আজঃ মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রাম কাস্টমস

দেশের সর্ববৃহৎ শুল্ক স্টেশনে রাজস্ব আদায় ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

দেশের সর্ববৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টমসে সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা, তবে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬২ হাজার ৬৫৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে নয় দশমিক ৪২ শতাংশ। তবে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জন হয়নি।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, কাস্টমসে নানা ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে নজরদারি বাড়ানোর ফলে ডলার সংকটসহ নানা সমস্যা থাকা স্বত্ত্বেও গত অর্থবছরের তুলনায় নয় দশমিক ৪২ শতাংশ রাজস্ব আদায় বেড়েছে। একইসঙ্গে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য নিয়ে আসার অপরাধে দ্বিগুণের বেশি জরিমানা আদায় রাজস্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান বলেন, ডলার সংকটসহ নানা সমস্যার পরেও নানাবিধ উদ্যোগ নেয়ায় রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড হয়েছে। এটি গত অর্থবছরের তুলনায় সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে নয় দশমিক ৪২ শতাংশ।
জানা গেছে, শুধুমাত্র আমদানিকৃত ১২ ধরনের পণ্য থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে হাইস্পিড ডিজেল, ফার্নেস অয়েল, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, আপেল, সিমেন্ট ক্লিংকার, পাম অয়েল, ভাঙা পাথর ও পেট্রোলিয়াম তেল উল্লেখযোগ্য। এসব পণ্য থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রপ্তানি ও খালি কন্টেইনার মিলে ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউএস কন্টেইনার পরিবহন করেছে, যা আগের অর্থবছরে পরিবহন করেছিল ৩০ লাখ ৭ হাজার। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে কন্টেইনার পরিবহনে বন্দরের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
একইভাবে বিদায়ী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কার্গো পরিবহন করেছে ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৮ টন। যা আগের বছরে ছিল ১১ কোটি ৮৩ লাখ টন ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই বন্দরের বাল্ক কার্গো পরিবহনে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ হাজার ২৫৩টি জাহাজ আসলেও বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাহাজ এসেছে ৩ হাজার ৯৭১টি। গতবছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে ছয় দশমিক ৬৩ শতাংশ জাহাজ কম এসেছে।
বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় সমাপ্ত অর্থবছরে কন্টেইনার ও বাল্ক কার্গো পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দরের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি বন্দরের কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করার মধ্যে দিয়ে সম্ভব হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বন্দরের আরও সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে চলছে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা সহ নানা সমস্যার কারণে সারাবিশ্বের অর্থনীতির মতো দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসব সংকটের পরেও বিদায়ী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো ও কন্টেইনার পরিবহনের যেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে তাতে বোঝা যায় দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হনুমান উদ্ধার,চকরিয়া সাফারি পার্কে অবমুক্ত

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌর সদরের গোমদণ্ডী ফুলতল মোড়ে লোকালয়ে ঢুকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে একটি মুখপোড়া হনুমান। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হনুমানটি আহত অবস্থায় সড়কে পড়ে গেলে স্থানীয় দুই যুবক মো. মুন্না ও ফয়সাল তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে।

মুন্না জানান, হনুমানটি সকাল থেকে ভবনের ছাদ ও গাছে লাফালাফি করছিল। দুপুরের দিকে একটি গাছ থেকে ছাদে লাফ দিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা এসএম সাইদুল আলম সাঈদ বলেন, “হনুমানটির আংশিক লোম পুড়েছে, তবে গুরুতর জখম হয়নি। তাকে স্যালাইন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং এখন অনেকটাই সুস্থ।

পরে বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বনবিভাগের চট্টগ্রাম সদর রেঞ্জার মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জানান, “এটি একটি মুখপোড়া হনুমান, যা প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রাণিটিকে চকরিয়া সাফারি পার্কে পাঠানো হবে, যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকবে।”তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের উদ্ধার ও চিকিৎসা উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুন্না ও ফয়সালকে ধন্যবাদ জানাই তাদের মানবিকতার জন্য।”

কালিয়াকৈরে পৌর বজ্রের দখলে আঞ্চলিক সড়ক শালবন মানুষের দুর্ভোগ।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভা দেশের উন্নত পৌরসভার তালিকায় থাকলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রয়েছে চরম অব্যবস্থা।

সোমবার (২১এপ্রিল) সরেজমিনে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, কিছু এলাকায় ডাম্পিং ব্যবস্থাপনা থাকলেও তা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। নজরদারির অভাবে শহরের সড়ক, ফুটপাত ও শালবন আবাসিক এলাকা ক্রমশই পরিণত হচ্ছে ময়লার ভাগাড়ে।

পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাটিকাটা এলাকার সফিপুর-বড়ইবাড়ী আঞ্চলিক সড়কে দেখা গেছে, দিন-রাত সেখানে ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য। নির্দিষ্ট ডাম্পিং জোন থাকা সত্ত্বেও তা এড়িয়ে ঠিকাদাররা সড়কের ওপরেই ময়লা ফেলছেন, ফলে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লার কারণে এ সড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলেও সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ ভোগান্তি। দুর্গন্ধে আশেপাশের বাড়িঘরেও অবস্থান করা দায় হয়ে পড়েছে। কখনো কখনো রাস্তা এতটাই ময়লায় ভরে যায় যে, পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় চলাচল।

একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালামপুর পূর্বপাড়া এলাকায়। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে মহল্লার প্রবেশপথে সরকারি শালবনের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে একদিকে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে চলাচলেও তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।

এছাড়াও কালিয়াকৈর হাইটেক সিটির পাশে বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত ভবনের জমিও দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনায় সয়লাব হয়ে রয়েছে।

নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কালিয়াকৈর পৌরসভায় কয়েক লাখ মানুষ বসবাস করে। আবাসিক এলাকার বর্জ্য অপসারণে পৌর কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপের অভাব দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয়দের ক্ষোভ ও হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে কালিয়াকৈর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল আলম তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আজ থেকেই অতিরিক্ত পরিবহন সংযুক্ত করে ময়লা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কালিয়াকৈর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ বলেন, নাগরিক ভোগান্তির বিষয়টি আমরা অবগত। পৌর এলাকায় অব্যবস্থাপনার ইঙ্গিত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। শহরের পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজন হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব কালিয়াকৈর গড়ে তোলা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ