আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

লন্ডন প্রবাসী ব্যারিষ্টার আখতারের পক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বগুড়া সংবাদদাতা

আদালত অবমাননা করে নামজারি আবেদন নং ৬৩৪০৩২৮, কেস নং ২৩৩০ নামঞ্জুর করার কারনে বগুড়া শাজাহানপুর থানার এসি ল্যান্ড জান্নাতুল নাইম ও সুলতানগঞ্জের তহশিলদার রজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রবাসী ব্যারিষ্টার মোঃ আখতার মাহমুদের পক্ষে শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন হাফেজ রকিবুল ইসলাম। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, শহরের চকফরিদ মৌজাস্থ সিএস ৮৮ নং খতিয়ান এম আর আর ৯৩ নং খতিয়ানভুক্ত ১৬ শতক সম্পত্তি নিয়ে আমার পিতামাতা বাদী হইয়া বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে ৫১/৯৪ নং বন্টন মোকদ্দমা করলে উক্ত ১৬ শতক সম্পত্তি বাবদ আদালতের ডিক্রী প্রাপ্ত হয়ে এডভোকেট কমিশনার যোগে দখলপ্রাপ্ত হয় এবং তৎপ্রেক্ষিতে ফাইনাল ডিক্রি প্রাপ্ত হয়। তৎপর দরখাস্তকারীর মাতার প্রাপ্ত ৭.৫০ শতক সম্পত্তি দরখাস্তকারী ব্যারিষ্টার আখতার মাহমুদ বরাবর হেবার ঘোষণামূলে হস্তান্তর করে আদালতের মাধ্যমে দখল বুঝিয়ে পাই। পরবর্তীতে আমার পিতা ৮.৫০ শতক সম্পত্তিতে স্বত্ব দখল পরিচালনা করা অবস্থায় মারা গেলে স্ত্রী আকতামা বেগম ২ পুত্র দরখাস্তকারী ব্যারিষ্টার আখতার মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ মাহমুদ ২ কন্যা রওশন জাহান ও রাফিয়া আনজুম পাপিয়া ওয়ারিশ থাকে। দরখাস্তকারী উক্ত সম্পত্তি বিষয়ে এসি ল্যান্ড বরাবর খারিজ আবেদন করলে প্রতিবেদন ও প্রস্তাবের জন্য সুলতানগঞ্জ তহশিলদার মোঃ রজিবুর রহমান বরাবর প্রেরণ করলে দরখাস্তকারীর প্রতিনিধিকে সম্পত্তির কাগজাদী নিয়ে তহশিল অফিসে আসতে বলেন। দরখাস্তকারী লন্ডন প্রবাসী হওয়ায় তার পক্ষে নিযুক্ত এডভোকেট সম্পত্তির মালিকানার সকল কাগজাদী ও ৫১/৯৪ বন্টন মোকদ্দমার রায় ও ডিক্রীর কপি প্রদর্শন করলেও তা আমলে না নিয়ে অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রথম দফায় এডভোকেটকে অনুপস্থিত দেখিয়ে এবং মালিকানা প্রমাণিত হয়নি ও দলিলের ধারাবাহিকতা নাই উল্লেখ করে খারিজ আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। বস্তুতঃ ৫১/৯৪ বন্টন মামলার মাধ্যমে জমি পাওয়া। মালিকানা ও দলিলের ধারাবাহিকতা আদালত ফয়সালা করে দিয়েছে। এ আদেশ সকলের উপর বাধ্যকর। সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত নিশ্চত করেছে জমির মালিকানা নিষ্কন্টক। তথাপি এ অফিসারেরা আদালতের আদেশ অমান্য করে আইন ভঙ্গ করেছে। তারা ভুল করে এমন কাজ করেছে ভেবে ২য় বার আবেদন করলে বিনা শুনানীতে এ অফিসারেরা খারিজ নামঞ্জুর করে। পক্ষান্তরে ৫১/৯৪ মামলায় সাহাম পায়নি এমন ব্যাক্তিকে খারিজ করে দেয়। আমি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সৃষ্ট খারিজ বাতিলে আবেদন করা হলে তাতে মামলা নম্বর বা শুনানীর তারিখ দুই মাসেও দেয়নি এ এসিল্যান্ড ও তহশিলদার। উল্লেখ্য আমাদের ১৬ শতক জমির মাঝের সোয়া চার শতক জমিতে বসবাসকারী বিহারিদের উচ্ছেদের বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। এমতাবস্থায় ভূমি দস্যুরা মোট ১৬ শতক জমির ২.৫ শতকে থাকা আমার বাড়ি ব্যাতিত পুরা জমি দখলের নানাভাবে চেষ্টা করছে। ভূমিদস্যুরা রাতের আধারে দখল করতে গেলে ভূমি অপরাধ আইনে মামলা করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর বর্তমান সরকার যেখানে সর্বসাধারণের সকল কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে সেখানে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যহত করতে একজন প্রবাসী রেমিটেন্স আর্নার সাংবাদিক ও ব্যারিষ্টারকে হয়রানি করতে এবং ভূমিদস্যুদের সহায়তা করতে এ সরকারী কর্মকর্তারা পিছুপা হননি। আরো উল্লেখ্য, দেশের খারাপ পরিস্থিতির সুযোগে ৫ তারিখ রাতে মুখোসধারীরা অস্ত্র হাতে বাড়ি দখল করতে যায়। তারা ইতিপূর্বে রাস্তা দখল, তিনাটা বড় গাছ কেটে জমি দখল করেছে। ভাড়াটেদের হুমকি ধামকি দিয়ে আমার জমিতে আমার শান্তিপূর্ণ বসবাস প্রায় অসম্ভব করে ফেলেছে। এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ দৃশ্যমান কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। পুলিশ যাতে ব্যাবস্থা নেয় এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অন্যায় ভাবে খারিজ আবেদন অভিযুক্তরা নামঞ্জুর করে আমার সাংবিধানিক অধিকার “সম্পদের অধিকার” থেকে বঞ্চিত করে এ কর্মকর্তারা সংবিধান লংঘন করেছে। আদালতের আদেশ ৫১/৯৪ মামলার রায় অমান্য করে দুষ্কৃতকারীকে খারিজ করে দেয়া, খারিজ বাতিল আবেদন গ্রাহ্য না করা, আদলতের রায় অমান্য ও গোপন করে এ ব্যাক্তিদ্বয় আদালত অবমাননা ও গুরুতর অপরাধ করেছে। উল্লেখ্য ভূমিদস্যুতার কারনে ও ভূমি অপরাধ আইনে দায়ের করা মামলার আসামি সুমন/মাসুদরানার দলিলে মিথ্যা তথ্যে, মিথ্যা চৌহদ্দি, নকশা, বন্টন মামলার তথ্য গোপন করা হয়েছে। ফাকা জমিকে টিনের ঘর বলা খারিজ দেয়া হয়েছ। মার্চ-এপ্রিলে আমি দেশে থাকার সময় পেশি শক্তির বলে আমার জমি দখল করতে আসলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ সমস্যার সমাধানে মার্চ-এপ্রিলে ২০২৪ এ খাজনা খারিজ পরিশোধে সুলতানগঞ্জ তহশিল অফিসে গেলে তহশিলদার আমাকে তিন শতক জমি প্রভাবশালী প্রতিবেশীকে (আওয়ামী ভূমিদস্যু মঞ্জুরুল আলম মোহনের ক্যাডার সেলিম; ফ্যাসিষ্টের পতনে উভয়ে পলাতক) ছেড়ে দিতে বলে। জমি না দিলে প্রাণ থাকবেনা বলে তিনি এ কথাও বলেন মাথা চান না জমি চান। প্রাণনাশের হুমকির কথা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। হুমকি দেবার মতো শক্তির উৎস ফ্যাসিষ্ট আওয়ামিলীগ। এ সংগঠনের সাথে যুক্ত মাফিয়ার ব্যাক্তিদের সাথে তহশিলদার, সাবেক ছাত্রলীগ এসি ল্যান্ডের যোগসাজোসের তদন্তের দাবি করছি। দাবি করছি তাদের ও তাদের পরিবারে সকল সদস্যের স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসাব করার। আন্তর্জাতিক আইনে সম্পত্তির অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে সুরক্ষিত করা হয়েছে, বিশেষ করে সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা (ধারা ১৭) এবং ইউরোপীয় কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস প্রোটোকল ১, ধারা ১ এর মতো চুক্তিসমূহ মতে ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে ইচ্ছাকৃত বা অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা মানবাধিকার লংঘন। আমার জমি অন্যকে জালিয়াতি করে খারিজ করে দিয়ে খারিজ বাতিলের আবেদন ঝুলিয়ে রেখে আমার জমির খারিজ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভূয়া অজুহাতে নামঞ্জুর করে এ অফিসারেরা আমার মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার লংঘন করেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পদক্ষেপ বাংলাদেশ এর বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত ।

পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর আয়োজন, কর্মসূচী ব্যতিক্রম ও বৈচিত্র্যময়। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকার পরিবাগস্থ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের উন্মুক্ত মঞ্চে জাতীয় সংগঠন ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাংস্কৃতিক পর্ব—দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে : শিল্পবৃত্ত, পদক্ষেপ বাংলাদেশ। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে : কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, শিল্পবৃত্ত, ঢাকা স্বরকল্পন, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। একক আবৃত্তি করেন : মীর বরকত, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন : গোবিন্দলাল সরকার, মো: তাজুল ইসলাম, খাইরুল আলম।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেবুন্নেসা জেবা, উদয়ন স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক সবিতা সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর সভাপতি বাদল চৌধুরী। স্বাগব বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ সাঈদ। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মতিয়ারা মুক্তা।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়- বহু ত্যাগ, সংগ্রাম আর প্রত্যাশার ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ শুধু পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীত বদল নয়, খোল-নলচে সব পাল্টে নতুন এক আদর্শকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নের নবযাত্রা। এই স্বপ্নের প্রধান এবং একমাত্র উপজীব্য মানুষ। মানুষের কল্যাণ, মানুষের মুক্তি, মানুষের মর্যাদা এবং মানুষের স্বাধীন ভূমিই শেষ কথা। কত মাতা, কত ভগ্নি, কত জানা-অজানা নারী তাঁর সম্ভ্রম হারিয়েছে শুধু এই মানুষকে মানুষের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। মানুষ কল্পনাবিলাসী কিন্তু নিজেতো সে কাল্পনিক নয়Ñএ ভূমিতেই তার সৃষ্টি, বেড়ে ওঠা, ভালো-মন্দের স্বাদ নেয়া, অতঃপর ভূমিতেই মিলিয়ে যাওয়া। এ ভূমির প্রতি তার প্রচ- ভালোবাসা।

মাতৃক্রোড়ে যেমনিভাবে শিশু বেড়ে ওঠে; একইভাবে কাদা-মাটি গায়ে মেখে আলো-বাতাসে অবগাহন করে এই ভূমিকেই মাতৃক্রোড় ভেবে একদিন চিরবিদায় নেয় প্রতিটি মানবশিশু। জন্ম আর মৃত্যুতে যে ভূমিকে কখনো আলাদা করা যায় নাÑতারই অমার্যাদা করবে ভিনদেশী তস্কর! তা কি করে মেনে নেয় ধুলো-বালি গায়ে মেখে বেড়ে ওঠা এ জনপদের মানুষেরা। এ ভূমিরই সাহসী-ত্যাগী- পোড়খাওয়া এক নামÑশেখ মুজিব। মাটি আর মানুষের সাথে ছিলো যাঁর আজন্ম সখ্য, ভিনদেশী হায়েনার হিংস্র থাবায় বারবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে তাঁর হৃদপি-; তবুও ভূমি আর মানুষের স্বাধীনতায় অবিচল থেকেছেন তিনি।

তাঁরই অঙ্গুলী হেলনে সাড়ে সাত কোটি মানুষ পরিণত হয়েছে এক একজন নেতাজী সুভাষ বসু, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, তিতুমীর, বাঘাযতিন, লক্ষ্মীবাই, ভগৎসিং, রফিক, শফিক, সালাম, জব্বার, সালাউদ্দিন, বরকত, আসাদ, মনুমিয়া’য়। এ গাঙ্গেয় বদ্বীপের তেরোশত নদীর জোয়ার আর পাখিদের কলতানে উচ্চারিত হয়েছে ভিনদেশী হায়েনার বিনাশ- ধ্বনি। লাঙলের ফলা থেকে তৈরি উর্বর মাটির প্রতিটি চাকা পরিণত হয়েছে শত্রুবিনাশী আনবিক বোমায়। বাঁশঝাড় উজাড় করে তৈরি হয়েছে চকচকে বেয়নেট।

নিঃশঙ্ক চিত্তে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার অগ্নিপুরুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঞ্চারিত হয়েছে সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রতিটি রক্ত কণিকায়Ñবিজয় অর্জিত হয়েছে মানুষের সংগ্রাম আর আত্মদানের। বিজয় মাসের সূচনালগ্নে আমরা নতুন করে উদ্দীপ্ত হতে চাইÑমাটি আর মানুষের কল্যাণ কামনায়। আমরা বিনাশ চাই সেই নরপশুদের যারা মাটির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভিনদেশী হায়েনাদের সঙ্গী হয়েছিলো মনুষত্বের বিনাশ সাধনে। সেই সাথে চাই আজকের এই দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’-এর সরকারি স্বীকৃতি। মাটি আর মানুষের জয় হোক, জয় হোক শুভ চিন্তা আর আদর্শের।

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা পরিবারের দানে গড়ে উঠছে এতিম শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন কেন্দ্র 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পরিবারের দান করা জমিতে এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে ও নারীর স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য গড়ে উঠছে মির্জা রুহুল আমিন এন্ড ফাতেমা মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের আদর্শ কলোনিতে কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলছে। 

 আর কমপ্লেক্সটি বাসমাহ ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে শত শত এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার পাওয়ার ঠিকানা হিসেবে পরিণত হবে। যেখানে এতিম শিশুরা খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকারগুলো বিনামূল্যে নিশ্চিৎ হবে। নারীদের স্কিল ডেভলপমেন্টে কাজ করবে। 

গত এক বছর যাবৎ এ কমপ্লেক্সটির কাজ শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চার ভাগের তিন ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে শতাধিক এতিম শিশুকে নিয়ে কমপ্লেক্সটিতে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিৎ করেছেন  কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা  বাসমাহ অরফানস হোম এর এডুকেশন ইনচার্জ আহম্মেদ আমিন।

তিনি আরও জানান, এই কমপ্লেক্সে বাসমাহ অরফানস হোম, বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার এবং বাসমাহ ওমেন্স এন্ড স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ। এক কক্ষে চলছিলো একটি দোয়ার আয়োজন। জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দেশের মঙ্গল কামনায় মির্জা পরিবারের উদ্যোগে এতিম শিশুদের নিয়ে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। 

ঠাকুরগাঁওয়ে এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার  ও নারীদের ডেভলপমেন্টের জন্য এমন একটি উদ্যোগকে বাস্তবায়নের পেছনের ব্যপারে জানতে চাইলে অরফান হোম এর এডুকেশন ইনচার্জ বলেন, আমাদের বাসমাহ ঠাকুরগাঁও সহ সারা দেশে পাঁচটি শাখা আছে। নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁর একটি শাখাতে মির্জা ফখরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যগণ পরিদর্শন করেন।  আমাদের কার্যক্রেম তাদের ভালো লাগে এবং এতিম শিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ ঠাকুরগাঁওয়ে বাস্তবায়নের জন্য তারা উৎসাহ প্রকাশ করেন এবং ৭৫ শতক জমি এতিমদের জন্য দান করেন৷ এই কর্মকর্তা বলেন বাসমাহ’র  সমস্ত পক্রিয়া মেনেই এটি গড়ে উঠছে।

বাসমাহর সিইও মীর সাখাওয়াত হোসাইন এর বরাতে প্রতিষ্ঠানটির এডুকেশন ইনচার্জ আরও বলেন  বাসমাহ ফাউন্ডেশনের তত্ত্ববধানে সারা দেশ জুড়ে সেবামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার,বাসমাহ ওরফান্স হোম,বাসমাহ উইমমেন্স স্কিল এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার।এ ছাড়াও শীতকালীন শীত বস্ত্র বিতরণ,কুরবানি প্রোগ্রাম,ইফতার প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ