আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ভিশন ড্রাগস লিমিটেড এর বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মশিউর রহমান রাসেল,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশের অন্যতম ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ভিশন ড্রাগস লিমিটেড এর বাৎসরিক বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুয়াকাটার বীচ হ্যাভেন এর হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ২২ এবং ২৩ সালের বিক্রয় সম্মেলন।

বাৎসরিক বিক্রয় সম্মেলনে ২০ অক্টোবর সারা বাংলাদেশের বিক্রয় ও বিপণন কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসেন।
তাদের জন্য ৫ টি আবাসিক হোটেল কোম্পানি কর্তৃক অগ্রীম বুকিং করে রাখা হয়। ২০,২১,২২ অক্টোবর ৩ দিন ব্যাপী হয় নানা আয়োজন।

ভিশন ড্রাগস লিমিটেড এর এসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার (সাউথ জোন) মোঃ আজাদুর রহমান খান এর সঞ্চালনায় শুরু হয় বাৎসরিক বিক্রয় সম্মেলন। কোম্পানির সকল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ, এরিয়া ম্যানেজার,জোনাল ম্যানেজার ও রিজিওনাল ম্যানেজারদের স্কীল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কোম্পানির উর্ধতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। এরপর শুরু হয় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সেলস এচিভমেন্টের মূল্যায়ন ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। এবছর ভিশন ড্রাগস লিমিটেড এর বিক্রয় প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে প্রায় ২০ জন বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন।
এছাড়াও ১০ জন পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন নগদ অর্থ। সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

ভিশন ড্রাগস লিমিটেড যাত্রা শুরু করেন প্রানী মেডিসিন উৎপাদন ও বাজারজাত করনের মাধ্যমে সুনামের সাথেই পরিচালিত হয়ে আসছে কোম্পানিটি। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন প্রানীসম্পদ সেবায়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষের ঔষধ প্রস্ততকারক হিসেবেও নাম লেখাতে যাচ্ছেন ভিশন ড্রাগস লিমিটেড।

ভিশনের সারা বাংলাদেশে বিক্রয় প্রতিনিধি রয়েছেন প্রায় ৩০০জন। ২৪-২৫ অর্থবছরে আরও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

ভিশন ড্রাগস লিমিটেড এর এত দ্রুত গ্রো করার কারন জানতে চাইলে প্রতিনিধিরা জানান। আমাদের কোম্পানির পন্যের গুনগত মান ও কোম্পানির বিক্রয় পলিসি নিয়ে ডাক্তার,কেমিস্ট খামারীগন খুবই খুশি। তাছাড়াও কোম্পানির ম্যানেজমেন্টে যারা রয়েছেন তারা যথেষ্ট আন্তরিক ও মানবিক। তাই সকল সহকর্মীরা নিজের কোম্পানি ভেবেই তার সঠিক মূল্যায়নটা করছেন বলেই কোম্পানি প্রতিনিয়ত গ্রো করছেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন ভিশন ড্রাগস লিমিটেড এর ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার (NSM) মোঃ আবু হাসান, বিজনেস ম্যানেজার ডাঃ সৌমেন্দ্রনাথ সিকদার,মার্কেটিং ম্যানেজার মোঃ আহসান হাবীব, এসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার (ASM) আজাদুর রহমান খান, মোঃ আঃ কাদের, ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার (NDM) মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট (PD) মোঃ মোস্তাক হোসেন, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার (PMD) ফার্মাসিস্ট ফারহান উদ্দিন, ও মোটিভেশনাল স্পীকার মোঃ খালিদ হোসেন প্রমুখ।

এসময় ভিশন ড্রাগস লিমিটেড এর ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার (NSM) মোঃ আবু হাসান বলেন। ভিশন ড্রাগস লিমিটেড এর সকল কর্মকর্তা কর্মচারী সকলেই ভিশন পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমাদের সহকর্মীরা প্রতিনিয়তই কোম্পানিকে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরাও তাদের সকল কাজে আন্তরিকতার সাথে সাপোর্ট দেবার চেস্টা করে যাচ্ছি, আমরা সবসময় চেস্টা করছি গুনগত মানসম্পন্ন পন্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার। ফার্মাসিউটিক্যালসে প্রচুর প্রতিযোগিতা রয়েছে তা সত্ত্বেও আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেকটা পথ সফলতার সাথে পারি দিয়েছি। আমাদের কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আমাদের সহকর্মী, সম্মানিত ডাক্তার,কেমিস্ট ও খামারিদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে তাই আমরা সবসময়ই তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এসময় তিনি আরো বলেন আগামী ৩ মাসের মধ্যে ইনজেকশন, ট্যাবলেট,লিকুইড সহ আরও নতুন ২৭ টি প্রোডাক্টস মার্কেটে দিতে পারবো। আমাদের লক্ষ্য আমরা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেরা দশের তালিকায় অবস্থান করবো ইনশাআল্লাহ। আগামী ২৪-২৫ অর্থ বছরে আমাদের কোম্পানির লক্ষ্য ৬০ কোটি টাকা নির্ধারন করেছি। লক্ষ্য অর্জন হলে কোম্পানির মাঠপর্যায়ের সকল সহকর্মীই বিদেশ ভ্রমনের সুযোগ পাবেন এবং আগামী বছর বাৎসরিক বিক্রয় সম্মেলন দেশের বাহিরেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ভিশন ড্রাগস লিমিটেড এর সকল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ (ME), এরিয়া ম্যানেজার (AM), জোনাল ম্যানেজার (ZM), রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার (RSM) সহ হেড অফিস ও ফ্যাক্টরীর কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ