
L
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিবারতন্ত্র, স্বৈরশাসন ও ভোটবিহীন বর্তমান কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের দাবিতে চট্টগ্রামের বৈষম্যের শিকার বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের পক্ষ থেকে আগামী রবিবার (২৫ আগষ্ট) সকাল ১০ টায় নগরীর আগ্রাবাদের চেম্বার ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
এই অবস্থান কর্মসূচি সফল করার লক্ষে শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) বিকালে জামাল খানস্থ সিনিয়র ক্লাবে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বন্দর ইউজার ও চট্টগ্রাম বঞ্চিত ব্যাবসায়ী ফোরামের আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম।

এতে সভাপতির বক্তব্যে সাইফুল আলম বলেন, সম্প্রতি ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে এবং দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের দুঃশাসনে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো চট্টগ্রাম চেম্বারও একটি নির্দিষ্ট দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দুই প্রভাবশালী নেতা এম এ লতিফ এবং মাহবুবুল আলমের বলয়ের বাইরে এখানে কেউ নির্বাচিত হওয়া দূরে থাক, মনোনয়ন ফরম পর্যন্ত নিতে পারেননি। ফলে তাদের পরিবারের সদস্যরাই এখানে ব্যবসায়িক নেতা হয়েছেন। বলয়ের মধ্যে থাকা ব্যক্তিরাই পরিচালক হয়েছেন। চট্টগ্রাম চেম্বার কোনো পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নয়। কিন্তু বিগত কমিটিগুলো এটিকে পারিবারিক সংগঠন বানিয়ে ফেলেছে। ব্যবসায়ী সংগঠনে ব্যবসায়ীদের সুযোগ না দিয়ে ছেলে মেয়ে জামাতাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আসল ব্যবসায়ীরা সুযোগ পাননি। ব্যবসায়ীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে চট্টগ্রাম চেম্বার কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এই চেম্বারের নেতারা রাজনৈতিক দলের মুখপাত্রের মতোই সব সময় কথা বলেছেন। আমরা চট্টগ্রামের সাধারণ ব্যবসায়ীরা সেই পরিবারতন্ত্রের কবল থেকে চট্টগ্রাম চেম্বারকে মুক্ত করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে চাই। তৃণমূল ব্যবসায়ীদের ভোটে সরাসরি নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চাই। আমরা চট্টগ্রাম চেম্বারের বিনা ভোটের এই কমিটি বাতিল চাই।
তিনি আগামী রবিবার চট্টগ্রামের বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের পক্ষ থেকে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে (চেম্বার ভবন) ব্যবসায়ীদের অবস্থান কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান।

বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন টেরি বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য জামাল উদ্দিন বাবলু, সুলতানা ট্রেডার্সের রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বিজিএমইএ’র পরিচালক আবছার হোসেন, সদস্য সাইফুল ইসলাম, আর এস আর এম’র মিজানুর রহমান, বন্দর ট্রাক কাভার ভ্যান মালিক ও কন্ট্রাকটার এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোহেল, ফাল্গুনী ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল খান, গার্মেন্টস এক্সোসরিস ম্যানুফ্যাকচারিং এসোসিয়েশনের পরিচালক আব্দুল ওয়াজেদ সোহেল, বন্দর মেরিন কন্ট্রাকটার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দোস্ত মোহাম্মদ, সোনালী মৎস্য সমবায় সমিতির পরিচালক মো. মহসিন, টেরিবাজার রাজকন্যার নেজাম উদ্দিন, ব্যবসায়ী নেতা ইবনুল হাসান, আহমেদ কবির লেদু, গোলাম মোস্তফা, সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী রকিবুল হাসান সোহেল, ইকো নিট ওয়্যারের আবদুল বারেক প্রমূখ।