমরান চৌধুরী, চেম্বারের সেক্রেটারি জেনারেল মো. জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিচ কচি, সদস্য মুস্তফা নঈম, মো. শহীদুল ইসলাম, মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, রফিকুল ইসলাম সেলিম, মজুমদার নাজিম উদ্দিন প্রমূখ ।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেছেন, ব্রাজিল বাংলাদেশ চেম্বার ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশী পণ্যের প্রচার ও প্রসারে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশী অপ্রচলিত পণ্য বিশ্ববাজারে তুলে ধরার জন্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের আহ্বান জানান।

ব্রাজিল-বাংলাদেশ চেম্বারের পরিচালক ইমরান চৌধুরী বলেন, ব্রাজিল এবং ল্যাটিন আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশী পণ্য বাজারজাতকরণ, ব্রাজিলের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে ব্যবসার জন্য আমন্ত্রণসহ দুই দেশের সংস্কৃতি ও নানা বিষয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী ১৫ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ৩ দিনব্যাপী ব্রাজিল-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ব্রাজিলের সাও পাউলোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫।

‘মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫’ ব্রাজিল এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ ব্যবসাকে তাদের উৎকর্ষ প্রদর্শন এবং অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম । আমি নিশ্চিত, এ অনুষ্ঠান পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করবে এবং ভবিষ্যতে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে।
এ এক্সপো বিবিসিসিআইয়ের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন পথ খোলার দৃষ্টি ভঙ্গির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের

রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন বাজারে প্রবেশ এবং তাদের ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী উন্নীত করার জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। আপনি যদি পোশাক শিল্পের একজন নেতা, পাটজাত পণ্যের অথবা ওষুধ শিল্পের একজন অগদূত হন এই ইভেন্টটি আন্তর্জাতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আপনার প্রবেশদ্বার। বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের কাছে, এ এক্সপো নতুন বাজারে প্রবেশ এবং ব্যবসাকে বিশ্বমঞ্চে উন্নীত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।

চট্টগ্রামে ফল খালাস বন্ধের হুমকি, অতিরিক্ত শুল্ক

চট্টগ্রামে মানববন্ধন করেছেন ফল ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের রেলওয়ে মেনস ক্লাবস্থ ফলমন্ডির সামনে তাজা ফল আমদানিতে বর্ধিত ভ্যাট এবং অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম।

এসময় বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন, মুহাম্মদ আলমগীর, আমদানিকারক আবুল কালাম আজাদ, নাজমুল হাসান মাহমুদ শিমুল, আবু বক্কর, জুনাইদুল হক ও ফল ব্যবসায়ী হোসেন বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে অংশ নেন চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি আলী আব্বাস খান, সহ সাধারণ সম্পাদক রাশেদ কামাল মুন্না, ধর্ম ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবু বক্কর, দপ্তর ও পাঠাগার সম্পাদক আয়াজ মিয়া, প্রচার সম্পাদক জুনাইদুল হক, প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল লতিফ, সদস্য আবদুর রহিম, ওমর ফারুক, সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী মালেক চৌধুরী. সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল হক চৌধুরী,

আলমগীর, সাবেক অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ হানিফ, শহিদুল্লাহ, সাবেক ধর্ম সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধনে তাজা ফল আমদানিতে বর্ধিত ভ্যাট এবং অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার না হলে ২ ফেব্রুয়ারি এনবিআর ভবনের সামনে অবস্থান এবং ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের সকল সমুদ্র, নৌ এবং স্থল বন্দর দিয়ে একযোগে আমদানিকৃত তাজা ফল খালাস বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ