আজঃ রবিবার ১৩ জুলাই, ২০২৫

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতি

এম মনির চৌধুরী রানা

রাজধানী শহরের সিটি সার্ভিসের পরিসেবা উন্নত করে বাস রুট রেশনালাইজেশন পদ্ধতিতে প্রাধিকার লেইনের ব্যবস্থা করা, নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে রিকশা, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন তুলে দেওয়া ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ রোববার (৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ‘গণপরিবহন সংকট ঢাকার ভয়াবহ যানজটের মূল উৎস-মুক্তি চাই নগরবাসী’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মোজাম্মেল হক চৌধুরী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, পরিবহন সংশ্লিষ্টরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় ভয়াবহ যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। নগরীর এক প্রান্ত থেকে যে কোনো গন্তব্যে যেতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। ঢাকার যানজটে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে কর্মক্ষম মানুষের ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা। বুয়েটের তথ্য বলছে, প্রতিবছর এই যানজটে আর্থিক ক্ষতি পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সংগঠনের মহাসচিব আরও বলেন, রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা বহুযুগ আগেই ভেঙে পড়েছে। নগরীতে চলাচলকারী বাস-মিনিবাস রংচটা, বিবর্ণ, লক্করঝক্কর, পেছনের লাইট-ইন্ডিকেটর আর সামনের লুকিং গ্লাস নেই। আসনে দুই পা মেলে বসা যায় না। বাসে উঠা-নামার পাদানি, ধরার হেন্ডেল ভাঙা থাকে। দীর্ঘসময় ধরে দাঁড়িয়ে গাদাগাদি করে যেতে হয়। গরমের দিনে ঘামে ভিজে এবং বর্ষাকালে বাসের ভেতর বৃষ্টিতে ভিজে যবুতবু অবস্থা হয়। কোনো বাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার বালাই নেই। ময়লা-আর্বজনা, ছারপোকা, তেলাপোকায় ভরপুর, মুড়ির টিনের মতো বাসে উঠানামার ভয়াবহ যন্ত্রণা সহ্য করেও সঠিক সময়ে বাস পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, এমন বাস্তবতায় সামর্থ্যবানরা ধার-দেনা করে ব্যক্তিগত গাড়ি কিনছেন। অন্যরা মোটরসাইকেলে রাইডশেয়ারিং, অটোরিকশা, ইজিবাইক পাঠাও-ওবারের মতো ছোট ছোট যানবাহনে স্বাচ্ছদ্যে যাতায়াতের দিকে ঝুঁকেছেন। ফলে নগরীতে বিশৃঙ্খল বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৪ লাখ প্যাডেলচালিত রিকশা, ৬ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ১ লাখ ৩৪ হাজার রাইডশেয়ারিং এর ছোট ছোট যানবাহন, ৩০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা অবাধে যাতায়াতের কারণে নগরীর যানজট ও জনজট চরমভাবে বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে, এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক ব্যবস্থা এখনো সেকেলে। আর সরকার পরিবর্তনে পর নগরীর ৪ হাজার ট্রাফিক পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয়। যানজট কমাতে জরুরি ভিত্তিতে অত্যাধুনিক প্রকৌশলগত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা দরকার। মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিআরটিএর তথ্যমতে, রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ছোট ছোট ৮০০ গাড়ি নামছে। জাইকার সমীক্ষা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি ট্রিপ যাত্রী যাতায়াত হয় এর ৬০ শতাংশ গণপরিবহন ব্যবহার করেন। এসব যাত্রীর ৬৭ শতাংশ কেবল বাস ব্যবহার করেন। অথচ ঢাকা সিটি বাসের মান-গুন যাত্রীসেবার গত ২০ বছর ধরে কিছুই ঠিক নেই। ঢাকার যানজট কমাতে হলে সর্বপ্রথম বাস-মিনিবাস ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে বাসের জন্য প্রাধিকার লেইনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছোট ছোট যানবাহনের নিবন্ধন ও নগরীর প্রধান সড়কে এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি গত ১৫ বছর যাবত এসব বিষয় নানাভাবে সামনে নিয়ে এসেছে। এসব প্রস্তাবনা অনুসরণ করে নামমাত্র খরচে রাজধানীর গণপরিবহন সংকট সমাধান, যানজট নিরসন করা সম্ভব ছিল। অথচ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এসব কর্ণপাত না করে বড় বড় প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, উড়াল সেতু, উড়াল সড়ক, মেট্রোরেল (এমআরটি), বিআরটি, নানা প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু তাতে ঢাকার যানজট সমস্যার সমাধান হয়নি বরং যানবাহনের গড় গতিবেগ ২০০৭ সালে ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার থেকে কমে ২০২২ সালে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বিদায়ী জুন মাসে ৬৭১ সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত আহত ১৯০২।

বিদায়ী জুন মাসে দেশের গণমাধ্যমে ৬৭১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭১১ জন নিহত, ১৯০২ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই মাসে রেলপথে ৫৪ টি দুর্ঘটনায় ৫৬ জন নিহত, ১৪ জন আহতের তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তথ্যমতে, নৌ পথে ১৮ টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৭৪৩ টি দুর্ঘটনায় ৭৮০ জন নিহত এবং ১৯১৬ জন আহত হয়েছে।

এই সময়ে ২২৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৪৪ জন নিহত, ২১২ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩.৩৮ শতাংশ, নিহতের ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহতের ১১.১৪ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৬০ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭২ জন নিহত ও ৫৮৮ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে ২৫ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বুহস্পতিবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১১ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৯ জন চালক, ১১০ জন পথচারী, ৪৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬০ জন শিক্ষার্থী, ০৮ জন শিক্ষক, ১০৫ জন নারী, ৬০ জন শিশু, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন প্রকোশলী, এবং ১২ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৫ জন পুলিশ সদস্য, ০৫ জন সেনাবাহিনী সদস্য, ০২ জন চিকিৎসক , ০২ জন প্রকোশলী, ১১৫ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৪ জন পথচারী, ৮৪ জন নারী, ৪৫ জন শিশু, ৫৬ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন পরিবহন শ্রমিক, ০৮ জন শিক্ষক ও ১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯৭৪ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৬.৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৪৮ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬.৯৪ শতাংশ বাস, ১২.৭৩ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৬.৭৭ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৭.৭০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.৯৮ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪১.২৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৯.৬৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১.৩১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৬.৭০ শতাংশ বিবিধ কারনে, চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.২৯ শতাংশ, এবং ০.৭৪ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বন্দর নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করা দরকার। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। জনগণকে সঠিক তথ্য জানিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে দেশের প্রশ্নে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেবার সম্ভাবনা কমে আসবে। জনগণের অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জাতীয় সংহতি আরও শক্তিশালী হবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি সমন্বিত ও কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা যেতে পারে, যা বন্দরের উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগে সকল অংশীজন যেমন- বন্দর কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনগণ সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে আলোচনা করা উচিত। এতে করে, প্রস্তাবিত পদক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব এবং সুবিধা-অসুবিধাগুলো সবার সামনে উন্মোচিত হবে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় রাজনীতিক জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, বন্দরের সমস্ত বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনগণের টাকায় হয়েছে। ফলে জনগণের জানার অধিকার আছে কেন, কার স্বার্থে, কি স্বার্থে বন্দরকে বিদেশী কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় দেয়া হবে। বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে এটা সত্য। কিন্তু জনগণের মতামত ছাড়া চাপিয়ে দেয়া পূর্বের সংস্কৃতিকে লালন করে কারও মতামতকে তোয়াক্কা না করে বিদেশী অপারেটর নিয়োগ কোনভাবেই জনগণ মেনে নেবে না।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো চীফ গোলাম মওলা মুরাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, দৈনিক আজাদীর সাবেক বার্তা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, নিউজগার্ডেনের সম্পাদক কামরুল হুদা, চট্টগ্রাম টেলিভিশন রির্পোটার্স নেটওয়ার্কের আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিচ আহমেদ শাহ, বিজনেস বাংলাদেশের ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, সি-প্লাস টিভির সরোজ আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি সহ প্রমুখ।

নতুন বাংলাদেশে মিডিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে জোনায়েদ সাকি বলেন, সাংবাদিকতা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সাংবাদিকদের মুখ্য ও পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে চলমান ঘটনা ও বাস্তবতাকে তুলে ধরা। সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে নেশা সম্পৃক্ত না হলে সে সংবাদ গভীরতা পায় না, সত্যনিষ্ঠ সংবাদের গতি হারিয়ে সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়। ৫ আগষ্ট পরবর্তীতে মিডিয়ার সংস্কার কার্যক্রমে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর মিডিয়ার উপর একক নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে আনতে প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া সাংবাদিকদের পেশাগত উৎকর্ষ, সন্মানজনক বেতনভাতা প্রদান সহ মিডিয়া গ্রুপে একাধিক প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্ব আনা গেলে মিডিয়া স্বাধীন ভাবে কাজ করে দেশ ও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানেই একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো তৈরির উপাদান রয়েছে। ফলে এটিকে পরিবর্তন, বিচার বিভাগকে স্বাধীন না মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে গণতন্ত্রের মোড়কে একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে উঠে। জুলাই অভ্যাুত্থান পরবর্তীতে এসব মৌলিক সংস্কার না করে নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকাঠামোর পরিবর্তন হলে আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এজন্য একজন ব্যক্তির জীবৎদশায় প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় নির্ধারণ সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে দেশের প্রায় সকল দল ঐক্যমত পোষণ করেছে। এটা আগামীর বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ