আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

দশম গ্রেড বাস্তবায়নে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রুত বৈষম্য নিরসন না হলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হতে পারে

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

অন্যান্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) ডিগ্রিধারী সার্ভেয়ার অথবা সমমানের পদে কর্মরতদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রামে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা অবস্থান কর্মসূচি ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।বৈষম্যবিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক,(ভূমি অধিগ্রহণ) ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম তানভীর আল নাসীফ বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন স্মারকলিপি প্রধানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন,নাজমুল হাসান, অমিত মজুমদার, মুমিনুল ইসলাম, আলমগীর কবির,মনিরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সার্ভেয়ার ও সমমানের পদে কর্মরত সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দীর্ঘদিন ধরে চরম বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। একই সমমানের প্রকৌশলীরা ১০ম গ্রেডে কর্মরত থাকলেও ১৪, ১৫ ও ১৬তম গ্রেডে চাকরি করছেন তারা।বৈষম্য নিরসনে উচ্চ আদালত ও বাংলাদেশ কর্ম-কমিশন (পিএসসি) নির্দেশনা দিলেও আগের সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। এ নিয়ে সার্ভে ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
দ্রুত বৈষম্য নিরসন না হলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় চার বছর মেয়াদি (পূর্বে তিন বছর মেয়াদি প্রকৌশল ডিপ্লোমা) সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থায় সার্ভেয়ার পদে কর্মরত।

তারা সরকারের সব উন্নয়নমূলক কাজের প্রাথমিক ধাপে সরাসরি ভূমিকা পালন করেন।
কারিগরি অধিদপ্তরের আওতায় যত ডিপ্লোমা টেকনোলজিস্ট আছে, তারা সবাই ১৯৯৪ সালের সম/বিধি-১৬৪নং রাষ্ট্রপতির আদেশে দ্বিতীয় শ্রেণি বর্তমানে ১০ম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পান। সেখানে অর্থ বিভাগের সুস্পষ্ট সম্মতি রয়েছে এবং সব দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অথচ সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা ১৪তম, ১৫তম ও ১৬তম গ্রেডে চাকরি করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৫ সালে ১৭৮ (১৭) স্মারকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অন্যান্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের ন্যায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও বেতন স্কেল দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করতে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া ২০১৩ ও ২০১৪ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ের, ভূমি মন্ত্রণালয়ের, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি কল্যাণ শাখা থেকে পুনরায় তাদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার সুপারিশ করে অর্থ সচিবকে চিঠি দেয়।

এরপর ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১৮ ও ২০১৯ সালে সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও সার্ভেয়ার এবং সমমান পদের বেতন স্কেল দ্বিতীয় শ্রেণি (১০ম গ্রেড) বাস্তবায়নে সুপারিশ করে। সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ভূমিমন্ত্রী সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দেন। আদালতের পক্ষ থেকেও সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো কোনো সুপারিশই বাস্তবায়ন হয়নি।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কানুনগো ও উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদে দীর্ঘদিন ধরে কোনো পদোন্নতি বা নিয়োগ না থাকায় এক হাজার ৪০০টি পদের মধ্যে এক হাজার ২৫০টি পদ শূন্য থাকায় মাঠ প্রশাসনে সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে। এসব শূন্য পদ পূরণে সুপারিশ চেয়ে পিএসসিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি দ্রুত মন্ত্রণালয়কে পদোন্নতির সুপারিশ করেছে। পিএসসির ১০১৩ জনের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে পদোন্নতি দিতে বলে হলে ও মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনায় পদোন্নতিতে একটা গা-ছাড়া লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে। অথচ প্রশাসন ক্যাডারের কোনো পদোন্নতিতে জটিলতা তৈরি হয় না।

একজন সার্ভেয়ারের কর্মকাল ১০ হলে কানুনগো পদে পদোন্নতি পাওয়ার বিষয় নিয়োগবিধিতে উল্লেখ থাকলেও দীর্ঘ ২৫-২৬ বছর চাকরি করে একটিও পদোন্নতি নেই। এতে তাদের আর্থিক ও মানুষ কষ্ট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ভূমির আইনের সংস্কার ও ভূমি ক্যাডার হলে জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব সম্ভব।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সার্ভে ডিপ্লোমা এসোসিয়েশন এর পক্ষে সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন,
সরকারের সব দপ্তরে কর্মরত অন্যান্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু সমমান এবং এক ও অভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার পরও সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হয়নি।

তিনি বলেন, একই কারিকুলামে ডিগ্রি অর্জন করে কেউ দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা, আবার কেউ তৃতীয় শ্রেণিতে চাকরি করছেন। আমরা এ বৈষম্যের অবসান চাই। বিগত সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ সংক্রান্ত সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ