
চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় শনিবার শুনানি শেষে মহানগর হাকিম জুয়েল দেব এ আদেশ দেন বলে জানান অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপিকে গ্রেফতার করা হয়।
ডবলমুরিং থানার ওসি ফজলুর কাদের পাটোয়ারী বলেন, উনাকে গ্রেফতারের পর সাতদিনের রিমান্ড আবেদন চেয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
জানা গেছে, লতিফ আওয়ামী লীগের হয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। একসময় চট্টগ্রাম চেম্বারেরও সভাপতি ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এম এ লতিফ কয়েকদিন চট্টগ্রাম নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি মালুম মসজিদ এলাকায় এক আত্মীয়র বাসায় ছিলেন।গত ৯ অগাস্ট তিনি ওই এলাকার মসজিদে নামাজ পড়ে যাবার পথে বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের রোষানলে পড়েন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অগাস্ট নগরের নিউ মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শেষে বাসায় ফেরার পথে দেওয়ানহাট এলাকায় গুলিতে আহত হন এরশাদ নামের এক ব্যক্তি। নগর ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া দস্তগীরসহ আসামিরা রড, হকিস্টিক দিয়ে বাদী ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান। আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত এরশাদ বাদী হয়ে এম এ লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।