আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু সুবিচারের দাবীতে সাতক্ষীরায় যুবদের নদীবন্ধন

ইব্রাহীম হোসেন সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বেঁচে থাকার অধিকার, চাই জলবায়ু সুবিচার’, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করো, ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ চাই, ‘ক্ষতিকারক কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাসহ এমন ধরনের নানা স্লোগান এবং নিজেদের তৈরীকৃত ব্যানার, প্লেকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নদীর পাড়ে নদীবন্ধন করেন শ্যামনগরের যুবরা।সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী ওয়াপদা বেড়িঁবাধের ভাঙনকূলে উপকূলীয় অঞ্চলের অর্ধশতাধিক যুব এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠী এ নদীবন্ধনে অংশ নেন। বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ) এর সহায়তায়, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বনজীবি ইয়ুথ টিম ও উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি আয়োজিত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জলবায়ু সুবিচারের দাবীতে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আয়োজিত এ নদীবন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বনজীবি ইয়ুথ টিম’র সভাপতি মো. শামীম হোসেন।বারসিক’র যুব সংগঠক স.ম. ওসমান গনী সোহাগ এর সঞ্চালনায় নৌবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সবুজ সংহতির শেফালী বিবি, এসএসএসটি’র আহবায়ক প্রকাশ মন্ডল, যুব স্বেচ্ছাসেবক আব্দুর রহমান, আল-মামুন, মোঃ তাওহিদ হোসেন, জুলেখা আক্তার, তানিয়া পারভীন, শরিফা খাতুন, নাছরিন আক্তার প্রমুখ।এসময় পরিবেশের জন্য হুমকি প্রকল্পগুলো সম্বন্ধে উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি’র কার্যকরী সদস্য শামীম হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য জলবায়ু ও জ্বালানি সুরক্ষিত একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই।’ সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলির কাছে অবিলম্বে জীবাশ্ম-তহবিল বন্ধ করাসহ জলবায়ু সংকটের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলোর জন্য জলবায়ু ক্ষতিপূরণের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ না করে টেকসই প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য সরকার ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান তিনি।

বারসিক শ্যামনগর রিসোর্স সেন্টার এর আঞ্চলিক সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) রামকৃষ্ণ জোয়ারদার তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বৈশ্বয়িক পরিবর্তন ঘটছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর লাগামহীন কার্বন নিঃসরণ ও ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার, আমাদের মতো নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে দিন দিন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিণত করছে। সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট এর সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজকের এ নদীবন্ধন। আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ জায়গা থেকে জলবায়ু সুবিচার চাইতে হবে। নতুবা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। আসুন আমরা ফসিল ফুয়েলের নানাবিধ ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সকল প্রাণের জন্য একটি বাসযোগ্য সবুজ পৃথিবী বিনির্মাণ করি।

স্থানীয় সমাজকর্মী মোঃ বুলবুল হৃদয় বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এবং দ্রæত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কল-কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন খাতে প্রতিনিয়ত যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হয়, তার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের সম্পদশালী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। তাদের পুঁজিবাদী মনোভাবের কারণেই পৃথিবী আজ ধ্বংসের মুখে।

সবুজ সংহতির কার্যকরী সদস্য ও নারী বনজীবি শেফালী বিবি তার বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে আমরা যারা বনে যাই তারা নানা ধরনের সমস্যায় পড়ি। বিগত বছরের তুলনায় এবছর মধু কম হয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকাল না হলেও অতিবৃষ্টি হয়, যেকোন সময় ঝড় হয় তখন বন বিভাগ থেকে পাশ দেয়না, আমরা মাছ-কাঁকড়া ধরতে যেতে পারি না। আমাদের লোনা পানিতে নেমে নদীতে জাল টানতে হয়। মহিলাদের অনকে শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়। বেড়িঁবাধ গুলোর করুণ অবস্থা। আমাদের সরকার যদি এখনই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

নদীবন্ধনে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু-সংবেদনশীল দেশগুলোকে এখনই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সর্বনাশা সব প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে, এ দিকে দৃষ্টি রেখে যুব স্বেচ্ছাসেবক ও জলবায়ুকর্মীরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও বেশি, আরও উচ্চাকাঙ্খী জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেয়। তারা বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের বড় অংশীদার ধনী দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু তহবিলে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি যত দ্রুত সম্ভব পূরণের তাগাদা দেয়; তবে এই অর্থায়নের নামে ‘গ্লোবাল সাউথের’ দেশগুলোর ওপর যেন ঋণ চাপিয়ে দেওয়া না হয় তা নিয়েও সতর্ক করেছে তারা। এমন অর্থায়ন বিপদে থাকা দেশগুলোর ঋণের বোঝা আরও বাড়িয়ে তুলবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। কারা চাঁদা নেন, তাদের নাম প্রকাশের জন্য উপদেষ্টার প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রেসক্লাবের কর্ণফুলী হলে এ অনুষ্ঠান হয়।গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে অভিযোগ করেন। যদিও টাকার পরিমাণটি তিনি অনুমানের ভিত্তিতে বলেছেন বলে জানান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক-বর্তমান কোনো মেয়রের নাম উল্লেখ না করে তিনি ‘মেয়র কম, বন্দররক্ষক বেশি’ এমন মন্তব্যও করেন, যা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কিছু পত্রিকা লিখেছে, মেয়ররা নাকি চাঁদার ভাগ পেতেন। আমি তা দেখেই তাৎক্ষণিক উনাকে ফোন করি। তিনি বললেন- অতীতে যারা মেয়র ছিলেন তারা জড়িত ছিলেন। আমি বললাম- তাহলে নাম বলুন, কারা তারা?’অতীতে কারা চাঁদা নিতো, সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলে চট্টগ্রামে আসতে দেব না, এটা ফোনেই উনাকে বলেছি। আমি চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে সুনির্দিষ্ট নাম পেলে সেই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব। সেই সৎ সাহস আমার আছে।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি তো দূরের কথা, বন্দর নিয়ে আমি কখনো কাউকে ফোন বা তদবির করিনি। প্রতিদিন যদি দুই-আড়াই কোটি টাকা চাঁদা ওঠে, মাসে ৬০ কোটি, বছরে ৭২০ কোটি টাকা হয়। অথচ সিটি করপোরেশনকে ন্যায্য ২০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া হয় না। বন্দরের ভারী মালবাহী ট্রাক-ট্রেইলারের চাপ সড়কের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। আমার রাস্তাগুলো ৭-৮ টন বহনক্ষম। সেখানে ২০-৪০ টনের গাড়ি চলছে। প্রতি বছর ৪০০-৫০০ কোটি টাকা শুধু রাস্তায় খরচ করতে হয়। ন্যায্য ট্যাক্স না দিয়ে উলটো চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘সাংবাদিকতা হবে বস্তুনিষ্ঠ। যে সাংবাদিকতায় মানুষের চরিত্রহনন হয়, তার দায় সাংবাদিকদেরও নিতে হয়। প্রেসক্লাবের উচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে ও সদস্য গোলাম মওলা মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আমীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, এনসিপি নেত্রী সাগুফতা বুশরা মিশমা এবং প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি মনসুর, জ্যেষ্ঠ্য সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী, কাজী আবুল মনসুর, মুস্তফা নঈম, সালেহ নোমান, শেখর ত্রিপাঠি, জালাল উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, ফারুক আব্দুল্লাহ, ফারুক মুনির, মুজাহিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল পাশা, ফরিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, লতিফা আনসারি রুনা, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, ইবেন মীর, শরিফুল রুকন, মাহফুজুর রহমান, সরোজ আহমেদ, নুরুল আমিন মিন্টু, শাহাদাত হোসেন আবু সায়েম, জহুরুল আলম, আজিজা হক পায়েল, কিরণ শর্মা, আফসানা নুর নওশীন, অভীক ওসমান ও গিয়াস উদ্দিন বক্তব্য দেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি:
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাইফুল্লাহ চৌধুরী এ কমিটি ঘোষণা করেন।—

কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি মুস্তফা নঈম, সহ-সভাপতি ডেইজি মওদুদ, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ, অর্থ সম্পাদক আবুল হাসনাত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল খান, গ্রন্থাগার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক হাসান মুকুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক আবদুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কমিটিতে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সালেহ নোমান, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী এবং আরিচ আহমেদ শাহ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ