আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

জাতীয়:

আমাকে হ’ত্যা’র হুমকিতে পুলিশ ব্যাবস্হা না নিয়ে অপমৃত্যুর মামলার জন্য বসে আছে – ব্যারিষ্টার সুমন এমপি

ঢাকা অফিস:

হবিগঞ্জ:

হত্যার হুমকির বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা না নিয়ে অপমৃত্যুর মামলার জন্য বসে আছে বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। রোববার (৩০ জুন) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, হত্যার হুমকিটি চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে এসেছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক তদন্তে নামেনি পুলিশ। বিষয়টি আমার কাছে আসার আগেই এটির তদন্ত করা উচিৎ ছিল। কারণ হুমকিটি পুলিশের মাধ্যমে এসেছে। এ সময় রাষ্টযন্ত্রর তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না-এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

সুমন আরও বলেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোবাইল ট্র্যাকিং করে ভিন্ন ভিন্ন যায়গায় তার অবস্থান পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনাও করেন তিনি।

এর আগে, শনিবার (২৯ জুন) রাতে হুমকির রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ব্যারিস্টার সুমন।

জিডিতে সুমন উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাকে সরকারি মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেন। ফোনে ওসি জানান, তাকে হত্যা করতে অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল তিনদিন আগে একটি টিম নিয়ে মাঠে নেমেছে। এ সময় পুলিশের ওই কর্মকর্তা সুমনকে সাবধানে চলাচল ও রাতে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন। জিডিতে এ নিয়ে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন সুমন।

পরে যমুনা টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার সুমন জানান, একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি চুনারুঘাট থানার ওসিকে ফোন দিয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানায়। পরে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির সাথে কথাও বলেন তিনি। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি সুমনকে জানান, তাকে হত্যায় একটি গ্রুপকে কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং সেই গ্রুপটি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

সুমন আরও জানান, এরে আগেরও তিনি অনেকবার হুমকির শিকার হয়েছেন। তবেঁ, এবার থানার ওসির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারায় তিনি ব্যাপারটি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়েছেন। সম্প্রতি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান এবং সংসদে এ নিয়ে বক্তব্য রাখায় প্রভাবশালীদের কেউ তাকে হত্যা করতে চাইতে পারে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মার্চে সড়ক ৫৯৩ দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ——– যাত্রী কল্যাণ সমিতি

বিগত মার্চে দেশের গণমাধ্যমে ৫৯৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত, ১২৪৬ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই মাসে রেলপথে ৪০ টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত, ০৬ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ০৮ টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত, ০১ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬৪১ টি দুর্ঘটনায় ৬৬৪ জন নিহত এবং ১২৫৩ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ২২৭ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫১ জন নিহত, ২০৮ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮.২৭ শতাংশ, নিহতের ৪১.০১ শতাংশ ও আহতের ১৬.৬৯ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৪৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫০ জন নিহত ও ৩৬৪ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে ৩১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২১ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৭ জন চালক, ৯৯ জন পথচারী, ৮৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮১ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন শিক্ষক, ১১৩ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, ০১ জন আইনজীবি, ০১ জন সাংবাদিক, ০১ জন মুক্তিযোদ্ধা, এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৩ জন পুলিশ সদস্য, ০৩ সেনা বাহিনী সদস্য, ০২ জন বিজিবি সদস্য, ০১ জন আইনজীবি, ০১ জন মুক্তিযোদ্ধা, ১২১ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৭ জন পথচারী, ৭৪ জন নারী, ৫২ জন শিশু, ৫১ জন শিক্ষার্থী, ২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৪ জন শিক্ষক, ও ০৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯১০ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৯.৭৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৩.৭৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১১.৮৬ শতাংশ বাস, ১৩.৯৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৫.১৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ১০.০০ শতাংশ নছিমন করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫.৪৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫১.২৬ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২.৫৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭.২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ০.১৬ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে, ৭.৯২ শতাংশ বিবিধ কারনে, এবং ০.৮৪ ট্রোন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৪.২৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.৪৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৭.২৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৫৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৬৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৮৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ :—-

১. ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি।
২. মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল।
৩. সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা । রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার।
৪. সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি।
৫. ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।
৬. উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি।
৭. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশসমূহ :—-

১. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পুর্নাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা।
২.স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানী ও নিবন্ধন বন্ধ করা।
৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান।
৪. রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।
৫. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা।
৬. রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা।
৭. ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা।
৮. দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা জরুরী।

১০ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজশাহী নগরীতে ব্যবসায়ীর চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় রিক্সাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। একমাস ধরে তাকে প্রশিক্ষণ মহড়াও দেওয়া হয়েছে। ছিনতাইকারী চক্রটি একমাস ধরে ব্যবসায়ীর ওপর নজরদারিও করে আসছিল। গ্রেপ্তার রিক্সাচালকের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছে। নিজেও এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন
রিক্সাচালক মাসুম (৩০)।

গ্রেপ্তারের পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদের কাছে ১৬৪ ধারায় এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রিক্সাচালক। মাসুমের জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ওই দুইদিনের বিক্রির টাকা দিলীপ কুমার প্রামাণিকের বাসায় থাকে-এ তথ্য পেয়ে ছিনতাইকারী চক্রটি রবিবার সকালে তাকে লক্ষ্য করে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামতো কোন রাস্তায় রিক্সা চালাতে হবে, কখন দাঁড়াতে হবে-এসব নিয়ে চালক মাসুমকে মহড়া দেওয়া হয়। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, রিক্সাকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছে ছিনতাইকারীরা। এক মাস ধরে তারা ওই এলাকায় নজরদারি চালিয়েছে।এভাবেই বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ