
ঝিনাইদহে মানবপাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মেঘনা কন্যা’ প্রদর্শীত হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। চলচ্চিত্রটি দেখতে নির্ধারিত সময়ের আগেই দর্শকরা জড়ো হতে শুরু করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে।কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে যায় অডিটোরিয়াম। এই সিনেমা দেখতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাসহ কমিউনিটি পর্যায়ের সেচ্ছাসেবীরা উপভোগ করেন।এসময় দর্শকরা বলেন, মেঘনা কন্যা চলচিত্রটি সমাজে মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ অবদান রাখবে। এই সিনেমার মাধ্যমে নারীরা বেশি উপকৃত হবে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সিনামাটি বেশি বেশি প্রচারের অনুরোধ দর্শকদের।
প্রফেসর সুষেন্দু কুমার ভৌমিক বলেন, এই সিনেমাটি দেখে যে শিক্ষনীয় বিষয় আছে সেটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই সিনেমার সকল বিষয় মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

নারী উদ্যোক্তা এসোসিয়েশনের সভাপতি শাপলা ইসলাম বলেন, এই সিনেমাটি ঝিনাইদহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ছিল। এই এলাকা দিয়ে অনেক নারী পাচার হয়। নারীদের সচেতন করার জন্য এই সিনেমা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।ঝিনাইদহের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশে দৃশ্যমান যতগুলো সামাজিক সমস্যা রয়েছে এরমধ্যে অন্যতম সমস্যা নারী পাচার। এই সিনেমার মাধ্যমে নারী পাচারের অনেক বিষয় উঠে এসেছে। চলচ্চিত্রটি মানব পাচারের ওপর সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। এধরনের চলচ্চিত্র আরও বেশি নির্মিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
সুইজারল্যান্ড-এর সহযোগিতায় ও ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালনায় এই চলচ্চিত্রটি নারী পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
