আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সাতক্ষীরা খলিশাখালির মৎস্যঘের জবর দখল ও লুঠপাটের হুমকিতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি তে সংবাদ সম্মেলন

ইব্রাহীম হোসেন দেবহাটা উপজেলা প্রতিনিধি:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানাধীন খলিশাখালিতে মৎস্যঘের জবর দখল ও লুঠপাটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জমির মালিক পক্ষ। বুধবার (২ অক্টোবর) পারুলিয়াস্থা বেসরকারি সংস্থা আইডিয়ালের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মালিক পক্ষের ডা. নজরুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, খলিশাখালি এলাকায় নামীয় ঘেরের ৪৩৯,২০ একর সম্পত্তিতে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জবর দখল ও লুঠপাট করে। এতে প্রকৃত জমির মালিক ও লীজ দ্যতারা ক্ষতিগ্রস্থ ও হয়রানী করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, পারুলিয়া মৌজার ৪৩৯.২০ একর সম্পত্তি সিএস ১৮১২ নং খতিয়ানে ১১১৭৫ দাগ সহ ২৭ টি দাগের উপর উল্লেখিত ৪৩৯,২০ একর জমির সিএস খতিয়ানের মালিক চন্ডিচরণ ঘোষ। সেখান থেকে ১৯৩৭ সালের ৪ পাট্টা/খাট্টা ও কবুলতি দলিল নং ৭৪৯ ও ৭৫০ এবং ১৯৩৭ সালের ১৭ এপ্রিল ৭৯৩ ও ৭৯৪ কোর্টের রায় অনুযায়ী নিলাম খরিদের মাধ্যমে পরবর্তীতে মালিক তেজেন্দ্র নাথ চৌধুরী গং (প্রজাবিলি সহ)। তৎপরবর্তীতে কলিকাতা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে ১৯৫৩ সালের ৪ মার্চ তারিখের ৬৯৪ নং বিনিময় দলিল মূলে মালিক হয়েন কাজী আব্দুল মালেক গং। উক্ত ৪৩৯.২০ একর সম্পত্তি ২৯৬২ থেকে ২৯৮০ মোট ১৯ টি খতিয়ানে কাজী আব্দুল মালেক গং, সহ প্রজাদের নামে এসএ রেকর্ড প্রকাশিত হয়। এসএ রেকর্ড পরবর্তী কাজী আব্দুল মালেকের মৃত্যুর পর ওয়ারেশ গণ এবং প্রজাদের নিকট থেকে ক্রমিক হস্থান্তর সূত্রে বর্তমান মালিক গন দলিল মূলে ক্রয় করে মিউটিশন করেন এবং খারিজ খতিয়ানের দ্বারা মালিক হন এবং নিয়মিত সরকারের করাদি পরিশোধ করে ৬০ বছর উর্দ্ধেকাল ভোগদখলে আছি। পরবর্তীতে সেটেলমেন্ট জরিপে মাঠ পর্চা এবং প্রিন্ট পর্চার মাধ্যমে গেজেট প্রকাশিত হয় এবং সে অনুযায়ী সরকারের হালনাগাদ অর্থাৎ বাং-১৪৩০/১৪৩১ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত করাদি পরিশোধ করা হয় এবং ভোগ দখলে আছে। বর্তমানে উক্ত ৪৩৯.২০ একর জমির মালিক প্রায় ২০০ জন। উক্ত সম্পতি কোন সময় শত্রু সম্পতি বা ভেস্টেট সম্পত্তি হিসাবে গন্য হয়নি। তালিকায় উক্ত সম্পতি “ক” বা “খ” তপশীলভূক্ত হয়নি। এসএ রেকর্ড পরবর্তী মোট সম্পত্তির মধ্যে ৮-১০ একর সম্পত্তি এসএ রেকর্ড মালিকগণ সিলিং বর্হিভূত সম্পত্তি হিসেবে সরকারের নিকট সারেন্ডার করেন এবং পিও ৯৮ এর আওতায় সরকার খাস করে। দারিদ্র পরিবারের মধ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রদান করেন। বিএস রেকর্ডে তাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে উক্ত ৪৩৯.২০ একর জমির মধ্যে মাত্র ১২.৫৫ একর সম্পত্তি জমির মালিকদের পানি নিস্কাশনের জন্য খাল হিসেবে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে, তবে তা কালের প্রবাহে বিলীন হয়ে জমিতে পরিনত হয়েছে। কিছু অর্থসম্পদ লোভী ভূমি দস্যু, কথিত ক’জন সংবাদকর্মী ও আইনজীবি লোভের বর্শবর্তী হয়ে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উস্কানী দিয়ে গত ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতের আধারে মকরম শেখ, আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড়, সাইফুল ইসলাম গাজী, কামরুল ইসলাম, রিপন হোসেন, গোপাল ঢালী, শরিফুল ইসলাম, বাবলু গাজী, পুটু, রবিউল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম কালু, আব্দুল গফুর, এসএম মহিউদ্দিন (আশাশুনি) সহ আরও ৫০/৬০ জন লোক আমাদের মৎস্য চাষকৃত জমিতে জবরদখল নেয় এবং কোটি টাকার উর্দ্ধে জমির মালিক এবং লীজ গ্রহিতারদের ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং নিস্ব করে দেয়। বর্তমান ওই জমি দখলে নিতে এবং চাষকৃত মাছ লুট করার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমরা জমির মালিক এবং লীজ গ্রহিতাগণ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাব এবং সেনাবাহিনীর কাছে উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানাচ্ছি। না হলে খলিশাখালি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভবনা বিরাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলন কালে জমির মালিক কাজী গোলাম ওয়ারেশ, আনসার আলী, আব্দুল মাজেদ, আব্দুল মজিদ, রুহুল আমিন, এবাদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, রেজাউল ইসলাম, আব্দুল গফুর, আনারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, আব্দুল গফ্ফার সহ লিজ গ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ