আজঃ শনিবার ২২ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে বাড়িতে বাড়িতে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা, নিষ্ক্রিয় চসিক

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় নগরের বাকলিয়া এলাকাকে ‘লাল বা অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। সেই বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় গত ৬ মাসেও মশার ওষুধ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। যদিও নগরের একই এলাকায় প্রতি তিনদিনে কমপক্ষে একবার হলেও মশার ওষুধ ছিটানোর কথা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের।
এদিকে নগরীর ৩৭ শতাংশ বাড়িতে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভা। শুধু তাই নয়, এসব বাসাবাড়ির আশপাশে এবং বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত থাকা ৩৬ শতাংশ কন্টেইনারে মিলেছে লার্ভার প্রজননকেন্দ্র। এসবের মধ্যে আট ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব বেশি। এর মধ্যে ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বহদ্দারহাট এলাকায় সর্বোচ্চ। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। তবুও চসিকের ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম বাড়েনি বলে অভিযোগ তাদের। মশক নিধনে চসিক উদাসীন বলে মনে করছেন নগরবাসী। গত ছয় মাসেও মশার ওষুধ দেয়া হয়নি অভিযোগ করে বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক সমাজকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ছয় মাস আগে আবাসিকের কিছু এলাকায় মশার ওষুধ দিয়েছে। কিন্তু কল্পলোক আবাসিকে ছয় মাসে একবারের জন্যেও ওষুধ দিতে আসেনি কেউ। ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড এলাকার ইসহাক সওদাগর পুল সংলগ্ন সততা টাওয়ারের নিরাপত্তা কর্মী মো. আবু বকর জানান, প্রায় ৬ মাস আগে চসিক থেকে একবার এসে স্প্রে ও ফগিং করেছিল। তাদের আর দেখা যায়নি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি বলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। যেখানে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে, আমরা সেসব এলাকা বিশ্লেষণ করে ওষুধ দিচ্ছি। যে সাত এলাকাকে ‘লাল বা অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেখানেও ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছি। এছাড়া, তিনদিনের মধ্যে একই এলাকায় কমপক্ষে একবার হলেও মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। মশক নিধন কর্মকর্তা আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৯১ জনের বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ‘লাল বা অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকায় নিয়মিত মশার ওষুধ দিচ্ছে। এছাড়া সব এলাকায় নিয়মিত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকা অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে ভালো দাবি করে এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রতিদিন অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকার ডেঙ্গুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। সে তুলনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অনেক ভালো আছে। এর কারণ হচ্ছে, এ বছর জানুয়ারি থেকে আমরা প্রয়োজনমতো ওষুধ ছিটিয়েছি। এছাড়াও, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতা কার্যক্রম, মাইকিং এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে নগরীর ৩৭ শতাংশ বাড়িতে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভা। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে এডিস মশা নিয়ে চালানো জরিপের ফলাফলসহ মশক নিধনে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। তাতে আটটি সুপারিশও রয়েছে।
জানা গেছে, জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওছের নেতৃত্বে গত মাসের ১৭ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জরিপ কাজ চালানো হয়। এতে অংশ নেন কার্যালয়টির কীটতত্ত্বীয় কূশলী সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন ও মো. রিয়াজ উদ্দীন। এসময় তারা উঁচু ভবন, নির্মাণাধীন ভবন, সেমি পাকা, খালি প্লট ও বস্তি এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার ২০০ বাসা-বাড়ি থেকে এডিস মশার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারমধ্যে ৭৪টিতে এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যা ৩৭ শতাংশ। এছাড়া ১৯৪ কন্টেইনারে থেকে সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে ৬৯ কন্টেইনারে পজিটিভ পাওয়া যায়। যা ৩৬ শতাংশ। এছাড়া প্লাস্টিক ড্রাম ও বাস্কেটে ৪০, টায়ারে ৩৭, মাটির পাত্রে ১২, প্লাস্টিক জার ও শিটে ৬, পানির ট্যাংক, ফুলের টব ও এলুমিনিয়ামে ৩ এবং ভবনের লিফটের নিচে জমানো পানিতে ২ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। আর কতগুলো বাড়িতে এডিস মশার উপস্থিতি রয়েছে, তা পরিমাপের সূচক হলো হাউস ইনডেক্স।
জরিপে দেখা যায়, ৮ ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। ওয়ার্ডগুলো হলো-৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বহদ্দারহাটে ৮০ শতাংশ, ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের শেরশাহ-বায়েজিদে ৬০ শতাংশ, ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের পাহাড়তলীতে ৪৫ শতাংশ, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে ৪০ শতাংশ, ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ও কোতোয়ালিতে ৩০ শতাংশ, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের উত্তর ও দক্ষিণ খুলশীতে ২৫ শতাংশ, ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের হালিশহর এলাকায় ২০ শতাংশ এবং ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে ২০ শতাংশ।
জেলা কীটতত্ত্ববীদ এনতেজার ফেরদাওছ বলেন, জরিপে বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করি। এ কাজে আমাদের কর্মীও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। প্লাস্টিকের ড্রাম, পরিত্যক্ত টায়ারে জমা থাকা পানিতে লার্ভার অস্তিত্ব বেশি।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এডিস মশা নিয়ে চালানো জরিপের ফলাফল এবং কিছু সুপারিশ সিটি কর্পোরেশনকে জানানো হয়েছে। ফলাফল অনুসরণ করে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস এবং ওষুধ ছিটানো সহজ হবে। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতেও কাজে লাগবে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মশার ঘনত্ব বাড়বে। তাতে পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নগরীর পৃথক দুইটি স্থানে ইফতার বিতরণকালে মুহাম্মদ শাহেদ

ফ্যাসিস্টের দোসরেরা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ আজ ২১ মার্চ (শুক্রবার) খুলশী থানা যুবদল ও পাঁচলাইশ থানা যুবদলের অন্তর্ভূক্ত ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন ইউনিট যুবদলের উদ্যোগে মাসব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ পৃথক পৃথক স্থানে শ্রমজীবি ও পথচারী মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।

এসময় মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরেরা নতুন নতুন দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। খুনি হাসিনা ভারতে বসে দিবাস্বপ্নে বিভোর। এদেশের মানুষ আর আওয়ামীলীগ দেখতে চাই না। আওয়ামীলীগ মানে খুনি, লুঠেরা ও দুর্নীতিবাজ। তাদের হাতে এদেশের মানচিত্র নিরাপদ নয়। হাসিনার দালালেরা নতুন নতুন ফন্দি ফিকির করছে। এদেশের আপমর জনসাধারণ তাদের ফাদে পা দেবে না। তিনি আরো বলেন, এদেশের সবচেয়ে নির্যাতিত পরিবার হলো শহীদ জিয়া পরিবার। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর ঘরে ঘরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের চিহ্ন এখনো বিরাজমান। খুনীর সাথে বন্ধুত্ব হয় না। যারা এই বন্ধুত্বের স্বপ্ন দেখছেন তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ।

ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক রশিদ, যুবদলের সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ আলী সাকি, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোঃ নুর হোসেন উজ্জ্বল, সাবেক প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, মহিউদ্দিন মুকুল, নুরুল ইসলাম মোল্লা, জহিরুল ইসলাম জহির, হামিদুল হক চৌধুরী, গুলজার হোসেন মিন্টু, শাহবাব ইয়াজদানী, কলিম উল্লাহ, শহিদুল ইসলাম কুট্টি, রিদোয়ান হোসেন জনি, ৭ নং য়ার্ড যুবদলের সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, হাসান চৌধুরী তোফা, সোলেমান হোসেন মনা, মোঃ জাভেদ হোসেন, জসিম উদ্দিন তালুকদার, মোঃ সুমন, মোঃ আলমগীর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোঃ রুবেল, মোঃ সুমন, রুবেল, ইকবাল, শফিউল সামু, খুলশী থানা যুবদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন, সাজু. লিটন, সাহেদ, নুরল ইসলাম রাজন, আসলাম, সোহেল, পারভেজ, সিপলো, শওকত, আজমির, শুকুর, আজাদ, ইমাম হোসেন, আমির হোসেন, আবু বক্কর, ফারুক,

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ