আজঃ বুধবার ২৫ জুন, ২০২৫

উত্তাল খুলনা পলিটেকনিক

ছাত্রদের দাবি ছাত্রাবাস ইনস্টিটিউট

কাজি রায়হান তানভীর সৌরভ.

প্রায় ২৯ একর জমি নিয়ে ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, একাডেমিক ভবন ৪টি ছাত্রাবাস, কমন রুম, ক্যান্টিন সহ শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদার সকল উপাদান নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশাল কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার প্রায় তিন যুগ পরে হঠাৎ কোনো উপযুক্ত কারণ না দর্শিয়েই ২০০৯ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ টি ছাত্রাবাসে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ।
এভাবেই দীর্ঘ ১৫ টি বছর এই ছাত্রাবাস গুলো তালা বন্ধ। অনেক দীর্ঘ সময় ধরে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্করণের অভাবে এখন পরিতক্ত বর্জে পরিণত হয়েছে সরকারি কোটি টাকার স্থাপনাগুলো।
কালের বিবর্তনে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কমনরুম। হারিয়ে গিয়েছে ক্যান্টিন। কিন্তু সাবেক এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানা যায় সরকারিভাবে এই চারটি ছাত্রাবাস কে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ২০১৭ সালে। তবে কেন পরিত্যক্ত ঘোষনার দীর্ঘ আট বছর আগেই ইনস্টিটিউট প্রশাসন তালা বন্ধ করেছিল এই ছাত্রাবাসগুলো তাজানা যায়নি।
সাবেক এই শিক্ষার্থী আরো জানায় যে ২০২৩ সালে চারটি ছাত্রাবাস সংস্কারের বরাদ্দ পেয়েছিল খুলনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। কিন্তু বর্তমান
অধ্যক্ষ প্রকৌশলী অনিমেষ পাল ও শিক্ষক সমিতি এই ছাত্রাবাস বরাদ্দের বিপরীতে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপত্তি জানায় এবং আবেদন করে একাডেমিক ভবনের জন্য।
এ বিষয়ে খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের
অধ্যক্ষ অনিমেষ পালের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুটা দ্বায় এড়িয়ে বলেন, তারা একাডেমিক ভবনের জন্য আবেদন করেননি। তারা এটি উপহার স্বরূপ পেয়েছেন। ছাত্রাবাস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ছাত্রাবাস হলে ইনস্টিটিউটে লেখাপড়ার মান খারাপ হয়ে যাবে। এজন্য ছাত্রাবাস না হওয়াই ভালো।
নতুন ছাত্রাবাস নির্মাণের বিষয়ে তাদের ভূমিকার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান যে এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট প্রশাসনের কিছু করার নেই।
কিন্তু গত ২ জুলাই খুলনার একটি আঞ্চলিক পত্রিকায় সাক্ষাৎকারের সময় তিনি বলেন- ইনস্টিটিউট প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছে দ্রুত এই পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস গুলো অপসারণ করে এখানে ১০ তালা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন করার জন্য এবং সেটি অনুমোদন পেয়েছে। কমন রুমের বিষয় অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আজ বৃষ্টির কারণে কমন রুম বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যান্য সময় সেখানে শত শত শিক্ষার্থী থাকে ও তারা বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের অবসর সময় কাটায়।
কিন্তু বাস্তবে সেখানে গিয়ে দেখা মিলে ভিন্ন চিত্র। দরজার তলায় পড়েছে মরীচিকা।
কমনরুমের একটি ভাঙ্গা জালনা থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কমন রুম পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে অনেক বছর যাবতই সেখানে হয় না মানুষের বিচরণ।
এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তারা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে দাবি করেছেন – সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে একাডেমিক ভবন নির্মাণ না করে করা হোক ছাত্রাবাস।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্ম বিরতি দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগ বিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক সমমানসংযুক্ত করে ১৪ তম গ্রেড প্রদান ও ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১ তম গ্রেডে উন্নীতকরণ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদানসহ ৬ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের সকাল ৮ টা থেকে দশটা পর্যন্ত ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে এই কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জেসমিন নাহার লাকি, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ফজলে রাব্বি, আফরোজা মুনমুনসহ অন্যান্যরা।

এ সময়ে অবস্থান কর্মসূচিতে তারা বলেন তাদের যে ছয় দফা দাবি রয়েছে সেগুলো মেনে নেওয়া না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

নবীনদের আদর্শ আর সাহসের সঙ্গে পথচলার আহ্বান জানালেন সেনাপ্রধান।

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে রবিবার (২২ জুন) গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২-বি ব্যাচ ও ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৫ ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়।

কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করে নবীন কর্মকর্তাদের সালাম গ্রহণ ও কৃতিত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন।এ ব্যাচ থেকে মোট ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেছেন, যার মধ্যে ৪৪ জন মিডশিপম্যান ও ৮ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৪ জন বিদেশি কর্মকর্তা থাকার মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর বহুত্ববাদ ও আন্তর্জাতিক সংহতির ছবি ফুটে উঠেছে।

সেনাবাহিনী প্রধান নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সততা, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বের গুণাবলীর মাধ্যমে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’ তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং নবীনদের আদর্শ ও সাহসের সঙ্গে পথচলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবক এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রশিক্ষণার্থীদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ