
কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ মন্দিরের পাহাড়ে পরিত্যক্ত ঘরে টর্চার সেল স্থাপন করে আগত পর্যটক ও স্থানীয়দের ছিনতাই, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের ০৪ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বৈদ্যঘোনা এসএ ক্যাং জাদিরাম পাহাড়ের উপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যগণ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ দিক-বিদিক দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের হেফাজত হতে ০১ (এক)টি কিরিচ, ০৩টি ছুরি, ০২টি প্লাষ্টিকের পাইপের লাঠি, ০১টি কালো রশি এবং ০৩টি স্মার্টফোন উদ্ধার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত’রা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড, ঘোনার পাড়া, এস এ ক্যাং এলাকার বান্টু দাশ এর পুত্র উজ্জল দাশ (২৮), একই এলাকার মৃত বিমল দে এর পুত্র উৎপল দে (২৯), মৃত দুলাল ধর পুত্র বিধান ধর (৩০), ৯নং ওয়ার্ড মহেশখাইল্লা পাড়া এলাকার কাজল রুদ্র পুত্র অন্তর রুদ্র (২২)।

র্যাব-১৫ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডস্থ বৈদ্যঘোনা জাদিরাম পাহাড়ের উপর পরিত্যক্ত ঘরে টর্চার সেল স্থাপন করে একটি ডাকাত চক্র বিভিন্ন পর্যটক ও নিরীহ সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে বেদম প্রহারের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় ও মাদক সেবনের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে মর্মে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটির সত্যতা যাচাই ও ডাকাত চক্রটি গ্রেফতারপূর্বক জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ এর একটি গোয়েন্দা দল ব্যাপক তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, এসএ ক্যাং জাদিরাম পাহাড়ের উপর একটি ডাকাত দল ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১৫, কক্সবাজার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, কক্সবাজার শহরের নিরীহ মানুষ ও পযর্টকদের টার্গেট করে সুযোগ বুঝে তাদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতো গ্রেফতারকৃত চক্রটি।
এছাড়াও ভিকটিমদের বিভিন্ন সময় বৈদ্যঘোনা জাদিরাম পাহাড়ের উপর পরিত্যক্ত ঘরে টর্চার সেল আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে বিশাল অংকের মুক্তিপণ আদায় করতো বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।