আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

জাতীয় সংসদে হিন্দুদের জন্য আসন বরাদ্দ থাকা উচিত : জামায়াতে ইসলামীর আমীর

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

জাতীয় সংসদে হিন্দুদের জন্য সংখ্যানুপাতিক হারে আসন বরাদ্দের পক্ষে মত দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী। বুধবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পুণ্ডরীক ধামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাধাষ্টমী উৎসবে তিনি একথা বলেছেন বলে খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদে হিন্দুদের জন্য সংখ্যানুপাতিক হারে আসন বরাদ্দ থাকা উচিত। জামায়াতে ইসলাম ১৯৫৪ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও এই দাবি তুলেছিল। যদি সংখ্যানুপাতিক আসন বরাদ্দ থাকে, তবে হিন্দুরাই তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করে সংসদে পাঠাতে পারবে। জামায়েতের রাজনীতি মানুষের জন্য এবং মানবতার কল্যাণের জন্য।
সনাতন সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি সনাতনী, আমি মুসলিম, আমি আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবো, এ শিক্ষা ইসলাম দেয়নি। ইসলাম অমুসলিমদের জন্য ভালোবাসা ও নিরাপত্তার কথা বলেছে। বাংলাদেশে আমাদের মধ্যে তো কোনো বিভেদ ছিল না। কারা রাজনীতির জন্য হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করলো ? দেশ আমার-আপনার, আমাদের সবার।
আমাদের আমীরে জামায়েত বলেছেন, আমরা নামাজ পড়তে যদি পাহারা দিতে না হয়, আমাদের মসজিদে যদি পাহারা দিতে না হয়, তবে হিন্দু ভাইদের মন্দিরে কেন পাহারা দিতে হবে ? আমরা এমন দেশ গড়তে চাই যেখানে সব ধর্মের মানুষ তাদের উৎসব অনুষ্ঠান করবে নির্বিঘ্নে।
সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, কোনো সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু হবে না। আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক। আমাদের জন্মনিবন্ধন-জাতীয় পরিচয়পত্র-সংস্কৃতি-খাবার-ব্যবহার সবই এক, তাহলে বিভেদ কেন?
আমরা সবাই বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। তাই শিক্ষার অধিকার, ধর্মীয় আচরণের অধিকার, খাবারের অধিকার, বসবাসের অধিকার, কথা বলার অধিকার সবার সমান হতে হবে। কারো বেশি, কারো কম হতে পারবে না। এজন্য আমাদের সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা সবাই বাংলার সন্তান-সে হিসেবে সংবিধান রচিত হতে হবে।
পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক বিপ্লব পার্থের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস, পাচুরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ রবীশ্বরানন্দ পুরী, বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত শচ্চিতানন্দ পুরী ও অক্ষরানন্দ পুরী, নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের সহ-সভাপতি আকিঞ্চন গৌরদাস, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল ও উত্তর জেলার সদস্য সচিব জুয়েল চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম মহানগর শিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বাবু, হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের আমীর সিরাজুল ইসলাম ও হাটহাজারী পৌরসভার আমীর মিজানুর রহমান এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-ঐক্য পরিষদের গোবিন্দ প্রসাদ মহাজন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাটিয়ারীতে বাগীশিকের আয়োজনে গীতা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

:
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি (বাগীশিক) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের আয়োজনে বার্ষিক গীতা ও নৈতিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শন করেন শীতলপুর শ্রীশ্রী লোকনাথ সেবাশ্রম ও গীতা শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শ্রীমৎ গোবিন্দ ব্রহ্মচারী, বাগীশিক কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শম্ভু দাশ, বাগীশিক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সংসদের সভাপতি শুভাশীষ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক বাসু চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিবু দাশ,

কর্মকর্তা বিপ্লব পাল চৌধুরী, সৈকত দেবানাথ, সুমি দে , বাগীশিক রাউজান উপজেলা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকেশ সরকার, বাগীশিক সীতাকুণ্ড উপজেলা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর দাশ, পৃষ্ঠপোষক সুদীপ্ত দত্ত, উক্ত পরীক্ষা উপ নিয়ন্ত্রক ছিলেন প্রিন্স ভৌমিক, কেন্দ্র সচিব রবি চন্দ্র দাশ, ভাটিয়ারী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রতন দাশ , সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাশ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ ভাটিয়ারী শাখার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায়, বাগীশিক ভাটিয়ারী ইউনিয়ন সংসদের উপদেষ্টা প্রদীপ পাল,

পৃষ্ঠপোষক সাধন দাশ, সভাপতি শ্যামল দাশ, শ্যামল রুদ্র, পুলক কর, সাধন দাশ, রাহুল শর্মা, অংকেশ্বর দাশ, রামপদ দাশ, নিমাই দাশ, , জনি দাশ, জুয়েল পাল, বিষ্ণু পাল, টিটু মিত্র, শংকর কর, বাগীশিক সোনাইছড়ি ইউনিয়নের সংসদের কর্মকর্তা শান্তু পাল, বিভিন্ন গীতা শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিনিধি, প্রশিক্ষক এবং অভিভাবকবৃন্দ।

উক্ত পরীক্ষায় বিভিন্ন গীতা শিক্ষা কেন্দ্রের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরিদর্শকগণ বাগীশিকের গীতা শিক্ষা কার্যক্রম ও গীতা প্রচারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

টেকসই উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতের দাবি

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর ক্ষমতায়নঃ টেকসই উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত কর” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, জ্বালানি অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহন বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। আইএসডিই বাংলাদেশ, ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক) ও বিডাব্লিউজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট), সিএসডিএফ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল

সারাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করে নারীদের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণকারীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা তুলে ধরেন। তারা জোর দিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি খাতে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং সকল স্তরে জ্বালানির ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসাারের প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে গুরুত্বআরোপ করেন।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৪৬ শতাংশই ব্যবহার হয় গৃহাস্থলির কাজে অর্থাৎ নারীরাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন কিন্তু আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধির কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন।
নারী নেত্রী ও চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, নারীরা জ্বালানি খাতে পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন, উৎপাদন থেকে বিতরণ সব ক্ষেত্রেই বঞ্চিত। সারাদেশে নারীদের

মালিকানায় মাত্র ২-৪ শতাংশ জমি থাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের এড়িয়ে যান এবং পরামর্শ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র সুবিধাভোগী হিসেবে তাদেরদের অন্তর্ভুক্ত করেন এবং ‘সংবেদনশীল বিষয়’’ হিসেবে দেখেন, কিন্তু সক্রিয় অংশীদার বা নীতিনির্ধারক হিসেবে নারীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের প্রকল্প সমন্বয়কারী শাম্পা কে নাহার বলেন, জ্বীবাশ্ম জ্বালানী ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কারণে নারীরা নানাবিধ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, কারণ পুরুষদের মতো তারা সহজে স্থান বদল করতে পারেন না। স্থানীয় এলাকায় বহিরাগতদের ভিড়ের কারণে নারীদের চলাচল, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন এবং মৌলিক প্রয়োজন পূরণে অসুবিধার সম্মুখীন হন। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে এসব সমস্যা সমাধানে খুব বেশি তৎপর হতে দেখা যায় না। সাধারণত পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ঊওঅ) প্রক্রিয়ার বাধ্যতামূলক শর্ত পূরণের জন্যই নারীদের নামমাত্র পরামর্শ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সভায় চট্টগ্রাম ফোরাম অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্টের সদস্যা ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদ্যৗস বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় নারীদের বিশেষ প্রয়োজন, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেন।জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো, মাত্রাতিরিক্ত পারদ, সীসা, ক্যাডমিয়াম, সালফার ও ক্রোমিয়াম নির্গত করে। এই বিষাক্ত

ধাতুগুলো নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। নারীরা এই দূষণের সরাসরি ও নিরীহ শিকার হলেও তাদের কোনো ক্ষতিপূরণের অধিকার নেই, কারণ তাদের নামে জমির মালিকানা থাকে না। প্রচারাভিযান কর্মীরা নারীদের জন্য সহজে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান।

আলোচনা ও প্রচারাভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা অংশনেন সিাংবাদিক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি সায়মা হক, উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক লায়লা ইয়াছমিন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফ্রুটস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সেলিম জাহ্ঙ্গাীর, ক্যাব চকবাজার থানা কমিটির সভাপতি আবদুল আলীম, অধিকার চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ওসমান জাহাঙ্গীর, নারী উদ্যোক্তা ফারজানা মুক্তাদির, ছাত্র প্রতিনিধি পার্থ সরকার, হারিসা খানম সুখী প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ