আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

১০ টাকার ট্রেনের টিকেট ১৫ টাকায় বিক্রি! প্রতিবাদ করতেই বুকিং সহকারীর বাজে আচরণ

ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ট্রেনের টিকেটের গায়ে লেখা ১০ টাকা ভাড়া রাখছে ১৫ টাকা। প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের সাথে করছেন ধমকা-ধমকি ও বাজে আচরণ। এই অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশনের বুকিং সহকারি মোঃ সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশনের বুকিং সহকারী মোঃ সুমন মিয়া ট্রেনের এক যাত্রীর সঙ্গে এমন বাজে আচরণ করেন।
প্রত্যেক ট্রেনের টিকেট নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হয় বলে এলাকাবাসী ও যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। কেউ কিছু বলতে গেলে বা প্রতিবাদ করলেই বুকিং সহকারিরা এমন আচরণ হরহামেশাই করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। এলাকাবাসী আরও অভিযোগ তুলেছেন যে, বুকিং সহকারিদের সহযোগিতায় বেশির ভাগ আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়।
বুকিং সহকারীর এমন আচরণের সময় টিকেট নিতে আসা যাত্রী ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করেছেন। তা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ধারণকৃত ভিডিও থেকে জানা গেছে, ২য় শ্রেণির সাধারণ ট্রেনে গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে জারিয়া-জাঞ্জাইল যাওয়ার ভাড়া হচ্ছে ১০ টাকা কিন্তু বুকিং সহকারী সেই টিকেট বিক্রি করছেন ১৫ টাকা। ৫ টাকা কেন বেশি রাখছেন এটা জিজ্ঞেস করতেই তিনি যাত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করা শুরু করেন।
বুকিং সহকারী মোঃ সুমন মিয়া ওই সময় বলেন, টিকেটের দাম ১৫ টাকাই। আপনি কোত্থেকে আইছেন। কিসের কাগজে লিখে দিবো ? আপনার পরিচয়ের খেতা পুড়ি। আপনার কিসের পরিচয় ? আপনি কোন জায়গার ওবায়দুল কাদের ?
অভিযোগকারী ট্রেনযাত্রী আব্দুর রাকিব সোহাগ জানান, আমি বিকেলে গৌরীপুর স্টেশন থেকে জারিয়া যাওয়ার জন্য টিকেট নিই। ওই সময় আমার কাছ থেকে টিকেটের দাম নেয়া হয় ১৫ টাকা কিন্তু টিকেটের গায়ে লেখা আছে ১০টাকা। কেন বেশি নিচ্ছে জানতে চাইলে বুকিং সহকারী মোঃ সুমন মিয়া আমার সাথে বাজে আচরণ করে, এমনকি সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। এভাবেই প্রত্যেক যাত্রীর সাথেই খারাপ আচরণ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিকেট কাউন্টার যাত্রীরা রাত সাড়ে ৯টায় গৌরীপুর স্টেশন থেকে পূর্বধলা ট্রেনের টিকেট বিক্রি করছেন ১০ টাকায়। টিকেটের গায়ে লেখা ৭ টাকা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ সুমন মিয়াকে মোবাইল ফোনে (০১৭১৭৩২৫৪৫৬) এই নাম্বারে কল দিলে তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন।
গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে জারিয়া ঝাঞ্জাইল এর ভাড়া ১০ টাকা। টিকেট বেশি দামে বিক্রি করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ