আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

যে জীবন কেরে নিলে, সে জীবনতো দিতে পারবেবা

একটি হত্যাকান্ড প্রতিটি মানুষকে ব্যথিত করেছে

উপসম্পাদকীয় -কিরন শর্মা

আমরা আইয়ামে জাহেলিয়া যুগে প্রবেশ করছি নাতো?

একটি হত্যাকান্ড প্রতিটি মানুষকে ব্যথিত করেছে। দলবদ্ধ ভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তাদের নিলর্জ উন্মাদনার বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছে। তাও আবার ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ হত্যাকাণ্ড জাতির জন্য লজ্জার। জাতি হিসেবে আমাদের মাথা হেট হয়ে গেছে। খুব কষ্ট হচ্ছে এই হলের এরকম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখে। যে হলের নাম বাংলার বাঘ শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের নামের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। আমি যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারিনি। কিন্তু মাধ্যমিকে পড়াুয়া এক সহপাঠী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুবাদে অনেক সময় কাটিয়েছি হলে। আড্ডা দিয়েছি অনেক সময় ঐবন্ধুটির সাথে ফজলুল হক হলে । এ লোমহর্ষক হত্যাকান্ড দেখে সেই বন্ধুটিও খুব কষ্ট পেয়েছেন বলে আমার মনে হয়। তোফাজ্জল হত্যায় যে বা যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে সাজা দেওয়া উচিত। রাজনৈতিকভাবে কোন পক্ষ অন্য পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য কিংবা দোষ চাপানোর চেষ্টা করে কোন লাব নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করা কঠিন কাজ নয়। এরই মধ্যে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। যেকোনো হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য কেউ এগিয়ে না এলেও রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হয়। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কি আমরা কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি। আমরা কি আইয়ামে জাহেলিয়া যুগে প্রবেশ করছি? নাকি অতি উৎসাহী কিছু লোক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এসব করে চলেছে। নাকি পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের উপর এসকল দ্বায় চাপিয়ে দেয়ার আয়োজন হচ্ছে। অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আমাদের ন্যায় বিচার পাইয়ে দেয়ার কথা বলেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। একই দিনে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। একই দিন দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আমরা সব সময় সোচ্চার। বিবেকের তাড়নায় তাড়িত শিক্ষার্থীরা ঠিকই এর প্রতিবাদ করেছে। বিচার চেয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর দেশে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে এটা সত্য। দেশ স্বাধীনের পরও কিছু বিক্ষিপ্ত পরিস্থিতির জন্ম নেয়। এটিকে দীর্ঘ সময় জিইয়ে রাখা রাস্ট্র ব্যবস্হার জন্য হুমকিস্বরুপ। দায়িত্বপ্রাপ্ত রায়। অতীতে অপরাধ করে অনেকেই পার পেয়েছে। এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শাস্তি পাওয়ার নজিরও রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা, মনে হয় এটিই প্রথম ঘটেছে।জানতে পারলাম সেই ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন।
আবার এ কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেটির মামাতো বোনের কাছে ২ লক্ষ টাকা মোবাইল ফোনে চেয়েছে কোন একজন। স্বাধীনতা পর যখন যে সরকার ছিল প্রত্যেকেই ক্ষমতায় যাওয়ার আগে মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার দেয়ার কথা বলেছে। বিগত সরকারগুলো সে কথাটা কতটুকু পালন করেছে, তা আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা দেখেছি। আমরা কখনো কখনো কথা বলেছি। আবার কখনো কখনো গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করার কালা কানুন করার জন্য কথা বলতে পারিনি। । সব সময়ই আমাদের হাত চেপে ধরা হয়েছে। কালা কানুনের মাধ্যমে আমাদের কলম চলতে দেয়া হয়নি। একদিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, আবার অন্যদিকে গণ মানুষের কথা বলতে গিয়েও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আইনের জন্য বলতে পারিনি। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকের তাড়নায় তাড়িত ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইন প্রয়োগকারি বাহিনীর কাছে তুলে দিয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে বলতে শুনলাম আবেগের তাড়নায় মেরেছি।আমরা যে জীবন দিতে পারি না, কেড়ে নিতেও পারিনা। একথা সবাইকে বুঝতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূতিকাগার। এ মহাবিদ্যা পিঠের শিক্ষার্থীরাই বেশি রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্ব দিয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছে বিগত দিনে । তোফাজ্জল হত্যার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান অনেকটা নামিয়ে দিয়েছে মাত্র কজন ছাত্র। অপরাধের সাথে যেই জড়িত তাদের শাস্তি দিতে হবে। দলীয় পরিচয় সামনে না আনার চেয়ে বিচারের মুখোমূখি করা জরুরী। আরো এক লজ্জার বিষয় হলো কোন এক পুলিশ কর্মকর্তা নাকি ভাত খাইয়ে যা করার তাই করতেন। ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে অনুসরণ করেছে বলে, অনেকে মনে করেন। বিভিন্ন টেলিভিশনের ফুটেছে দেখতে পেলাম প্রথমে তোফাজ্জলকে খুব আদর করে খাওয়ালেন। তারপর নিলজ্জভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করলেন তোফাজ্জলকে। আমরা কি বিগত দিনের খারাপ সংস্কৃতি ধারণ করব, নাকি ওই খারাপ সংস্কৃতি বাদ দিব?আমাদের আর পিছনের দিকে নয়, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অপরাধকে অনুসরণ নয়, অপরাধমুক্ত করতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ