আজঃ শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ভোলায় দশ কৃষককে তৈল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পুরস্কার বিতরণ

মোকাম্মেল হক মিলন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এক কৃষক সমাবেশে দশজন কৃষক কে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপপরিচালক মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন কৃষি সম্প্রসারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের উৎসাহিত করতে পুরস্কার বিতরণ করছেন। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার তথা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করছেন। সম্মানিত কৃষকদের কৃষি উৎপাদনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তিনি কৃষকদের বেশি ফসল উৎপাদন করে লাভবান হতে ধান, সবজি এবং তৈল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে আহ্বান জানান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাসান ওয়ারিসুল কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শস্য আলী আজম শরীফ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক পরিচালক মোঃ শাহাবুদ্দিন, দৌলত খান কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা ছিদ্দিকা, তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম অনিক বিএডিসির বীজ কর্মকর্তা, বোরহান উদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদান রাখায় দশজন কৃষক কে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার কর্তৃক এই পুরস্কার প্রদান করছেন।এবার তৈল জাতীয় ও সবজি ও ধান চাষ সফলতা অর্জন করায় কৃষকদের পুরস্কারের মাধ্যমে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। এছাড়াও সরকার কৃষকদের নানান ধরনের সরঞ্জামসহ বীজ দিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাবনার চলনবিলে অপরিকল্পিতভাবে বানিজ্যিক পুকুর খনন

পাবনা জেলার চলনবিলের বিভিন্ন  এলাকার  এ কৃষিজমিতে দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। জমির উপরিভাগের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। রাতের আধারে কৃষিজমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। প্রতি বছর কৃষিজমির বড় একটি অংশ চলে যাচ্ছে বানিজ্যিক পুকুর খননে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় কিছু কিছু অসাধু ব্যক্তি আবাদি জমিতে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে ভেকু মেশিন দিয়ে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব। ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের অর্থের লোভ দেখিয়ে তিন-চার ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুরে পরিনত করছে।
১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রন আইন ( সংশোধিত ২০০১) অনুযায়ী, কৃষিজমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে।
এ কাজে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের কারাদন্ড দেয়ার বিধান আছে। এ ক্ষেত্রে এ কাজের সাথে জড়িত জমি ও ইটভাটার মালিক উভয়ের জন্যই সমান শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
জেলার ৯টি উপজেলায় অবাধে চলছে জমির মাটি কাটার ঘটনা। মাটি কাটা হচ্ছে স্কেভেটরে (ভেকু মেশিন)। পরে ট্রাকে করে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায়। ভাঙ্গুড়া,ফরিদপুর  চাটমোহর,বেড়া, সুজানগর, সাঁথিয়া,আটঘড়িয়া, ঈশ্বরদী উপজেলায় কৃষিজমি কেটে বানিজ্যিক পুকুর খনন করা হয়েছে। এরমধ্যে আটঘড়িয়া সাঁথিয়া  ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে, হচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরেই ভাঙ্গুড়া,ফরিদপুর, চাটমোহর, আটঘড়িয়া, ঈশ্বরদী,সাঁথিয়া, সুজানগর বেড়া উপজেলা এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ফসলী জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে।
 সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শ্রেণি পরিবর্তন করে আবাদযোগ্য জমিতে পুকুর খননের সুযোগ নেই আইনে। তারপরও এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি নানান কৌশলে পুকুর খনন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিল ও নিচু এলাকাগুলোকে অনাবাদি বিংবা এক ফসলি দেখিয়ে পুকুর খনন করছেন তারা।
পুকুর খনন বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা সদর  উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও  নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট  মোঃ মুরাদ হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে পুকুর খনন করা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের অভিযান চলমান আছে। ইতিমধ্যে অনেককে জরিমানাসহ আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

রাজশাহীতে কৃষক পাচ্ছে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা

রাজশাহীতে কৃষক পাচ্ছে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা।
দেড় যুগ আগেও এসব জেলায় সেচের অভাবে অনাবাদি পড়ে থাকত শত শত হেক্টর জমি। শুষ্ক মৌসুমে ফসলি জমির মাটি ফেটে যেত। শুধু বর্ষাকালেই কৃষকেরা এক মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারতেন। কিন্তু বরেন্দ্র সেচ প্রকল্প চালুর পর সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে।

বর্তমানে স্মার্ট প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে ঘণ্টাপ্রতি ১২০ থেকে ১৪৫ টাকায় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে আউশ, আমন ও রবি মৌসুমে কোনো জমি অনাবাদি থাকছে না। সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ ও আলুসহ নানা ধরনের ফসলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে।

বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেচ কার্যক্রম চালু রাখতে গভীর নলকূপ স্থাপন এবং নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কৃষকদের পানি সাশ্রয়ী ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া ও পাবনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। প্রায় ২০০টি ডিপ টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে গেছে।

বিএমডিএর সেচ উইংয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, এসব এলাকায় নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বরেন্দ্র অঞ্চলে ৯ হাজার ১০০টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ কৃষকের ৩ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। কৃষকেরা এই উদ্যোগকে কৃষি উৎপাদনের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ