আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

আমরা করবো জয় আয়োজিত সভায় সুজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমরা করবো জয় আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ বুধবার (১০ জুলাই ২০২৪ইং) বিকেলে খোরশেদ আলম সুজন এর উত্তর কাট্টলীস্থ বাসভবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আমরা করবো জয়’ আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত আহ্বান জানান সুজন।

এ সময় সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্ত এবং দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার উষালগ্নে মাত্র তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারবর্গকে হত্যা করে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মৃত্যুঞ্জয়ী মূল্যবোধগুলোকে পরবর্তী সরকারগুলো পদদলিত করে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। অনেকেই তখন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উপহাস করেছে। আজকের বাংলাদেশে দাড়িয়ে আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ আজ শুধুই দারিদ্র্যের উদাহরণ নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধি এবং অগ্রযাত্রার উদাহরণ হয়ে দাড়িয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে এক অপার বিস্ময়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আজ ঈর্ষনীয়। আর তাই বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অনেকের গা-জ্বলার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এই অগ্রযাত্রা অনেকে সহ্য করতে পারছে না বলে তারা ছলে বলে কৌশলে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে রুখে দাড়ানোর জন্য। একই ষড়যন্ত্র বলে তাঁরা ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা সেদিন স্লোগান দিয়েছিলাম এক মুজিবের রক্ত থেকে লাখো মুজিব জন্ম নেবে। আমাদের সেই স্লোগান আজ সত্যি হয়েছে। আজ বাংলাদেশের পথে প্রান্তরে অজস্র মুজিব জন্ম নিয়েছে। তারা আজ সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত রুখে দিতে বদ্ধ পরিকর। যুগে যুগে এদেশের ছাত্র যুব সমাজ সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আজও ছাত্র যুব সমাজকে দেশ রক্ষায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সূচিত জাতীয় উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধিকে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান হাসান আহমেদ ইমু’র সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আ ফ ম সাইফুদ্দিন, তালেব আলী, শওকত আলী রনি, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নোমান চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুজন বর্মন, রনি মির্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. রায়হান, শফিকুল আলম পারভেজ, আমির হোসেন সোহাগ, আব্দুল মান্নান রুবেল, আজিজুল হক আজিজ, শহীদুল্লাহ বাবলু, শেখর দাশ, মনিরুল হক মুন্না, শুভ ঘোষ, কপিল কর, হাবিবুর রহমান, হাসান আলী, মো. রাশেদ, সজোয়ার জিকু, মো. আরাফাত রুবেল প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চুয়ান্নটি বছর

স্বাধীনতার চুয়ান্নটি বছর চলেছে একই নীতিতে!
সত্যিই এবার পরিবর্তন প্রয়োজন।
স্বপ্ন আর আশা,
এই নিয়ে দেশের মানুষের বেঁচে থাকা।

কেহ দেশের শান্তি ফেরাতে দিয়েছেন প্রাণ,
কেহ আবার সব ভুলে গিয়ে নিজের সুবিধা আর আসন পাওয়া নিয়ে ব্যস্ততা,
আর এক শ্রেণীর মানুষের নেই ঘুম!

সুন্দর স্বপ্নময় দেশ গড়তে,
সর্ব প্রথম আইন,
বিচার ব্যবস্থা আর প্রশাসনের সঠিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এই তিনটি যেন কারো ব্যক্তিগত কারো সম্পত্তি না হয়।

বিগত চুয়ান্ন বছর পর আবারও দেশ ও দেশের মানুষের নতুন অধ্যায়!
যেন বিগত দিন, মাস, বছর পর বছর আর নয়,
সর্বত্র হোক বিরাজমান সত্য ও সততার আগমন।

রঙের দেখা

একেক পাখির একেক রং,
ফুলের সুগন্ধে মন ছুঁয়ে রয়!
নীল আকাশে সাদা মেঘের ক্ষণে ক্ষণে মেলা হয়।

হরেক রঙের মানুষের দেখা,
ভিন্ন ভিন্ন দেশে। ভাষাও আবার ভিন্ন হয়,
আবহাওয়াও ভিন্ন রুপে।

একই দেশের মানুষ মোরা ভিন্ন ভিন্ন ভবের।
আচার- আচরণও হয় ভিন্ন!

চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে জীবনে সকলেই চিন্তিত! হয়তো প্রকাশ ভঙ্গি ভিন্ন।

সকাল সন্ধ্যা! কতো স্মৃতি আর অনুভূতি আসে বারে বারে এ মনে!
মনের অজান্তেই কথা হয়,
চুপিচুপি একাকী নিরজনে!

ফুলদানিতে কতো ফুল রাখি,
আস্তে আস্তে শুকিয়ে,
নয় তো ঝড়ে যায়!
চেনা চেনা কতো মানুষও আবার,
দুঃসময়ে দূরে সরে চলে যায়!

দুনিয়ায় আসা হয় একা,
একা চলে যেতে হয়!
এর বিকল্পও নেই,
তবুও মানুষের সাথে মানুষের অবিচার অবক্ষয়!

দুনিয়ায় কতো কিছু,
কতো রঙে ভরা,
শুধু রক্তের একটিই রঙ!
মানুষ, দেশ, জাতি যেমনই হোক, সকলের রক্তের রঙ লাল।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ