আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

রূপগঞ্জে বিশ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ

মাহাবুবুর রহমান রনি, রূপগঞ্জ ( নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

:
ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকার রবিন টেক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের শ্রমিকরা বিশ দফা দাবিতে গতকাল১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শ্রমিকরা বলছেন, বেতন, বোনাস,টিফিন খরচ বৃদ্ধি করতে হবে। নারী শ্রমিকদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। রাত দশটার পর নারী শ্রমিকদের কাজ করানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের অতিরিক্ত বেতন দিতে হবে।অসুস্থ্যদের সময় মতো ছুটি দিতে হবে । নারী নির্যাতন,দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউসুফ আলীকে অপসারণ করতে হবে । অন্যথায় তারা কাজে যোগ দিবে না।
প্যাকিং বিভাগের শ্রমিক ফাতেমা খাতুন ও রিনা বেগম বলেন, একই বিভাগের শ্রমিক হারুনের মা নামে পরিচিত কোহিনূর বেগম অসুস্থতার ছুটি চেয়ে গত তিনদিন ধরে ছুটি পাননি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে স্থানীয় ইউএস-বাংলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বেলা এগারোটার দিকে কোহিনূরের লাশ গার্মেন্টসে নিয়ে আসলে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । তখন শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কারখানার সামনে ঢাকা – সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে । খবর পেয়ে দুপুর বারোটায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শ্রমিকরা নিজ নিজ বাসায় চলে গেলে পরিবেশ শান্ত হয়। তবে দাবি পুরণ না হলে আগামীকাল ১৯ অক্টোবর শনিবার আবারো শ্রমিকরা আন্দোলনে নামবেন বলে তারা জানিয়েছে ।
রবিন টেক্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউসুফ আলী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শ্রমিকদের অন্যায় দাবি পুরণ করতে না পারলেই যত অভিযোগ ।
রবিন টেক্সের নির্বাহী পরিচালক বেলাল পাটোয়ারী বলেন, শ্রমিকদের দাবি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে । যৌক্তিক দাবি অবশ্যই পুরণ করা হবে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি শান্ত।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ