আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

বিএসসির ৫টি জাহাজে প্রচুর লাভ হচ্ছে,একটিও বাংলাদেশে নেই : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বিএসসির ৫টি জাহাজে প্রচুর লাভ হচ্ছে। একটিও বাংলাদেশে নেই। জ্যামাইকাসহ বিভিন্ন দেশে এসব জাহাজ আছে। বিএসসিতে জাহাজের বহর আরও বড় হবে ইনশাআল্লাহ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিছু জাহাজ দরকার। এ জাহাজ দিয়ে টাকা আয় করতে হবে। আমরা যতদিন আছি, একটা কাজ করতে পারি সেটা হচ্ছে দুর্নীতি কমানো। রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবং পরিচালকসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরপর অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটার কারণে জনমনে সন্দেহ জেগেছে এতে কোন নাশকতার লক্ষণ আছে কিনা সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, গত শুক্রবার সাড়ে ১২টার সময় বাংলার সৌরভে ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে এমডি জানিয়েছেন। প্রতিটি মুহূর্তে কী হচ্ছে জানতে পারছিলাম। বিএসসি থেকে তদন্ত করতে বলেছি। জাহাজের ইন্স্যুরেন্সের ব্যাপার আছে। তারপর একজন মারা গেছেন। তিনি আগুনে পুড়ে মারা যাননি। ট্রমার কারণে মারা গেছেন, ডাক্তাররা ভালো বলতে পারবেন। দুইটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে চার জন মারা গেছেন। যেকোনো প্রাণহানি দুঃখের ব্যাপার। পর পর দুইটি ঘটনার পর সন্দেহ যাতে দূর হয় বা প্রকৃত ঘটনা যাতে বের করে আনার জন্য অ্যাডিশনাল সেক্রেটারিকে প্রধান করে একটি পৃথক তদন্ত কমিটি করা হবে। ৯-১০ সদস্যের বেশ বড় তদন্ত কমিটি। যাতে বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। তারা এখানে আসবেন, তদন্ত শুরু হবে, জাহাজগুলো দেখবেন। সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা। কী হয়েছে সে ব্যাপারে অনুমানভিত্তিক কোনো কথা বলতে চাই না। আপনারা অনুসন্ধান পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সিকিউরিটি এক্সপার্ট অয়েল ট্যাংকারে যারা কাজ করেছেন এবং বিএসসি’র প্রতিনিধিসহ ১০ জনের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষে বলা যাবে কেন এ ঘটনা ঘটেছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের পর লাইটারিংয়ের জন্য বিএসসির এমডি তাৎক্ষণিক জাহাজ ভাড়া করেছেন। একটি কথা বলে রাখি, ঘটনা ঘটার আগেই এমডি বলেছিলেন, বাংলার সৌরভের শেষ ট্রিপ বা সেবা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঘটনা ঘটে গেছে। আমার ভয় ছিল, যদি এ তেল ব্লাস্ট হলে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেত। আল্লাহর কাছে শোকর করছি। নেভি, কোস্টগার্ড, পোর্ট অথরিটি দ্রুত সময়ে গিয়ে এ রকম আগুন নিভিয়েছে। নেভাল চিফ ভোর ৫টায় রিং করে জানিয়েছেন সম্পূর্ণ সহযোগিতা দিয়েছেন। নেভাল কমান্ডার, বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সারাক্ষণ কথা হয়েছে। সাড়ে চারটায় আমাকে বলেছে সবাইকে রেসকিউ করা হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ জানি কারা সহযোগিতা করেছে। প্রফেশনালি অ্যাকশন হয়েছে। এত বড় দুর্ঘটনা, অনেক কিছু হতে পারতো। বিএসসির লোকজন বলেছে, এক হয়ে কাজ করবে। এ সংস্থার উন্নতি করবে। উনাদের প্ল্যান ও আমার ইচ্ছে, বিদেশি যারা আসবে তাদের বলবো জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করো। কিছু দিন আগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বলেছি, পাট ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করতে।
তিনি বলেন, জাহাজে আগুন লেগেছে তাই কিছু সেফটির বিষয় দেখতে হবে। এরপর বাংলার সৌরভ থেকে অপরিশোধিত তেল স্থানান্তর করা হবে। বিপিসিকেও বলেছি, টার্মিনালের ক্যাপাসিটি বাড়ান।
চীন থেকে চারটি নতুন জাহাজ সংগ্রহ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি টিম কাজ করছে দাম নির্ধারণের জন্য। আমরা দাম কমানোর চেষ্টা করছি। কে টাকা নিয়ে নিয়ে গেল তা বের করা মুশকিল। কাউকে টাকা দিয়ে থাকলে কীভাবে বের করবো! ডলার ছিল ৯০ টাকা। তদন্ত হবে। প্রকল্প বন্ধ থাকলে জাহাজ তো পাবো না। এ মন্ত্রণালয়ে অনেক প্রকল্প হচ্ছে, এসব কেন হচ্ছে? প্রকল্প শেষ পর্যায়ে। এখন বন্ধ করে দিলে যে টাকা অপচয় হয়েছে তা আপনার, আমার। গলায় কাঁটা লেগেছে, গিলতে হবে। আমি তো বলেছি, চুরির মহাসমুদ্র না, প্রশান্ত মহাসাগর। আমাদের কাছে যে ডকুমেন্ট আছে তা দুদকের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দুদক তদন্ত করবে। একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি হাসতে হাসতে বললেন, উনার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। আপনি কখনো স্বপ্ন দেখেছেন ৪০০ কোটি টাকা। আমি তো দেখিনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

টেকসই উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতের দাবি

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর ক্ষমতায়নঃ টেকসই উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত কর” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, জ্বালানি অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহন বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। আইএসডিই বাংলাদেশ, ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক) ও বিডাব্লিউজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট), সিএসডিএফ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল

সারাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করে নারীদের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণকারীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা তুলে ধরেন। তারা জোর দিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি খাতে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং সকল স্তরে জ্বালানির ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসাারের প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে গুরুত্বআরোপ করেন।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৪৬ শতাংশই ব্যবহার হয় গৃহাস্থলির কাজে অর্থাৎ নারীরাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন কিন্তু আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধির কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন।
নারী নেত্রী ও চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, নারীরা জ্বালানি খাতে পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন, উৎপাদন থেকে বিতরণ সব ক্ষেত্রেই বঞ্চিত। সারাদেশে নারীদের

মালিকানায় মাত্র ২-৪ শতাংশ জমি থাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের এড়িয়ে যান এবং পরামর্শ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র সুবিধাভোগী হিসেবে তাদেরদের অন্তর্ভুক্ত করেন এবং ‘সংবেদনশীল বিষয়’’ হিসেবে দেখেন, কিন্তু সক্রিয় অংশীদার বা নীতিনির্ধারক হিসেবে নারীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
চিটাগাং সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফোরামের প্রকল্প সমন্বয়কারী শাম্পা কে নাহার বলেন, জ্বীবাশ্ম জ্বালানী ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কারণে নারীরা নানাবিধ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, কারণ পুরুষদের মতো তারা সহজে স্থান বদল করতে পারেন না। স্থানীয় এলাকায় বহিরাগতদের ভিড়ের কারণে নারীদের চলাচল, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন এবং মৌলিক প্রয়োজন পূরণে অসুবিধার সম্মুখীন হন। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে এসব সমস্যা সমাধানে খুব বেশি তৎপর হতে দেখা যায় না। সাধারণত পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (ঊওঅ) প্রক্রিয়ার বাধ্যতামূলক শর্ত পূরণের জন্যই নারীদের নামমাত্র পরামর্শ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সভায় চট্টগ্রাম ফোরাম অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্টের সদস্যা ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদ্যৗস বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবসময় নারীদের বিশেষ প্রয়োজন, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেন।জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো, মাত্রাতিরিক্ত পারদ, সীসা, ক্যাডমিয়াম, সালফার ও ক্রোমিয়াম নির্গত করে। এই বিষাক্ত

ধাতুগুলো নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। নারীরা এই দূষণের সরাসরি ও নিরীহ শিকার হলেও তাদের কোনো ক্ষতিপূরণের অধিকার নেই, কারণ তাদের নামে জমির মালিকানা থাকে না। প্রচারাভিযান কর্মীরা নারীদের জন্য সহজে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান।

আলোচনা ও প্রচারাভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা অংশনেন সিাংবাদিক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি সায়মা হক, উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক লায়লা ইয়াছমিন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফ্রুটস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন এর কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সেলিম জাহ্ঙ্গাীর, ক্যাব চকবাজার থানা কমিটির সভাপতি আবদুল আলীম, অধিকার চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ওসমান জাহাঙ্গীর, নারী উদ্যোক্তা ফারজানা মুক্তাদির, ছাত্র প্রতিনিধি পার্থ সরকার, হারিসা খানম সুখী প্রমুখ।

শোক সংবাদ

বীর চট্টলার কৃতি সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা,, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সফল মন্ত্রী জননেতা জনাব আবদুল্লাহ আল নোমান ভাই আজ ভোর ৬টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ