আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

নোয়াখালী:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা পালিত

রিপন মজুমদার স্টাফ রিপোর্টার:

ধর্ম ও দর্শন:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা উপলক্ষ্যে জেলা পুলিশ সুপার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সরজমিনে পরিদর্শন করেন।

রবিবার ৭ জুলাই বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা শুরু হয়েছে হিন্দুধর্ম রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছরের নেয় চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এ উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে। এ দিনে অবতার জগন্নাথ, বলরাম ও বোন সুভদ্রা মোহারানী ত্রিমূর্তি মন্দির বাহিরে সর্বসমক্ষে আনা হয়। এরপর তিনজনকেই আলাদা আলাদা ভাবে সুসজ্জিত রথে বসিয়ে দেবতাদের পূজা সম্পন্ন পূর্বক রথ টানা হয়।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। রথযাত্রা উৎসব জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ উৎসব হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকলের মধ্যে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সম্প্রীতি বয়ে আনুক।

রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম, পক্ষ হতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সরজমিনে রথযাত্রা উৎসব পরিদর্শন করেন ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিযয়া সেন, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেগমগঞ্জ সার্কেল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজীব পিপিএম-(বার), বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম, র‍্যাব কর্মকর্তা সহ অসংখ্য পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবু বক্কর আর নেই।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব সারোয়াতলী গ্রামের গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবু বক্কর আর নেই। তিনি রবিবার বিকেলে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

পূর্ব সারোয়াতলী গ্রামের স্থানীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বোয়ালখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমার নেতৃত্বে এই রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মরহুম মোহাম্মদ আবু বক্কর ছিলেন পূর্ব সারোয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত আবদুল মালেকের পুত্র। জীবদ্দশায় তিনি একজন সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এলাকায় সম্মানিত ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যা ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

হজ্জ: হৃদয়ের দিগন্তে আলেয়ার মতো জ্বলে ওঠা আত্মশুদ্ধির আলোকপাঁজর।

যখন কোটি কোটি হৃদয় এক সুরে উচ্চারণ করে—”লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক”, তখন আকাশ-বাতাসও থমকে দাঁড়ায়। হজ্জ তখন আর শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা থাকে না; হয়ে ওঠে আত্মার এক অভূতপূর্ব অভিষেক, পবিত্রতার এক অনন্য মহাসম্মিলন। মানুষের জীবনচক্রে এমন কোনো অধ্যায় নেই, যেখানে হজ্জের মত একান্ত ও গভীর আত্মসংশোধনের উপলক্ষ পাওয়া যায়।

ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের শেষতম অথচ সর্বোচ্চ স্তম্ভটি যেন এক অলৌকিক আহ্বান। এই আহ্বান আসে আকাশ পেরিয়ে হৃদয়ের গহীনে, যেখানে মানুষ সমস্ত পরিচয়ের অহংকার ছুঁড়ে ফেলে আত্মবিসর্জনের শুদ্ধতম অবস্থানে পৌঁছে যায়। ধনী-গরিব, রাজা-ভিখারী—সবাই একসঙ্গে দাঁড়ায় কা’বার চৌহদ্দিতে। এক রঙের পোশাক, এক কণ্ঠের ধ্বনি, এক দিকের সেজদাহ—হজ্জ আমাদের শেখায় বিশ্বমানবতার মহাঐক্য।

Oplus_0

এই হজ্জের সূচনা সেই ইতিহাসের গভীর থেকে, যেখানে পিতা ইবরাহিম (আ.) তাঁর একমাত্র পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কুরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। যে কা’বা ঘর তাঁর হাতে নির্মিত, সেই ঘরের চারপাশেই আজ কোটি মানুষের কান্না, তাওয়াফ, প্রার্থনা, নিঃশ্বাস। কত শত বছর পেরিয়ে গেছে, তবুও ইবরাহিম (আ.)-এর সেই আহ্বান—“আসো, তোমার প্রভুর ঘরে”—আজও প্রতিধ্বনিত হয় মিনার বাতাসে, আরাফার স্তব্ধতায়।

হজ্জ মানুষকে শিখিয়ে দেয় কীভাবে নতজানু হতে হয় এক মহান সত্তার সামনে। সেখানে নেই কোনো অহংকার, নেই কোনো রাজকীয়তা, নেই কোনো পার্থিব শ্রেষ্ঠত্ব—আছে কেবল আত্মবিসর্জন, কেবল ফিরে আসা, এক অনবদ্য অনুতাপে নিজের ভুলগুলো মুছে ফেলার ইচ্ছা। হজ্জ যেন একটি জীবন্ত দিগন্ত, যেখানে মুমিন তার অতীতকে পেছনে ফেলে নতুন এক আলোয় উদিত হয়।

যারা হজ্জ করেন, তারা ফিরে আসেন অন্য রকম হয়ে। চোখে থাকে এক গভীর শান্তি, কণ্ঠে থাকে বিনয়ের ঝরনা, হৃদয়ে থাকে নতুন করে জীবন শুরু করার স্পর্ধা। হজ্জ যেন এক স্বর্গীয় পুনর্জন্ম—যেখানে মানুষ নিজেকে ফিরে পায় আরও পবিত্র, আরও সত্যনিষ্ঠ এক মানুষ হিসেবে।

হজ্জের প্রতিটি ধাপে, প্রতিটি সূর্যোদয়ে ও প্রতিটি অশ্রুজলে ফুটে ওঠে ইসলামের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য—যেখানে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য। এমন ইবাদত এই পৃথিবীতে আর নেই, যা এতো সরল, অথচ এতো গভীর; এতো নিরব, অথচ এতো প্রভাবশালী।

এই ইবাদতের মাহাত্ম্য কেবল আখিরাতের প্রাপ্তিতে নয়, বরং দুনিয়ার জীবনেও এটি এক নতুন আবর্তন। হজ্জের পর এক মুসলিম যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তিত না হন, তবে সেই সফর কেবল ভ্রমণই থেকে যায়। কিন্তু যিনি অন্তর দিয়ে হজ্জ করেন, তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় হয়ে ওঠে যেন এক চলমান তাওয়াফ—আল্লাহর দিকে ফিরে ফিরে আসার অবিরাম সাধনা।

হজ্জ তাই কেবল একটি ইবাদত নয়, এটি এক জীবনদর্শন, একটি নিরব বিপ্লব, যা মানুষের ভেতরের অন্ধকার দূর করে এনে দেয় আলোর নিরবধি ছায়া।

“হজ্জ হলো এক আধ্যাত্মিক উল্লম্ফন—যেখানে মুমিন তার সমস্ত ভার ঝেড়ে ফেলে হালকা হয়ে যায় আল্লাহর রহমতের আকাশে।”

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ