আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

ছাত্রদেরকে রাষ্ট্রের পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে- একরাম হোসেন

ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ

ছাত্রদেরকে রাষ্ট্রের পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে’ এই মন্তব্যটি করেছেন সুজন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য একরাম হোসেন।
‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার চাই’ এই শ্লোগানে শুক্রবার (৯ আগষ্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সুজন উপজেলা কমিটি আয়োজিত সম্প্রীতি মিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একরাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ন্যায্যতার জন্য, ভোটাধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন চলছিলো। কোটা সংস্কার আন্দোলন এমনি ন্যায্যতা ও ন্যায়ের অধিকার আদায়ের একটি আন্দোলন। সেই আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকার প্রথমে তাদেরকে গালমন্দ করেছে রাজাকারের বাচ্চা বলে। দ্বিতীয়বার সেই স্বৈরাচারি দলের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুন্ডাপান্ডাদের লেলিয়ে দিয়ে বিড়াল যেমন গর্ত থেকে ইঁদুরকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে বেড়ায় ঠিক তেমনি তারা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়গুলোর হল থেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরকে খুঁজে বের করে শতশত শিক্ষার্থীদেরকে আহত করেছে, নিগৃহীত করেছে, অপমানিত করেছে। সেই অবমাননার স্বীকার হয়ে যখন তারা ফুঁসছিলো তখনই সরকার প্রধান তাদেরকে অপমানজনক কথা বলেছে। তার বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও জনসাধারণ ফুঁসে উঠেছে এবং তার এই পরিণতি আমরা দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় আমাদের সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছিলো কিন্তু এই আন্দোলনের সময় তাঁদেরকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়ার পরে তাঁরা একটি সভায় বলে দেয় মানবাধিকার ও সংবিধান অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করবেন এবং জনগণের পাশে থাকবেন। সেনাবাহিনী যখন বললো তারা কাউকে গুলি করবেনা, পুলিশের গুলি শেষ হয়ে যায়। সেই সময় দেখলাম ঢাকা শহরের হাজার হাজার রিক্সাচালক, জনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। তখনই সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে গণভবনের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করতে পেরেছি। তারপর একটি পক্ষ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর করেছে। স্বাধীনতার স্মারকগুলোকে নষ্ট করে দিয়েছে। বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। তাদের প্রতি আহবাণ রইলো একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক, ন্যায়সঙ্গত রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করার।
গৌরীপুর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে সম্প্রীতির মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলশেষে পৌর শহরের উত্তর বাজার, মধ্যবাজার ও কালীখলা এলাকায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুজন গৌরীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল হাসনাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন তসলিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন-আল-বারী, বাসদ গৌরীপুর উপজেলার সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম, উদীচী গৌরীপুর সংসদের সভাপতি ওবায়দুর রহমান, ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হাসান অনয়, প্রভাষক সাদ্দাম হোসেন, শিক্ষক উজ্জ্বল রবিদাস, ছাত্র ইউনিয়ন উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন ও হারুন পাঠাগারের সত্ত¡াধিকারী মোঃ হারুন মিয়া প্রমুখ।
পথসভা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্যাতিত এনামুল হাসান অনয়, অর্পিতা কবীর এ্যানি ও আফরোজা আক্তারকে সংবর্ধনা করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা তোমাকে ভুলবো না আছিয়া।

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া মারা গেছে। ঠিক তখনই দুমড়ে, মুচড়ে গেলাম আমি । একদম কাচের মতো টুকরো, টুকরো হয়ে গেলাম। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে আর ঠিকে থাকা হলো না ছোট আছিয়ার। কি কারণে আমরা আজ আছিয়া কে হারালাম??? কি অন্যায়?? কি দোষ??? কি ত্রুটি ছিলো ৩য় শ্রেণীতে পড়া ছোট এই আছিয়ার??? একটাও প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পেলাম না। কেন

আমরা এই ছোট আছিয়ার নিরাপত্তা দিতে পারিনি??? হিংস্র কিছু মানুষ রুপী পশুর নির্মম নির্যাতনের শিকার হলো আমাদের ছোট আছিয়া। যে আছিয়া স্কুলে
যাওয়ার কথা, হেসে খেলে মুক্ত বাতাসে তার এলোমেলো চুল উড়ানোর কথা, সেই আছিয়ার কেন এই নিষ্ঠুর পরিনতি??

আমরা কি পারবো, দ্রুত সময়ের মধ্যে, আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে ?? ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো আমাদের আছিয়া। আমরা তোমায় ভুলবো না আছিয়া। আকাশে জ্বলজ্বল করে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আমাদের হৃদয়ে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের আছিয়া।

আমরা আর কোন আছিয়াকে হারাতে দেব না। আমাদের সমাজের এই ছোট সোনামনিদের, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে ।

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ