আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাগেরহাট:

শরণখোলায় বিয়ের দাবিতে তিন সন্তানের পিতার বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

শাহাদাত হোসাইন শরণখোলা বাগেরহাট:

শরণখোলা:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ২ নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য খোন্তাকাটা ওয়ার্ডের মৃতঃ মাস্টার এনায়েত হাওলাদারের ছেলে মোঃ বাবু হাওলাদারের (৩৮) বাড়িতে একই গ্রামের ও প্রতিবেশী মোঃ জাকির সেফাইয়ের মেয়ে আদুরি আক্তার (২১) বিয়ের দাবিতে তিন সন্তানের পিতা প্রেমিক মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে ০৯ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অবস্থান করেন। বিয়ের দাবিতে তিন সন্তানের পিতা প্রেমিক মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে অবস্থান করা আদুরি আক্তার জানান দীর্ঘদিন ধরে মোঃ বাবু হাওলাদারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থেকে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। মোঃ বাবু হাওলাদার তাকে বিয়ে করে ঘর সংসার করবেন এই কথা বলে তার সাথে প্রেম করে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করেন। আদুরি আক্তার আরও জানান তার প্রথম এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। তিনি সেখানে সংসার করা অবস্থায় মোঃ বাবু হাওলাদার তাকে বিয়ে করবেন বলে সেই ছেলের কাছ থেকে তাকে ডিভোর্স করান। ডিভোর্স করানোর পর দীর্ঘদিন সময় অতিবাহিত হলেও আদুরি আক্তার কে বিয়ে না করে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যান। এরপরে আদুরি আক্তার বাবু হাওলাদারকে বিয়ে করতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। আদুরি আক্তার ও মোঃ বাবু হাওলাদারের এই সম্পর্কের বিষয়টি আদুরি আক্তারের মা-বাবা সহ গ্রামবাসী জেনে যায়। সবাই জেনে যাওয়ার কারনে আদুরি আক্তার মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবি করেন। কিন্তু মোঃ বাবু হাওলাদার তাকে বিয়ে করতে আবারও অস্বীকৃতি করেন। আদুরি আক্তার দাবি করেন তাকে মোঃ বাবু হাওলাদার সহ তার আত্মীয়স্বজনরা মারধর করেন। বিয়ের দাবিতে মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে আদুরি আক্তারের অবস্থানের একপর্যায়ে তিনি বিষ পান করতে চেষ্টা করেন। মোঃ বাবু হাওলাদারের স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। আদুরি আক্তারের বিষয়ে মোঃ বাবু হাওলাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মিথ্যা ও চক্রান্তমূলক আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই জঘন্য কাজ করানো হচ্ছে। আদুরি আক্তারের বিয়ের দাবিতে মোঃ বাবু হাওলাদারের বাড়িতে অবস্থানের বিষয়টি শরণখোলা থানা পুলিশকে জানানো হলে সেখানে দ্রুত শরণখোলা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার ও সাব ইন্সপেক্টর মহিলা কনস্টেবল সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । শরণখোলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এই বিষয়ে তদন্তের আগে কোন কিছু বলা যাচ্ছে না। শরণখোলা থানা পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে আদুরি আক্তারকে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কু‌ষ্টিয়ায় যুবককে গুলির পর অস্ত্র দিয়ে কোপালো দুর্বৃত্তরা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপ‌জেলায় পাপ্পু বিশ্বাস (৩৫) না‌মে এক যুবক‌কে গুলি ক‌রার পর ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে দৃর্বৃত্তরা।আজ বুধবার(১০ ডি‌সেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ওসমানপুর ইউনিয়নের জিকে খালের কাজীর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘ‌টে।

আহত পাপ্পু বিশ্বাস একই ইউনিয়‌নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলীর ছেলে। তা‌কে কু‌ষ্টিয়া ২৫০ শয‌্যার জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসা দেওয়া হ‌চ্ছে। ঘটনার পর ওসমানপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে,বি‌কে‌লে পাপ্পু মোটরসাইকেল চালিয়ে উপজেলা শহ‌রের ভাড়া বাসায় ফিরছিলো। ওসমানপুর গ্রামের জিকে খালের কাজীদের ব্রিজের কাছে পৌছা‌লে দুর্বৃত্তরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। কিছু বু‌ঝে ওঠার আগেই তাকে লক্ষ‌্য করে কয়েকরাউন্ড গুলি ছু‌ড়ে। এতে পাপ্পু গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পরে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা পাপ্পুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

আহত যুব‌কের বাবা ওয়াজেদ আলী ব‌লেন,প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তার মোটরসাইকেল থামিয়ে ৫ থে‌কে ৬ রাউন্ড গুলি চালি‌য়ে‌ছে। দুটি গুলি পায়ের এক দিক দিয়ে ঢুকে অন্য দিক দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। একটি গুলি হাটুর মধ্যে আটকে আছে। এ ছাড়া দুই হাত, পেট ও গলায় ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়েছে। তিনি ছেলের চিকিৎসা নিয়ে ব‌্যস্ত থাকায় বিস্তারিত প‌রে জানাবেন ব‌লেন। হাসপাতা‌লের আবাসিক চি‌কিৎসা কর্মকর্তা(আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, গুলিবিদ্ধ যুবক‌কে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এখানেই চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ও‌সি) মোতালেব হোসেন বলেন,পাপ্পু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা জানার পর থেকে ওসমানপুরে পুলিশের একটি বড় টিম অভিযান পরিচালনা করছে।

কুষ্টিয়ার নি‌খোঁজ শ্রমিকদল নেতার লাশ ফ‌রিদপু‌রে উদ্ধার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শ্রমিক দল নেতা আবেদুর রহমান আন্নুর (৫৩) লাশ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। গতকাল সোমবার সন্ধ‌্যায় ফ‌রিদপুর জেলার পদ্মা নদী সংলগ্ন ডি‌ক্রির চর ইউনিয়‌নের ক‌বিরপুর এলাকা থে‌কে নৌ-পু‌লিশ অর্ধগ‌লিত লাশটি উদ্ধার ক‌রে‌। প‌রে প‌রিবা‌রের সদস‌্যরা আন্নুর প‌রিচয় নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সা‌ড়ে ৯টায় ফ‌রিদপুর অঞ্চ‌লের ‌কোতয়া‌লি নৌ ফাঁ‌ড়ির পু‌লিশ প‌রিদর্শক না‌সিম আহ‌ম্মেদ এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

নিহত আবেদুর রহমান আন্নু কু‌ষ্টিয়া জেলা শ্রমিক দ‌লের যুগ্ম সম্পাদক। এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে তি‌নি সদর উপ‌জেলার হাটশ হরিপুর এলাকার পদ্মানদী থে‌কে নি‌খোঁজ হন। নি‌খোঁ‌জের পরদিন আন্নুর স্ত্রী জিয়াসমিন আরা রুমা কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এদি‌কে ফায়ার সার্ভিস ও খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল টানা দুই দিন উদ্ধার অভিযান চালিয়েও আন্নু‌কে খুঁ‌জে পে‌তে ব্যর্থ হয়।

সাধারণ ডা‌য়েরী‌ সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে আন্নু পদ্মা নদীর হাটশ হরিপুর মোহনায় মাছ কেনার উদ্দেশে যান। সকাল ১১টার দিকে চর ভবানীপুর এলাকায় যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই বাল্কহেড ট্রলারের সঙ্গে তাঁর ডিঙ্গি নৌকার ধাক্কা লাগে। এতে আন্নু ও নৌকার মাঝি পানিতে পড়ে যান। স্থানীয় জেলেরা নৌকার মাঝিকে উদ্ধার করলেও আন্নুর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আরদেশ আলী জানান, দুদিন চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিহ‌তের ভা‌তিজা অর্ণব হাসান ব‌লেন, রা‌তেই লাশের ছ‌বি দে‌খে আমরা নি‌শ্চিত হ‌য়ে‌ছি উদ্ধার হওয়া লাশ আমার চাচার। নৌ ফাঁ‌ড়ির পু‌লিশ প‌রিদর্শক না‌সিম আহ‌ম্মেদ ব‌লেন, প‌রিবা‌রের সদস‌্যরা ফাঁ‌ড়ি‌তে আছেন। তারাই লাশ সনাক্ত ক‌রে‌ছেন। লা‌শের শরী‌রে আঘা‌তের তেমন কোন চিহৃ পাওয়া যায়‌নি। কিছু আইনগত প্রক্রিয়া আছে। সেগু‌লো শেষ ক‌রে লাশ হস্তান্তর করা হ‌বে।

কু‌ষ্টিয়া ম‌ডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোশারফ হো‌সেন ব‌লেন, নৌ পুলিশ লাশ‌ উদ্ধার ক‌রে‌ছে। আন্নু নি‌খোঁ‌জের ঘটনায় তার স্ত্রী থানায় জি‌ডি ক‌রে‌ছি‌লেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ