আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বরেণ্য সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মিহির লালা না ফেরার দেশে চলে গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক বরেণ্য সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মিহির লালা আর নেই।তার মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন সঙ্গীতশিল্পী তাপস কুমার বড়ুয়া। শনিবার সকাল আটটার দিকে তিনি পরলোকে গমন করেন।
বরেণ্য সংগীতজ্ঞের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকে। সঙ্গীতশিল্পী আবদুর রহিম লিখেছেন, ‘তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
শ্যামল মিত্র বড়ুয়া নামে তার এক ছাত্র লিখেছেন, বিনম্র শ্রদ্ধায় ওস্তাদজীকে স্মরণ করছি। উনার এহেন প্রস্থানে শুদ্ধ সংগীত জগতে অপরিমেয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যা সহজে পুরণ হবার নয়। আমি ওস্তাদজীর সরাসরি ছাত্র। আজ উনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে অনন্তপথের যাত্রী হয়েছেন। আজ কিছুই দেবার নেই ওস্তাদজীর চরণতলে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এবং উনার পারলৌকিক শান্তি কামনা করছি।
অসিত দে নামে আরেকজন লিখেছেন, গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। চট্টগ্রাম তথা সারা দেশের সংগীতাঙ্গনে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। আত্মার শান্তি কামনা করছি ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
নিখিল কৃষ্ণ মণ্ডল লিখেন, সংগীত ভুবনের এক অনন্য দিকপাল প্রিয় দাদার না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো , যা কোনদিন পূরণীয় নয়। হয়তো ওনার সংগীত আলো তাঁর শিষ্যদের মাঝে বহুবছর প্রদীপ হয়ে জ্বলবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
জানা গেছে, ওস্তাদ মিহির লালার জন্ম ১৯৪১ সালের ৪ জানুয়ারি। জন্মস্থান কক্সবাজার হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ার পোপাদিয়া গ্রামে। বাবা অ্যাডভোকেট চন্দ্র বিনোদ লালা ও মায়ের নাম কুলদাবালা লালা। ৮ সন্তানের মধ্যে মিহির লালা তৃতীয় সন্তান। বড় ভাই রবীন্দ্র নাথ লালা বিখ্যাত ওস্তাদ পণ্ডিত ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম ছাত্র ছিলেন। তিনি অল ইন্ডিয়া মিউজিক কলেজ থেকে প্রফেসর অব ক্লাসিক্যাল মিউজিক ডিগ্রি লাভ করেন। ওস্তাদ মিহির লালার স্ত্রী জয়ন্তী লালা নজরুল সঙ্গীতশিল্পী। তিনিও শাস্ত্রীয় শিক্ষায় দীক্ষা দিয়ে থাকেন। মেয়ে চন্দ্রিমা লালা সঙ্গীতে ডিগ্রি নিয়েছেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আর ছেলে সুমন লালা একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সঙ্গীতজীবনে মিহির লালার অর্জন বেশ সমদ্ধ। ২০১৮ সালে মে মাসে সঙ্গীতে অবদান রাখায় তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রেসিডেন্ট পদকে ভূষিত হন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক হিসেবে অবদান রাখায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি (ঢাকা) তাকে বিশেষ শিল্পী সন্মাননা প্রদান করে।আমৃত্যু উপমহাদেশের শতবর্ষীয় ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র ‘আর্য্য সঙ্গীত সমিতি’ ও সুরেন্দ্র সংগীত বিদ্যাপীঠ’ এর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন বরেণ্য সংগীতজ্ঞ
ওস্তাদ মিহির লালা
ছবি-৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক বরেণ্য সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মিহির লালা আর নেই।তার মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিশ্চিত করেছেন সঙ্গীতশিল্পী তাপস কুমার বড়ুয়া। শনিবার সকাল আটটার দিকে তিনি পরলোকে গমন করেন।
বরেণ্য সংগীতজ্ঞের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকে। সঙ্গীতশিল্পী আবদুর রহিম লিখেছেন, ‘তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
শ্যামল মিত্র বড়ুয়া নামে তার এক ছাত্র লিখেছেন, বিনম্র শ্রদ্ধায় ওস্তাদজীকে স্মরণ করছি। উনার এহেন প্রস্থানে শুদ্ধ সংগীত জগতে অপরিমেয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যা সহজে পুরণ হবার নয়। আমি ওস্তাদজীর সরাসরি ছাত্র। আজ উনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে অনন্তপথের যাত্রী হয়েছেন। আজ কিছুই দেবার নেই ওস্তাদজীর চরণতলে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এবং উনার পারলৌকিক শান্তি কামনা করছি।
অসিত দে নামে আরেকজন লিখেছেন, গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। চট্টগ্রাম তথা সারা দেশের সংগীতাঙ্গনে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। আত্মার শান্তি কামনা করছি ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
নিখিল কৃষ্ণ মণ্ডল লিখেন, সংগীত ভুবনের এক অনন্য দিকপাল প্রিয় দাদার না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো , যা কোনদিন পূরণীয় নয়। হয়তো ওনার সংগীত আলো তাঁর শিষ্যদের মাঝে বহুবছর প্রদীপ হয়ে জ্বলবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
জানা গেছে, ওস্তাদ মিহির লালার জন্ম ১৯৪১ সালের ৪ জানুয়ারি। জন্মস্থান কক্সবাজার হলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ার পোপাদিয়া গ্রামে। বাবা অ্যাডভোকেট চন্দ্র বিনোদ লালা ও মায়ের নাম কুলদাবালা লালা। ৮ সন্তানের মধ্যে মিহির লালা তৃতীয় সন্তান। বড় ভাই রবীন্দ্র নাথ লালা বিখ্যাত ওস্তাদ পণ্ডিত ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম ছাত্র ছিলেন। তিনি অল ইন্ডিয়া মিউজিক কলেজ থেকে প্রফেসর অব ক্লাসিক্যাল মিউজিক ডিগ্রি লাভ করেন। ওস্তাদ মিহির লালার স্ত্রী জয়ন্তী লালা নজরুল সঙ্গীতশিল্পী। তিনিও শাস্ত্রীয় শিক্ষায় দীক্ষা দিয়ে থাকেন। মেয়ে চন্দ্রিমা লালা সঙ্গীতে ডিগ্রি নিয়েছেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আর ছেলে সুমন লালা একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। সঙ্গীতজীবনে মিহির লালার অর্জন বেশ সমদ্ধ। ২০১৮ সালে মে মাসে সঙ্গীতে অবদান রাখায় তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রেসিডেন্ট পদকে ভূষিত হন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক হিসেবে অবদান রাখায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমি (ঢাকা) তাকে বিশেষ শিল্পী সন্মাননা প্রদান করে।আমৃত্যু উপমহাদেশের শতবর্ষীয় ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত শিক্ষাকেন্দ্র ‘আর্য্য সঙ্গীত সমিতি’ ও সুরেন্দ্র সংগীত বিদ্যাপীঠ’ এর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ