আজঃ শনিবার ২২ মার্চ, ২০২৫

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জিএম’র সঙ্গে সাক্ষাতকালে এরশাদ উল্লাহ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাজমুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। সাক্ষাতে তিনি কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরুর দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি সংস্কার করা পুরনো কালুরঘাট সেতু চালু করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যানবাহন চলাচল শুরুর অনুমতি দেয়ার তাগিদ দেন। চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতরে মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে সাক্ষাত করেন এরশাদ উল্লাহ। পরে তিনি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর চৌধুরীর সাথেও সাক্ষাত করেন।

সাক্ষাতে উভয় কর্মকর্তার সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীর জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে কল্যাণমুখী ও যাত্রীবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে কথা বলেন এরশাদ উল্লাহ।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি কালুরঘাট সেতু। এ সেতুর জন্য দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষকে বিশেষ করে বোয়ালখালীর জনসাধারণকে গত ৩০-৩৫ বছর ধরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে এবং বোয়ালখালীর মানুষ বারবার দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে একটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার সেটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি। তার পরিবর্তে গালভরা বড় বড় উন্নয়নের বুলি দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প বানিয়ে লুটপাট করেছে।

এরশাদ উল্লাহ আরও বলেন, নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণের যে প্রকল্প রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে, সেটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। আমরা জানতে পেরেছি, নতুন প্রকল্পে ব্যয় আগের চেয়ে আট-দশগুণেরও বেশি বেড়েছে। ব্যয় বাড়িয়ে মাফিয়া সরকার লুটপাটের কোনো ফন্দি এঁটেছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে একনেকে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, নতুন সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হোক, লাখো জনসাধারণকে তাদের নিত্যকার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়া হোক। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই কালক্ষেপণ করা উচিৎ হবে না।

এছাড়া পুরনো যে সেতু আছে, সেটি সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে সেটি চালু করে যানবাহন চলাচলে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না, সেটি আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। মাসের পর মাস ধরে ফেরি দিয়ে নদী পার হতে গিয়ে মানুষের যে দুর্ভোগ, সেটি এভাবে চলতে দেয়া সমীচীন নয়। আমাদের দাবি হচ্ছে, সংস্কার করা সেতুটি দ্রুত চালু করা হোক।

সাক্ষাতে এরশাদ উল্লাহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেন গোমদন্ডী স্টেশনে যাত্রী উঠা-নামার জন্য বিরতির ব্যবস্থা করা এবং গোমদন্ডী স্টেশনকে নতুনভাবে সংস্কার করার জন্য অনুরোধ করেন।

রেলওয়ের দুই কর্মকর্তা বিএনপি নেতার এসব দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আজিজুল হক চেয়ারম্যান, শওকত আলম, বিএনপি নেতা জাফর আহম্মদ, আবুল হাশেম, জাকির হোসেন, নুরুল হক নুরু, মো. বাদশাহ, সরোয়োর আলমগীর, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম শাহীন, আকতার হোসেন, এম এন করিম, রফিকুল ইসলাম, মহিউদ্দিন জনি, মো. লোকমান, এস এম সোহেল মিয়াজি, রোকন উদ্দিন, মো. মিজান প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বোয়ালখালীতে লবন কারখানায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর লবন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারি পুল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা এবং বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার জেরিন তাসনিম ও পরীক্ষক প্রিময় মজুমদার জয়ের, উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নানা অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লবণ প্যাকেট করে একাধিক নামে লবণ বাজারজাত করছে কারখানাগুলো। অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই আইন এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আহমেদ সল্ট রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রিজের

সুপারভাইজার দীপক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা এবং করিম সল্ট ক্রসিং এন্ড রিফাইনারির সাইগর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসহ ল্যাব স্থাপনসহ মান সম্পন্ন লবণ বাজারজাত করার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ