আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

পযর্টকদের ছিনতাই, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোনা পুরাতন জাদিরাম বৌদ্ধ মন্দিরের পাহাড়ে পরিত্যক্ত ঘরে টর্চার সেল স্থাপন করে আগত পর্যটক ও স্থানীয়দের ছিনতাই, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের ০৪ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।

সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে  র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বৈদ্যঘোনা এসএ ক্যাং জাদিরাম পাহাড়ের উপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। 

অভিযান পরিচালনাকালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যগণ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ দিক-বিদিক দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। 
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের হেফাজত হতে ০১ (এক)টি কিরিচ, ০৩টি ছুরি, ০২টি প্লাষ্টিকের পাইপের লাঠি, ০১টি কালো রশি এবং ০৩টি স্মার্টফোন উদ্ধার হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত’রা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড, ঘোনার পাড়া, এস এ ক্যাং এলাকার বান্টু দাশ এর পুত্র উজ্জল দাশ (২৮), একই এলাকার মৃত বিমল দে এর পুত্র উৎপল দে (২৯), মৃত দুলাল ধর পুত্র বিধান ধর (৩০), ৯নং ওয়ার্ড মহেশখাইল্লা পাড়া এলাকার কাজল রুদ্র পুত্র অন্তর রুদ্র (২২)।

র‌্যাব-১৫ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডস্থ বৈদ্যঘোনা জাদিরাম পাহাড়ের উপর পরিত্যক্ত ঘরে টর্চার সেল স্থাপন করে একটি ডাকাত চক্র বিভিন্ন পর্যটক ও নিরীহ সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে বেদম প্রহারের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় ও মাদক সেবনের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে মর্মে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটির সত্যতা যাচাই ও ডাকাত চক্রটি গ্রেফতারপূর্বক জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে র‌্যাব-১৫ এর একটি গোয়েন্দা দল ব্যাপক তদন্ত শুরু করে। 
এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, এসএ ক্যাং জাদিরাম পাহাড়ের উপর একটি ডাকাত দল ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, কক্সবাজার শহরের নিরীহ মানুষ ও পযর্টকদের টার্গেট করে সুযোগ বুঝে তাদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতো গ্রেফতারকৃত চক্রটি। 
এছাড়াও ভিকটিমদের বিভিন্ন সময় বৈদ্যঘোনা জাদিরাম পাহাড়ের উপর পরিত্যক্ত ঘরে টর্চার সেল আটকে রেখে নির্যাতনের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে বিশাল অংকের মুক্তিপণ আদায় করতো বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।

উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ