
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক বরেণ্য সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মিহির লালা আর নেই।তার মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন সঙ্গীতশিল্পী তাপস কুমার বড়ুয়া। শনিবার সকাল আটটার দিকে তিনি পরলোকে গমন করেন।
বরেণ্য সংগীতজ্ঞের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকে। সঙ্গীতশিল্পী আবদুর রহিম লিখেছেন, ‘তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
শ্যামল মিত্র বড়ুয়া নামে তার এক ছাত্র লিখেছেন, বিনম্র শ্রদ্ধায় ওস্তাদজীকে স্মরণ করছি। উনার এহেন প্রস্থানে শুদ্ধ সংগীত জগতে অপরিমেয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যা সহজে পুরণ হবার নয়। আমি ওস্তাদজীর সরাসরি ছাত্র। আজ উনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে অনন্তপথের যাত্রী হয়েছেন। আজ কিছুই দেবার নেই ওস্তাদজীর চরণতলে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এবং উনার পারলৌকিক শান্তি কামনা করছি।
অসিত দে নামে আরেকজন লিখেছেন, গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। চট্টগ্রাম তথা সারা দেশের সংগীতাঙ্গনে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। আত্মার শান্তি কামনা করছি ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
নিখিল কৃষ্ণ মণ্ডল লিখেন, সংগীত ভুবনের এক অনন্য দিকপাল প্রিয় দাদার না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো , যা কোনদিন পূরণীয় নয়। হয়তো ওনার সংগীত আলো তাঁর শিষ্যদের মাঝে বহুবছর প্রদীপ হয়ে জ্বলবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
জানা গেছে, ওস্তাদ মিহির লালার জন্ম ১৯৪১ সালের ৪ জানুয়ারি। জন্মস্থান কক্সবাজার হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ার পোপাদিয়া গ্রামে। বাবা অ্যাডভোকেট চন্দ্র বিনোদ লালা ও মায়ের নাম কুলদাবালা লালা। ৮ সন্তানের মধ্যে মিহির লালা তৃতীয় সন্তান। বড় ভাই রবীন্দ্র নাথ লালা বিখ্যাত ওস্তাদ পণ্ডিত ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম ছাত্র ছিলেন। তিনি অল ইন্ডিয়া মিউজিক কলেজ থেকে প্রফেসর অব ক্লাসিক্যাল মিউজিক ডিগ্রি লাভ করেন। ওস্তাদ মিহির লালার স্ত্রী জয়ন্তী লালা নজরুল সঙ্গীতশিল্পী। তিনিও শাস্ত্রীয় শিক্ষায় দীক্ষা দিয়ে থাকেন। মেয়ে চন্দ্রিমা লালা সঙ্গীতে ডিগ্রি নিয়েছেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আর ছেলে সুমন লালা একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সঙ্গীতজীবনে মিহির লালার অর্জন বেশ সমদ্ধ। ২০১৮ সালে মে মাসে সঙ্গীতে অবদান রাখায় তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রেসিডেন্ট পদকে ভূষিত হন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক হিসেবে অবদান রাখায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি (ঢাকা) তাকে বিশেষ শিল্পী সন্মাননা প্রদান করে।আমৃত্যু উপমহাদেশের শতবর্ষীয় ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র ‘আর্য্য সঙ্গীত সমিতি’ ও সুরেন্দ্র সংগীত বিদ্যাপীঠ’ এর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন বরেণ্য সংগীতজ্ঞ
ওস্তাদ মিহির লালা
ছবি-৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক বরেণ্য সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মিহির লালা আর নেই।তার মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন সঙ্গীতশিল্পী তাপস কুমার বড়ুয়া। শনিবার সকাল আটটার দিকে তিনি পরলোকে গমন করেন।
বরেণ্য সংগীতজ্ঞের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকে। সঙ্গীতশিল্পী আবদুর রহিম লিখেছেন, ‘তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
শ্যামল মিত্র বড়ুয়া নামে তার এক ছাত্র লিখেছেন, বিনম্র শ্রদ্ধায় ওস্তাদজীকে স্মরণ করছি। উনার এহেন প্রস্থানে শুদ্ধ সংগীত জগতে অপরিমেয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যা সহজে পুরণ হবার নয়। আমি ওস্তাদজীর সরাসরি ছাত্র। আজ উনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে অনন্তপথের যাত্রী হয়েছেন। আজ কিছুই দেবার নেই ওস্তাদজীর চরণতলে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এবং উনার পারলৌকিক শান্তি কামনা করছি।
অসিত দে নামে আরেকজন লিখেছেন, গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। চট্টগ্রাম তথা সারা দেশের সংগীতাঙ্গনে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। আত্মার শান্তি কামনা করছি ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
নিখিল কৃষ্ণ মণ্ডল লিখেন, সংগীত ভুবনের এক অনন্য দিকপাল প্রিয় দাদার না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো , যা কোনদিন পূরণীয় নয়। হয়তো ওনার সংগীত আলো তাঁর শিষ্যদের মাঝে বহুবছর প্রদীপ হয়ে জ্বলবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
জানা গেছে, ওস্তাদ মিহির লালার জন্ম ১৯৪১ সালের ৪ জানুয়ারি। জন্মস্থান কক্সবাজার হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ার পোপাদিয়া গ্রামে। বাবা অ্যাডভোকেট চন্দ্র বিনোদ লালা ও মায়ের নাম কুলদাবালা লালা। ৮ সন্তানের মধ্যে মিহির লালা তৃতীয় সন্তান। বড় ভাই রবীন্দ্র নাথ লালা বিখ্যাত ওস্তাদ পণ্ডিত ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম ছাত্র ছিলেন। তিনি অল ইন্ডিয়া মিউজিক কলেজ থেকে প্রফেসর অব ক্লাসিক্যাল মিউজিক ডিগ্রি লাভ করেন। ওস্তাদ মিহির লালার স্ত্রী জয়ন্তী লালা নজরুল সঙ্গীতশিল্পী। তিনিও শাস্ত্রীয় শিক্ষায় দীক্ষা দিয়ে থাকেন। মেয়ে চন্দ্রিমা লালা সঙ্গীতে ডিগ্রি নিয়েছেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আর ছেলে সুমন লালা একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সঙ্গীতজীবনে মিহির লালার অর্জন বেশ সমদ্ধ। ২০১৮ সালে মে মাসে সঙ্গীতে অবদান রাখায় তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রেসিডেন্ট পদকে ভূষিত হন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক হিসেবে অবদান রাখায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি (ঢাকা) তাকে বিশেষ শিল্পী সন্মাননা প্রদান করে।আমৃত্যু উপমহাদেশের শতবর্ষীয় ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র ‘আর্য্য সঙ্গীত সমিতি’ ও সুরেন্দ্র সংগীত বিদ্যাপীঠ’ এর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।