আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঢাকা:

আছাদুজ্জামান মিয়ার তথ্য প্রকাশে পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঢাকা অফিস:

চাকরির খবর:

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২৪ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

জিসানুল হক গাজীপুর মহানগর পুলিশের বৈধ আড়ি পাতা শাখায় (এলআইসি) কর্মরত ছিলেন। সাবেক ডিএমপি কমিশনারের ব্যক্তিগত তথ্য তিনি প্রকাশ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জিএমপির সিটিএসবি অ্যান্ড প্রটেকশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিসানুল হকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা ৩৯(১) এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী সরকারি চাকুরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে বিবেচিত হওয়ায় এতদ্বারা তাকে সরকারি চাকুরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।এর আগে, গত ১৯ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে জিসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ করে একটি চিঠি দেয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। এতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করা হয়।

সম্প্রতি আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রাইবার অ্যাপলিকেশন ফরম বা ইএসএএফ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ফরমে একজন ফোন গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, আঙুলের ছাপসহ বিস্তারিত তথ্য থাকে। এই তথ্য ফাঁসের পেছনে জিসানুল হক জড়িত বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিমএপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। তার সম্পদ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয় ঈদুল আজহার আগের দিন রোববার ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার খবরকে কেন্দ্র করে। ওই খবরে বলা হয়, পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট, ছেলের নামে একটি বাড়ি এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।

ওই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এল ব্লকের লেন-১-এ ১৬৬ এবং ১৬৭ নম্বরে ১০ কাঠা জমির ওপর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রী আফরোজা জামানের মালিকানায় ছয়তলা একটি বাড়ি রয়েছে। রাজধানীর ইস্কাটনেও আছাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে ধানমন্ডিতে। এর বাইরে সিদ্ধেশ্বরীতে আছাদুজ্জামানের মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।

প্রতিবদেন আরও বলা হয়, গাজীপুরের কালীগঞ্জের চাঁদখোলা মৌজায় ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সর্বমোট ১০৬ শতক জমি কেনা হয় আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কৈয়ামসাইল-কায়েতপাড়া মৌজায় আফরোজার নামে ২৮ শতক জমি কেনা হয়। একই বছর একই মৌজায় আরও ৩২ শতক জমি কেনা হয় তাঁর নামে। পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি রয়েছে আছাদুজ্জামান মিয়ার নামে। এ ছাড়া আছাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর আফতাবনগরে ২১ কাঠা জমি রয়েছে। নিকুঞ্জ-১-এ আছাদুজ্জামানের ছোট ছেলের নামেও একটি বাড়ি রয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে বুধবার গভীর রাতে একদল দুর্ধর্ষ ডাকাত দল চার-পাঁচ টি স্বর্ণের দোকানে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের শ্রী রতন কুমার কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, উত্তম কুমার কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর স্বর্ণের দোকানগুলোর তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত ডাকাত দল প্রায় ৩০/৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রতন কুমার কর্মকারের বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকার কে মারধর করে আরও ১০ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রী রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন,একটি ডাকাত দল বাজারে নেমে দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমেই বেঁধে ফেলেন।রতন কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকতেই আমি তিন তলায় উঠে প্রতিবেশীদের ফোন করি। কিন্তু কেউ আসেনি। পরে দীপকে ফোন করলেও বের হতে পারেনি, কারণ তার দরজার সামনে দুইজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে ছিল।’

তারপর প্রায় ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে স্বর্ণের দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং কিছুক্ষণ পরে তারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সব লুট করে। তার মা স্বর্ণের গহনা খুলে দিতে দেরি করলে তাকে অনেক মারধর করে। রঞ্জন কর্মকার বাধা দিলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সহ সাপল,লোহার রড ছিলো বলে তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান,দুর্ধর্ষ ডাকাত দল স্পিডবোট যোগে গভীর রাতে বাজারে এসে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ডাকাতি করে গুমানী নদীর ভাটির দিকে চলে যায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবির ওসি রাশিদুল ইসলাম, ডিবির একটি টিম এবং ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

বিশ্বজুড়ে কর্পোরেট মিডিয়ার সংবাদ নিয়ে বিশ্বাস যোগ্যতার সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে : মাহবুব মোর্শেদ

বিশ্বজুড়ে কর্পোরেট মিডিয়ার সংবাদ নিয়ে বিশ^াস যোগ্যতার সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে। এ কারণেই বিবিসির মতো মৌলিক সংবাদ মাধ্যমগুলোও ‘মোজো’ (মোবাইল জার্নালিজম) চালু করেছে। তারা বুঝেছে, সুপরিশীলিত সংবাদ থেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কাঁচা কিন্তু বাস্তব ভিডিও বা পোস্ট মানুষের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক, কবি ও কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মোবাইল ও অন্যান্য নন কনভেশনাল মিডিয়ার কার্যকর ভুমিকার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর আধুনিক তথ্য প্রবাহকে গ্রহন করার জন্য আমরা এখনো মানসিকভাবে তৈরী নই। এক ধরণের পুরোনো সেকেলে গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে আছি। আমরা পত্রিকা পড়ব। কিন্তু নতুন প্রজন্মের সংবাদমাধ্যমকে গ্রহণ করাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে “মুক্ত গণমাধ্যম ও আগামীর চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী আর রাজী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্র্রফেসর এস. এম. নসরুল কদির, মুখ্য আলোচকের বক্তব্য দেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক।
বাসস’র প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, নতুন প্রযুক্তিকে গ্রহণ করার মধ্য দিয়েই আমরা সামনে এগোতে পারব। যেসব দিক নেতিবাচক, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। দমন, পীড়ন, নিয়ন্ত্রণ, বন্ধ করে দেওয়া, এই মানসিকতা ত্যাগ না করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমরা যখন একটি প্রজন্মের ব্যবহৃত ডিভাইসকে শত্রু হিসেবে দেখি, তখন আসলে সেই প্রজন্মকেই বলছি; এই জায়গা দিয়ে দেশের মুক্তি আসবে না। কিন্তু ২০২৪-এ যে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, সেখানে আমাদের ওপেন, গণতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে পরিচালিত যে সংবাদপত্র-টেলিভিশনগুলো আছে, যেগুলো মূলত মালিক, সরকার ও আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এবং যাদের সাথে নৈকট্য বেশি আমরা সেসব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই।

বাসস’র প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে আমরা অনেকেই অংশ নিয়েছিলাম। যদি আমরা স্মরণ করি, তখন প্রচলিত গণমাধ্যমের ভূমিকা কী ছিল, রাষ্ট্রীয়ভাবে নিবন্ধিত পত্রপত্রিকা বা যেসব প্রতিষ্ঠানে আমাদের পরিচিতরা কাজ করেন, সেসব মাধ্যমে আমরা কি সেই অভ্যুত্থানের খবর যথেষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি ? একদমই কম পেয়েছি। প্রায় সবগুলো টেলিভিশনই ‘বিটিভি’ হয়ে গিয়েছিল। তারা যেন সরকারি প্রচারের মুখপাত্রে রূপ নিয়েছিল। প্রচলিত, নিবন্ধিত, কনভেনশনাল মিডিয়ার বৃহৎ অংশই হয় এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে, নয়তো একে পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট করেছে। তাহলে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের খবরগুলো কে ছড়িয়েছে ?

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এস. এম. নসরুল কদির বলেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে এসেও “মুক্ত গণমাধ্যম ও আগামীর চ্যালেঞ্জ” নিয়ে আমাদে;র আলোচনা করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা কী, মুক্ত কী, গণমাধ্যম কী, সংবাদ মাধ্যম কী, এসবের একটা বিচার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আমরা প্রত্যেকেই যদি প্রত্যেকের জায়গায় সৎ থাকি, তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

মুখ্য আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক বলেন, অবাধ তথ্যের কথা বলে অন্যের চরিত্র হরণ, অন্যের নামে অপবাদ দেওয়া, অপতথ্য-মিথ্যাতথ্য প্রচারের মত অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা রাখতে হবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিশ^াসযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রেল লাইনের মত সমান্তরালভাবে চলতে হবে।

আলোচনা সভার ধারণাপত্র উপস্থাপক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী আর রাজী বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র ‘মুক্ত সংবাদমাধ্যম’ চায় কারণ গণতন্ত্রের বেঁচে বা টিকে থাকার শর্তই হচ্ছে ‘মুক্ত সংবাদমাধ্যম’। এরা পরস্পর ‘পারস্পরিকতাবাদ’ বা ‘মিউচুয়ালিজম’-এ আবদ্ধ। গণতন্ত্র ঠিকাতে হলে ‘মুক্ত সংবাদমাধ্যম’ চাই আর ‘মুক্ত সংবাদমাধ্যম’ ঠিকাতে চাইলে গণতন্ত্র চাই।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য গোলাম মাওলা মুরাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সায়মা আলম, এ্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম মো. জানে আলম, এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, দৈনিক ইনকিলাবের ডেপুটি ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম সেলিম, দৈনিক আমার দেশের ব্যুরো প্রধান সোহাগ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ