আজঃ বুধবার ২১ মে, ২০২৫

চট্টগ্রামকে পর্যটন নগরী করতে চান মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত চট্টগ্রামের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের বাণিজ্য সমৃদ্ধ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিকের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটি’র সদস্যদের এক সভায় চট্টগ্রামকে ঘিরে তাঁর পরিকল্পনা তুলে ধরেন। ডা. শাহাদাত বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি মূলত তিনটি সেক্টরের উপর নির্ভরশীল। চার নাম্বার আরেকটি সেক্টরকে কিন্তু আমরা চট্টগ্রামের মাধ্যমে উঠিয়ে আনতে পারি। সেটা হচ্ছে পর্যটন খাত। যে পর্যটন খাত দিয়ে কিন্তু আমাদের আশেপাশের সার্কভুক্ত সবগুলো দেশ সমৃদ্ধশালী হয়ে গেছে। অথচ এই পর্যটন খাতটাকে কিন্তু আমরা সেভাবে বিকশিত করতে পারিনি। চট্টগ্রামকে ঘিরেই কিন্তু বাংলাদেশের পর্যটনখাত নির্ভরশীল। আপনি যদি বাংলাদেশে কোথাও বিনোদনের জন্য ঘুরতে যেতে চান প্রথমেই চিন্তা করবেন কক্সবাজারের কথা। এরপরে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি অথবা খাগড়াছড়ি। এর বাহিরেও চট্টগ্রামে আরো অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে।“এ কারণে আমরা যদি চট্টগ্রামের পর্যটনখাতের বিকাশ ঘটাতে পারি তাহলে একদিকে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। চট্টগ্রামের অবকাঠামো যদি আমরা ডেভেলাপ করতে না পারি তাহলে ইনফ্যাক্ট আমরা বাংলাদেশকে বাঁচাতে পারবো না। দেশের অর্থনৈতিক যে একটা চাকা তা সচল করার জন্য চট্টগ্রামকে সুন্দর করতে হবে।”
অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রয়োজন মন্তব্য করে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের আয়ের এত বড় একটি সেক্টর, অথচ চট্টগ্রামের বাইরে কিন্তু বন্দরের টাকার সিংহভাগ চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন জায়গায় অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করার জন্য যেখানে ঘাটতি হচ্ছে সে জায়গায় বন্দরের টাকা চলে যাচ্ছে, যদিও বন্দর চট্টগ্রামের। কাজেই চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পটাকে চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে। এখানে স্পেশাল ইকোনমিক জোন আছে, এখানে কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো আছে। এখানে আপনার বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটা ব্যাপার আছে এবং এখানে ট্রেড সেন্টার আছে। ব্যবসায়িক হাব হিসেবেও কিন্তু চট্টগ্রাম অত্যন্ত পরিচিত। কাজেই সব মিলিয়ে ভৌগোলিক কারণে আজকে চট্টগ্রাম কিন্তু অত্যন্ত ইম্পর্টেন্ট একটা জোনে আছে।”
চট্টগ্রামের বিকাশে সিটি গভর্মেন্ট দরকার দাবি করে মেয়র বলেন, সেন্ট্রাল গভমেন্ট কে আমরা অলরেডি বুঝিয়েছি যে একটা জিনিস আমাদের খুব দরকার সেটা হচ্ছে সিটি গভর্মেন্ট বা, নগর সরকার। এই যে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি আপনার যারা এসেছেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আপনারা বলছেন যে এটার-ওটার অনুমতি লাগবে বিভিন্ন জায়গা থেকে এবং চট্টগ্রামের সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ও নেই। অথচ সিটি গভর্মেন্ট যদি থাকতো তাহলে সিটি মেয়র হিসেবে আমি আজকে সব জায়গায় অনুমোদনের বিষয়টি সহজে করিয়ে নিতে পারতাম।
চট্টগ্রামের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, সিটি গভর্মেন্ট না থাকায় আমাদের যে লিমিটেশন সেই লিমিটেশনকে জয় করতে হলে আমাদের আন্তরিক হতে হবে। আন্তরিকতার উপর আর কিছু নেই। আমাদের যে ঐক্যবদ্ধতা, আমাদের যে হৃদ্যতা, এই হৃদ্ধতা-ঐক্যবদ্ধতার মাধ্যমে আমরা আসুন সিটি গভর্মেন্ট না হওয়া পর্যন্ত আমরা মিলেমিশে সবাই একসাথে কাজ করি।
শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে সভা করার ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, আমি সবগুলো ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে বসব। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে নালা ও রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে ময়লার বিন রাখা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, বিন না থাকায় অনেকে ময়লাগুলো নিয়ে নালায়, রাস্তায়, খালে ফেলছে। আমি কালকে নিজ হাতে নালা থেকে ময়লা তুললাম, অথচ ময়লা ফেলতে পারছি না। কারণ দোকানের সামনে বিন নেই। বিন রাখা বাধ্যতামূলক করতে হবে। প্রয়োজনে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। গতকাল ৬ নং ওয়ার্ডে বড় কবরস্থানের পাশে কৃষিখালে গিয়ে দেখলাম, খালটি ডাস্টবিন হয়ে গেছে। পানি যাবে কিভাবে? এটা বাসাবাড়ি আশেপাশের সব মানুষ বোধহয় ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে না। এর ফেলছে খালে, মনে করে এটাই ডাস্টবিন। এইভাবে তো আসলে চলতে পারে না। ওখানে ডাস্টবিন করে দিতে বলেছি।
“আপনারা ধনাঢ্য ব্যক্তি ও বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করুন। যোগাযোগ করে দেখি তাদের থেকে স্পন্সর পাওয়া যায় কী না। কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে উনাদের থেকে ময়লা সংগ্রহ করার জন্য বিন সংগ্রহ করা যেতে পারে। সমাজের উন্নয়নে সমাজের সবাইকে নিয়েই আমাদের এগুতে হবে। পলিথিনের বিকল্প অনুসন্ধান করতে হবে আমাদের। পলিথিন চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ।”
পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম নিয়ে মেয়র বলেন, ডিসি মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আমি ওনাকে বলেছি যেখানে খাস জায়গা আছে অন্ততপক্ষে আমাকে এগুলো দিন। আমি সেখানে ডাম্পিং স্টেশনগুলো করতে চাই। আমি চাই না যে ময়লা আবর্জনার গন্ধ মানুষের নাকের মধ্যে ঢুকুক। শুধু গন্ধ না, পচনশীল বর্জ্য থেকে অনেক ফ্লাইস-বর্ন-ডিজিজ হচ্ছে। সেগুলো বন্ধ করতে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সক্ষমতা বাড়াবো। আমাদের যে ম্যাজিস্ট্রেটরা আছেন, আপনারা রাজপথে একটু স্ট্রংলি একটিভ হন। যারা ইচ্ছে করে ময়লা ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
বিপ্লব উদ্যানসহ চসিকের স্থাপনাগুলোর আয় যাচাই করার ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, যে জায়গাগুলো থেকে ইনকাম দেওয়ার কথা সেখানে যদি আমরা ইনকাম না পাই তাহলে সিটি কর্পোরেশন আমি চালাবো কিভাবে? আমার ইচ্ছা হচ্ছে যে আমি একটা ডায়ালাইসিস সেন্টার করব পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে যেখানে জনগণ কম টাকায় সেবা পাবে। তো সেটা আমি করতে পারছি না। আমার ইচ্ছা একটা চাইল্ড কেয়ার সেন্টার করব, আমি প্রতিটা ওয়ার্ড ওয়ার্ডে আরবান হেলথ সেন্টারগুলো আছে এগুলোকে একটু সমৃদ্ধ করব। সেখানে ম্যাটারনাল ফ্যাসিলিটিস, চাইল্ড ফ্যাসিলিটিস, প্রাইমারি হেলথকেয়ার পাবে জনগণ। এগুলিতে আমি করতে পারছি না।
“বিপ্লব উদ্যানে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনারা জানেন আমি গত ৭ই নভেম্বর সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম যে একটা হরিলুট হয়েছে। আগের মেয়ররা একেকজন অনেক টাকা নিয়ে গেছেন বিপ্লব উদ্যান থেকে। অথচ সিটি কর্পোরেশন একটা টাকাও পায়নি। চুক্তি করেছে বছরে মাত্র এক লক্ষ টাকা দিবে তাও বছরে। ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি যেটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের টাকা দিয়ে করা সেটা বেদখল হয়ে গেছে। শপিং কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য মার্কেটেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে অসম চুক্তি করে হরিলুট করা হয়েছে। আমি প্রত্যেকটা মার্কেটের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং রাজস্ব আহরণের চেষ্টা করব।”
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বাঙালির প্রাণের উৎসবে জেগেছে বন্দরনগরী।

চট্টগ্রামে প্রখর রোদ উপেক্ষা করে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করেছে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। চিরায়ত গান, কবিতা, নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ লোকজ নানা অনুষঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগরীর বর্ষবরণের বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দিয়েছে সর্বস্তরের হাজার, হাজার মানুষ। বাঙালির প্রাণের উৎসবে জেগেছে বন্দরনগরী।বর্ষবরণের আয়োজন থেকে মুক্ত বাংলাদেশে বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক চেতনা ধারণ করে বিভেদ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও চট্টগ্রামে বর্ষবরণের বড় আসর বসেছে সিআরবির শিরিষতলায়। নগরীর ডিসি হিলে গত ৪৬ বছর ধরে আরেকটি বড় আয়োজন হয়ে আসছিল। কিন্তু রোববার রাতে মঞ্চে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় সেই আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। এরপরও চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ আরও বিভিন্নস্থানে বর্ণিল উৎসব দেখা গেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বের করা শোভাযাত্রায় আরও প্রাণময় হয়ে ওঠে পহেলা বৈশাখের আয়োজন।
নগরীর সিআরবির শিরিষতলায় এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সপ্তদশ আয়োজন শুরু হয় সোমবার সকাল ৭টায় ভায়োলিনিস্ট চিটাগংয়ের বেহালা বাদনের মধ্য দিয়ে। ‘নববর্ষ উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রামের’ উদ্যোগে দিনব্যাপী এই আয়োজনে উদীচী চট্টগ্রাম, সঙ্গীত ভবন, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ রেলওয়ে সাংস্কৃতিক ফোরাম, স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরাম, সৃজামী, অদিতি সঙ্গীত নিকেতনসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা সম্মিলিত গান পরিবেশন করেন।
এছাড়া বোধন আবৃত্তি পরিষদ, শব্দনোঙ্গর, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসসহ কয়েকটি সংগঠনের শিল্পীরা বৃন্দআবৃত্তি পরিবেশন করেন। ওড়িষি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, নৃত্যনীড়, রাগেশ্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।

নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ফারুক তাহের বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। সকল মত-পথের ঊর্ধ্বে উঠে এদিনটি আমাদের এক হয়ে নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরার প্রেরণা দেয়। আমরা একেকজন একেক ধর্মের অনুসারী হতে পারি। পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, পৌষপার্বণ, নবান্ন এগুলো আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতি।

পরিষদের সহ-সভাপতি নুরুল আফসার মজুমদার স্বপন বলেন, এবার নতুন প্রেক্ষাপটে মুক্ত বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হচ্ছে। আমরা যে ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ চাই, সকল মতের সম্মিলন, সহাবস্থান চাই, সেটাই এবারের আয়োজনে আমাদের প্রেরণা। মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ-বৈষম্য থাকবে না, আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে চাই আমাদের চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে। আপামর মানুষের এই সংস্কৃতি যেদিন সারা বাংলাদেশে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারব, সেদিনই আমরা সুন্দর স্বদেশ পাব।

এদিকে সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কের ক্যাম্পাস থেকে পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রা বের হয়। বাদশা মিয়া সড়ক থেকে আলমাস মোড়, কাজির দেউড়ি, জামালখান হয়ে সার্সন রোড দিয়ে শোভাযাত্রা আবার চারুকলা ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের তৈরি জাতীয় মাছ ইলিশ এবং টেপা পুতুলের ঘোড়ার মোটিফ স্থান পায় ঢোলবাদ্যের তালে তালে এগিয়ে যাওয়া শোভাযাত্রায়। মুখোশ হিসেবে ছিল বাঘ, মহিষ ও খরগোশ। শোভাযাত্রায় চারুকলার শিক্ষকদের পাশাপাশি সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকদের অন্যতম সদ্য স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ছাত্র যাদব দেবনাথ।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্মীয় ভেদাভেদহীন, অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ আমাদের চাওয়া। এই বাংলাদেশ হোক সকল মানুষের। আমরা যেন সবাই মিলেমিশে এই বাংলাদেশকে গড়তে পারি। শোভাযাত্রাকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন হয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের আশপাশজুড়ে। শোভাযাত্রা যে পথে গেছে সেখানেও পুলিশের কড়া প্রহরা দেখা গেছে।

বেলা ১২টায় নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে বর্ষবরণের শোভাযাত্রা বের হয়। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিও নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়েছে। তবে সিএমপি বর্ষবরণের আয়োজনকে ঘিরে নগরীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

শিল্পকলায় অরিন্দমের ডলু নদীর হাওয়া মঞ্চায়িত।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে ৯ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রামের অন্যতম নাট্য সংগঠন অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের ৩১ তম প্রযোজনা স্বনামধন্য লেখক শহীদুল জহির এর গল্প ডলুয়া নদীর হাওয়া অবলম্বনে নাটকের উদ্ধোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়।

নাটকটি নির্মাণ ও মঞ্চ পরিকল্পনা করেন আমিনুর রহমান মুকুল। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন মুনির হেলাল,সাবিরা সুলতানা বিনা,বিবি আয়েশা সুমী,সঞ্জয় ধর, পার্থ চক্রবর্তী, ইনান ইলহাম, চৈতি সাহা, সত্যজিৎ নন্দী, মাশরুর উশ শহীদ, জোবাইদা ইয়াসমিন সাকি, রাজদ্বীপ চৌধুরী, শিমলী দাশ, কাশপি আচার্য্য পুর্ণা, সুশান্ত চৌধুরী, সপ্তর্ষী চাকমা প্রমুখ। আবহ সঙ্গীত

পরিকল্পনায় ছিলেন মইনউদ্দিন কোহেল, গীত ও সুর রচনা করেন ড. দীপংকর দে, আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন ফইয়াজ নুর রাকিন, পোশাক ও দ্রব্যসামগ্রী পরিকল্পনায় ছিলেন সাবিরা সুলতানা ও বিবি আয়েশা। রুপসজ্জা করেন শাহরিয়ার হাসান। পোষ্টার করেন দীপংকর দস্তিদার। ডলু নদীর হাওয়া গল্পটি একটি রহস্যময় আবহে গড়ে উঠেছে যেখানে ডলু নামের একটি নদী এবং তার আশেপাশের জনপদ গল্পের কেন্দ্রবিন্দু। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া অঞ্চলের ডলু নদী তীরবর্তী এক দম্পতিকে ঘিরে আবর্তিত। তৈমুর আলী চৌধুরী ও সমর্তবানু ওরফে এলাচিং এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র।

শহীদুল জহিরের অন্যান্য গল্প বা উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রটি যেমন প্রবীণ হয় এ গল্পটিও তাই। তৈমুর ও সমর্ত বানুর দাম্পত্য জীবনের প্রায় ৪০ বছর পর এ গল্পের প্লট উম্মোচিত হয়। তারপর ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকে তাঁদের সম্পর্কের অতীত এবং বর্তমান। যেখানে পরপর অনেকগুলো শর্তের উপর দাঁড়িয়ে থাকে তাঁদের জীবন ও পরিণতি। তাঁদের প্রেম, বিয়ে এবং দাম্পত্যের রহস্যময়তা যেমন এই গল্পের প্রতিপাদ্য, তেমনি চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনধারা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস ও এ গল্পের বাস্তব ভিত্তি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ