আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঢাকা:

নারী নির্যাতন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার ও পেশাজীবি সংগঠন

আকতার হোসাইন সাভার প্রতিনিধি:

ঘরে বাহিরে নারী:

সাভারে নারী নির্যাতন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার পেশাজীবি সংগঠন । গত মঙ্গলবার ( ২৫ শে জুন ) সকালে ঢাকার সাভার প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, সাভারের ব্যাংককলোনীর মালি পাড়ায় স্বামী সৈয়দ আমজাদ ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য কর্তৃক বারবার গৃহবধু সুমাইয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এতে করে দীর্ঘদিন সুমাইয়া মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল। ভুক্তভোগী পরিবার এ ব্যাপারে কোথাও সুবিচার পায়নি।

মানববন্ধন থেকে ঘটনার সঠিক তদন্ত করে গৃহবধু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, আইন সহায়তা কেন্দ্র আসফ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা ফাউন্ডেশন, স্যোসাল এন্ড লিগাল এফেয়ার্স হিউম্যান রাইটস, ম্যান ফর ম্যান ফোর্স, বাংলাদেশ ফার্মেসি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, স্টার ভিলেজ ডক্টরস ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল এডুকেশন এন্ড হেলথ ফাউন্ডেশনসহ বারটি সংগঠন এই মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নারায়নগঞ্জ আড়াইহাজার সড়ক ও জনপথের জায়গায় রাতের আধারে মাটি কাটতে গিয়ে মাটি ধ্বসে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে নিহত -১

নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী বাজারে চলমান প্রকল্পের কাজে বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে একজন নিহতহ হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম সজল।সজলের বাড়ী পাবনার সাথীয়া থানায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নারায়নগঞ্জ কর্তৃপক্ষের এজায়গাটি পাঁচরুখী বাজারে। এখানে সওজ এর
ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পাশেই রয়েছে আব্দুল মালেক মডার্ণ হাসপাতাল। হাসপাতালটিরও অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষের দেয়া তথ্যে জানা যায়। দূর্ঘটনাস্থল থেকে সজলের মৃত দেহ ডাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে,এমনটাই
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

মোহাম্মদ জসিম নামে এক ব্যক্তির সড়কের পাশে তার এক শতাংশ জায়গা রয়েছে। উক্ত জায়গায় সড়ক ও জনপথের বিনা অনুমতিতে ১৫ থেকে ২০ ফুট গর্ত করা হয় এক্সেবেটর দিয়ে। এর ফলে বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট হয়ে যায়। এতে করে হাই ভোল্টেজে বিদ্যুৎ লাইনে জড়িয়ে শ্রমিক সজলের মৃত্যু হয়। বিদ্যুতের খুঁটি হেলে পড়ে মডার্ণ হাসপাতালের মূল্যবান যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে অকেজো যায়, একই সাথে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় হাসপাতালের প্রায় ১ কোটি টাক্ষা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার পরদিন উক্ত এলাকায় ৫.৭ মাত্রার ভুমিকম্প হওয়ায় ফ্লাইওভারের কাজটিও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে মোহাম্মদ জসিমকে ফ্লাইওভার প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মাটির গর্ত না করার নিষেধ করলেও কিন্তু মোহাম্মদ জসিম অফিস আদেশকে তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে উক্ত জায়গায় কাজ চলমান রাখে। ফলে হাই ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারের সাথে স্পর্শ লেগে শ্রমিক সজল মারা যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কোন লোক দূর্ঘটনাস্থলে আসেনি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দেখেছেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।


হাজী আব্দুল মালেক মডার্ণ হাসপাতালের মো. আল আমিন প্রধান জানান, ঢাকা-সিলেটের মহাসড়কে অবস্থিত নারায়নগঞ্জ আড়াই হাজার উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় আমার মালিকানাধীন একটি বেসরকারী হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতালের সামনের পশ্চিম দিকে রয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। সংযত কারণে সড়কের পাশে জায়গাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নারায়নগঞ্জের। সওজের জায়গা দখলে রেখে আমার হাসপাতালের আসা যাওয়া বাধাগ্রস্থ করতে মোহাম্মদ জসিম রাস্তার পাশে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসহ ১৫ থেকে ২০ ফুটের একটি গর্ত করে। এতে আমার হসাপাতাল ভবনের লাগোয়া গর্তের মাটি ধসে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি আমার হাসপাতালে হেলে পড়ে এবং আমার সপ্তম তলা বিশিষ্ট ভবনটি ক্ষতি হবার সম্ভবনা দেখ দিয়েছে এবং নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারও ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

মো. আল আমিন প্রধান আরো জানান, মোহাম্মদ জসিম সড়ক বিভাগের ওই জায়গা দখল করায় আমার হাসপাতালে চলাচলে বাধাগ্রস্থের বিষয়টি ইতিপূর্বে লিখিতভাবে আড়াই হাজার থানায় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। উক্ত বিষয়ে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা নং-৩২৪/২০২৫ দায়ের করেছিলাম। আদালত মোহাম্মদ জসিমকে এ মামলা থেকে অব্যহতি দিলেও আড়াই হাজার থানায় সহকারী কমিশনার (ভূমি),কে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহনকৃত জায়গাটি সরকারের স্বার্থ সংরক্ষণে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।

একই সাথে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে বলেন। কিন্তু জসিম রাস্তার পাশে নিজের এক শতক জমির পাশে সড়কের জায়গায় গর্ত করে রাষ্ট্রীয় স্থাপনা নষ্ট করছেন এবং আমার হাসপাতালের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন। ইতিপূর্বে আমার দেয়া অভিযোগ প্রশাসন ও ভূমি অফিস জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন করলে এ দূর্ঘটনা ঘটতোনা, এমনকী রাষ্ট্রীয় স্থাপনাও নষ্ট হতোনা।

এ ব্যাপারে আড়াই হাজার থানার কর্তৃপক্ষ যথাযত ব্যবস্থা গ্রহন করেবেন বলে গণমাধ্যমকে আশ্বস্থ করেছেন। বিদ্যুত বিভাগও আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এমনটি গন্যমাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা। সড়ক বিভাগ নারায়নগঞ্জ জানান, আমরা সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
অভিযোগে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের দূর্নীতিগ্রস্থ কোন এক কর্মকর্তার সহযোগিতার করণে সরকারী এ জায়গা মোহাম্মদ জসিম দখলে রেখে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।,

পল্লবীতে ‘সখী বাহিনী’র পতন: কুখ্যাত ডাকাত সখী হোসেনসহ পাঁচজন আটক, স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়।

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় অবশেষে পর্দা নামলো দীর্ঘদিনের আতঙ্ক ‘সখী বাহিনী’র। ভয়ঙ্কর অপরাধচক্রটির মূল হোতা সখী হোসেনসহ পাঁচ সদস্যকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যায় পল্লবী থানা পুলিশ। অভিযানের একপর্যায়ে সখী বাহিনীর সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাবি কাটার সরঞ্জাম ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সখী হোসেন, চক্রের মূল হোতা; যার নামে একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে।২,সাবির হোসেন সজিব (২৪), রূপনগর থানার মাদক মামলার আসামি।৩.রাজু ওরফে বাদল,
৪.জুয়েল,৫.আসিফ হোসেন।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই চক্রটি পল্লবী, রূপনগর ও মিরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। সখী নিজেকে স্থানীয় ‘ডন’ হিসেবে পরিচয় দিত এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করতো।

পল্লবী থানার এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাদের পেছনে আরও বড় নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল।স্থানীয়দের ভাষায়, “রাতের বেলা ঘর থেকে বের হওয়া দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল। সখী বাহিনী ধরা পড়ার পর এলাকায় এখন শান্তি ফিরেছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ