আজঃ বুধবার ২১ মে, ২০২৫

বিনোদন বাংলা:

হাসপাতালে গেলেই লোকেরা বলে আমি নাকি গর্ভবতী

বিনোদন ডেস্ক:

বলিউড:

সম্প্রতি বিয়ে করেছেন বলিউড তারকা সোনাক্ষী সিনহা। বিয়ের পর পরই গুঞ্জন ওঠেছে – তিনি নাকি প্রেগন্যান্ট! আর এই প্রেগন্যান্সির কারণেই নাকি বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা’র অমতেই দীর্ঘদিনের প্রেমিক জাহির ইকবালকে বিয়ে করেছেন দাবাং কন্যা। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করার পর গত ২৩ জুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সোনাক্ষী সিনহা ও জাহির ইকবাল।

জানা যায়, মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করায় ব্যাপক কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে সোনাক্ষীকে। এই বিয়েকে ‘লাভ জিহাদ’ এর তকমাও দিয়েছেন অনেকে। তবে নিন্দুকদের পাত্তা দেননি সোনাক্ষী – জাহির। এর মাঝেই নবদম্পতিকে নিয়ে শুরু নতুন গুঞ্জন। বিয়ের কয়েকদিন পরেই হাসপাতালে দেখা যায় তাদের। আর এর ফলে জল্পনা শুরু হয় যে সোনাক্ষী অন্তঃসত্ত্বা! গুঞ্জন রটেছে – প্রেগন্যান্ট হওয়ার জন্যই নাকি তড়িঘড়ি বিয়েটা সেরে ফেলেছেন অভিনেত্রী।

আসন্ন ছবি ‘কাকুদা’র প্রচারে বিয়ে থেকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকা। দাম্পত্য জীবন প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, এর চেয়ে ভালো জীবন আর কখনো ছিল না। তবে মজার ব্যাপার হলো আমার অনুভূতিটা আগের মতোই রয়েছে। আমি খুশি যে বিয়ের আগে আমার যে জীবন ছিল, এখনও একইরকম আছে। আর কাজে ফিরতে পেরে আমি খুব খুশি।

এরপরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, একমাত্র পরিবর্তন হলো – আমি এখন হাসপাতালে যেতে পারি না। কারণ আমি হাসপাতালের বাইরে পা রাখলেই লোকেরা মনে করে আমি গর্ভবতী। আদতে আমার অসুস্থ বাবাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম আমরা। সেখান থেকেই খবর রটে গেলো যে, আমি নাকি প্রেগন্যান্ট!

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

হজ্জ: হৃদয়ের দিগন্তে আলেয়ার মতো জ্বলে ওঠা আত্মশুদ্ধির আলোকপাঁজর।

যখন কোটি কোটি হৃদয় এক সুরে উচ্চারণ করে—”লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক”, তখন আকাশ-বাতাসও থমকে দাঁড়ায়। হজ্জ তখন আর শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা থাকে না; হয়ে ওঠে আত্মার এক অভূতপূর্ব অভিষেক, পবিত্রতার এক অনন্য মহাসম্মিলন। মানুষের জীবনচক্রে এমন কোনো অধ্যায় নেই, যেখানে হজ্জের মত একান্ত ও গভীর আত্মসংশোধনের উপলক্ষ পাওয়া যায়।

ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের শেষতম অথচ সর্বোচ্চ স্তম্ভটি যেন এক অলৌকিক আহ্বান। এই আহ্বান আসে আকাশ পেরিয়ে হৃদয়ের গহীনে, যেখানে মানুষ সমস্ত পরিচয়ের অহংকার ছুঁড়ে ফেলে আত্মবিসর্জনের শুদ্ধতম অবস্থানে পৌঁছে যায়। ধনী-গরিব, রাজা-ভিখারী—সবাই একসঙ্গে দাঁড়ায় কা’বার চৌহদ্দিতে। এক রঙের পোশাক, এক কণ্ঠের ধ্বনি, এক দিকের সেজদাহ—হজ্জ আমাদের শেখায় বিশ্বমানবতার মহাঐক্য।

Oplus_0

এই হজ্জের সূচনা সেই ইতিহাসের গভীর থেকে, যেখানে পিতা ইবরাহিম (আ.) তাঁর একমাত্র পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কুরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। যে কা’বা ঘর তাঁর হাতে নির্মিত, সেই ঘরের চারপাশেই আজ কোটি মানুষের কান্না, তাওয়াফ, প্রার্থনা, নিঃশ্বাস। কত শত বছর পেরিয়ে গেছে, তবুও ইবরাহিম (আ.)-এর সেই আহ্বান—“আসো, তোমার প্রভুর ঘরে”—আজও প্রতিধ্বনিত হয় মিনার বাতাসে, আরাফার স্তব্ধতায়।

হজ্জ মানুষকে শিখিয়ে দেয় কীভাবে নতজানু হতে হয় এক মহান সত্তার সামনে। সেখানে নেই কোনো অহংকার, নেই কোনো রাজকীয়তা, নেই কোনো পার্থিব শ্রেষ্ঠত্ব—আছে কেবল আত্মবিসর্জন, কেবল ফিরে আসা, এক অনবদ্য অনুতাপে নিজের ভুলগুলো মুছে ফেলার ইচ্ছা। হজ্জ যেন একটি জীবন্ত দিগন্ত, যেখানে মুমিন তার অতীতকে পেছনে ফেলে নতুন এক আলোয় উদিত হয়।

যারা হজ্জ করেন, তারা ফিরে আসেন অন্য রকম হয়ে। চোখে থাকে এক গভীর শান্তি, কণ্ঠে থাকে বিনয়ের ঝরনা, হৃদয়ে থাকে নতুন করে জীবন শুরু করার স্পর্ধা। হজ্জ যেন এক স্বর্গীয় পুনর্জন্ম—যেখানে মানুষ নিজেকে ফিরে পায় আরও পবিত্র, আরও সত্যনিষ্ঠ এক মানুষ হিসেবে।

হজ্জের প্রতিটি ধাপে, প্রতিটি সূর্যোদয়ে ও প্রতিটি অশ্রুজলে ফুটে ওঠে ইসলামের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য—যেখানে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য। এমন ইবাদত এই পৃথিবীতে আর নেই, যা এতো সরল, অথচ এতো গভীর; এতো নিরব, অথচ এতো প্রভাবশালী।

এই ইবাদতের মাহাত্ম্য কেবল আখিরাতের প্রাপ্তিতে নয়, বরং দুনিয়ার জীবনেও এটি এক নতুন আবর্তন। হজ্জের পর এক মুসলিম যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তিত না হন, তবে সেই সফর কেবল ভ্রমণই থেকে যায়। কিন্তু যিনি অন্তর দিয়ে হজ্জ করেন, তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় হয়ে ওঠে যেন এক চলমান তাওয়াফ—আল্লাহর দিকে ফিরে ফিরে আসার অবিরাম সাধনা।

হজ্জ তাই কেবল একটি ইবাদত নয়, এটি এক জীবনদর্শন, একটি নিরব বিপ্লব, যা মানুষের ভেতরের অন্ধকার দূর করে এনে দেয় আলোর নিরবধি ছায়া।

“হজ্জ হলো এক আধ্যাত্মিক উল্লম্ফন—যেখানে মুমিন তার সমস্ত ভার ঝেড়ে ফেলে হালকা হয়ে যায় আল্লাহর রহমতের আকাশে।”

বাঙালির প্রাণের উৎসবে জেগেছে বন্দরনগরী।

চট্টগ্রামে প্রখর রোদ উপেক্ষা করে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করেছে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। চিরায়ত গান, কবিতা, নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ লোকজ নানা অনুষঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্ষবরণের বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দিয়েছে সর্বস্তরের হাজার, হাজার মানুষ। বাঙালির প্রাণের উৎসবে জেগেছে বন্দরনগরী।বর্ষবরণের আয়োজন থেকে মুক্ত বাংলাদেশে বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক চেতনা ধারণ করে বিভেদ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও চট্টগ্রামে বর্ষবরণের বড় আসর বসেছে সিআরবির শিরিষতলায়। নগরীর ডিসি হিলে গত ৪৬ বছর ধরে আরেকটি বড় আয়োজন হয়ে আসছিল। কিন্তু রোববার রাতে মঞ্চে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় সেই আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। এরপরও চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ আরও বিভিন্নস্থানে বর্ণিল উৎসব দেখা গেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বের করা শোভাযাত্রায় আরও প্রাণময় হয়ে ওঠে পহেলা বৈশাখের আয়োজন।
নগরীর সিআরবির শিরিষতলায় এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সপ্তদশ আয়োজন শুরু হয় সোমবার সকাল ৭টায় ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের বেহালা বাদনের মধ্য দিয়ে। ‘নববর্ষ উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রামের’ উদ্যোগে দিনব্যাপী এই আয়োজনে উদীচী চট্টগ্রাম, সঙ্গীত ভবন, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ রেলওয়ে সাংস্কৃতিক ফোরাম, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরাম, সৃজামী, অদিতি সঙ্গীত নিকেতনসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা সম্মিলিত গান পরিবেশন করেন।
এছাড়া বোধন আবৃত্তি পরিষদ, শব্দনোঙ্গর, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসসহ কয়েকটি সংগঠনের শিল্পীরা বৃন্দআবৃত্তি পরিবেশন করেন। ওড়িষি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, নৃত্যনীড়, রাগেশ্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।

নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফারুক তাহের বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। সকল মত-পথের ঊর্ধ্বে উঠে এদিনটি আমাদের এক হয়ে নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরার প্রেরণা দেয়। আমরা একেকজন একেক ধর্মের অনুসারী হতে পারি। পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, পৌষপার্বণ, নবান্ন এগুলো আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতি।

পরিষদের সহ-সভাপতি নুরুল আফসার মজুমদার স্বপন বলেন, এবার নতুন প্রেক্ষাপটে মুক্ত বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হচ্ছে। আমরা যে ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ চাই, সকল মতের সম্মিলন, সহাবস্থান চাই, সেটাই এবারের আয়োজনে আমাদের প্রেরণা। মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ-বৈষম্য থাকবে না, আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে চাই আমাদের চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে। আপামর মানুষের এই সংস্কৃতি যেদিন সারা বাংলাদেশে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারব, সেদিনই আমরা সুন্দর স্বদেশ পাব।

এদিকে সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কের ক্যাম্পাস থেকে পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা বের হয়। বাদশা মিয়া সড়ক থেকে আলমাস মোড়, কাজির দেউড়ি, জামালখান হয়ে সার্সন রোড দিয়ে শোভাযাত্রা আবার চারুকলা ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের তৈরি জাতীয় মাছ ইলিশ এবং টেপা পুতুলের ঘোড়ার মোটিফ স্থান পায় ঢোলবাদ্যের তালে তালে এগিয়ে যাওয়া শোভাযাত্রায়। মুখোশ হিসেবে ছিল বাঘ, মহিষ ও খরগোশ। শোভাযাত্রায় চারুকলার শিক্ষকদের পাশাপাশি সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকদের অন্যতম সদ্য স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ছাত্র যাদব দেবনাথ।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্মীয় ভেদাভেদহীন, অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ আমাদের চাওয়া। এই বাংলাদেশ হোক সকল মানুষের। আমরা যেন সবাই মিলেমিশে এই বাংলাদেশকে গড়তে পারি। শোভাযাত্রাকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন হয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের আশপাশজুড়ে। শোভাযাত্রা যে পথে গেছে সেখানেও পুলিশের কড়া প্রহরা দেখা গেছে।

বেলা ১২টায় নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে বর্ষবরণের শোভাযাত্রা বের হয়। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিও নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়েছে। তবে সিএমপি বর্ষবরণের আয়োজনকে ঘিরে নগরীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ