
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড, পঙ্খীরাজ খালের উপর নির্মিত সেতুটি বহুদিন ধরেই ধসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে যেন দেখার কেউ নেই। ব্যস্ততম এই রাস্তা দিয়ে চলছে ভারি যানবাহন। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এমনটাই শংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ উপজেলায় আগত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ । এ দূরাবস্থা সত্বেও সেতুর পূর্ব পাশের অংশের মাঝের অংশে ধস পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে ছোট বাহন ও কোম্পানীর ভারি লড়ি,ট্রাক ও পিকআপ চলাচল করছে। ধসে যাওয়ার পর সড়ক ও জনপথ বিভাগ বড় দুইটি লোহার পাত ধসে পড়া স্থানে অস্থায়ীভাবে দিলেও গত বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার ছিচকে চোর তিনটি পাত থেকে ২টি পাত চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়ার পর থেকে সেতুটি আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে বেশ কয়েকটি থানার হাজার হাজার লোকজন। সোনারগাঁ উপজেলার সন্নিকটে হওয়ার কারণে এর গুরুত্বও অনেক। এ সেতু দিয়ে সোনারগাঁ থানা, মেঘনা থানা ও আড়াই হাজার থানার লোকজন চলাচল করে। এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরে যেতে সেতুটি ব্যবহার হয়। সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স , রেজিষ্ট্রি অফিস,সোনালী ব্যাংক , কর্মসংস্থান ব্যাংক,কৃষি ব্যাংক,মুকিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, থানা, ভূমি অফিস,বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দফতরে যেতে হলে ব্যবহার করতে হবে এই সেতুটি। বিশেষ করে ঢাকাগামী জনসাধারনকেও এ পথেই যেতে হয়।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোম্পানী থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ট্রাফিক সেতুর মাঝখানে দাড়িয়ে সর্তক করে দিচ্ছে যানবাহনকে । তার নির্দেশনার দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাচ্ছে অনেক যানবাহন।

উপজেলা গেট সংলগ্ন সামিয়া লাইব্ররীর স্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও অনেক দিন ধরেই এই সেতুটির বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। তাই অতি দ্রুত এই সেতুটি মেরামত করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী গনমাধ্যমকে বলেন, এ সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় রয়েছে। এ সড়কে আমাদের দফতরের কিছু করার নেই। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহান ফোরদৌস বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। সেতুটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
