আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সরকার ভূমিসেবায় নতুনভাবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে : সিনিয়র সচিব

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

: ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণ যাতে ঘরে বসে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা গ্রহণ করতে পারে সে প্রত্যয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় নতুন প্রয়াস গ্রহণ করেছে। কোন ধরণের হয়রানি, ভোগান্তি ও দুর্নীতি ছাড়াই আগের চেয়ে আরও আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী ভূমিসেবা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে দেশে নতুন অর্ন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। পূর্বের অবস্থা থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়ে সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনায় বর্তমান সরকার প্রত্যেক সেক্টরে নতুন সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় হয়রানি রোধে ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমিসেবায় নতুনভাবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন, পর্চা বা খতিয়ান ও নকশা এগুলো জনগণের কাছে চাহিদা রয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর শুধু সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করেনা, যারা ভূমি উন্নয়ন কর দেন তারা একটা দাখিলা পান এবং এটি মালিকানার জন্য প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত ভূমি ব্যবস্থাপনা সংস্কার বিষয়ক স্টেকহোল্ডার কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সহযোগিতায় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অটোমেটেড ল্যান্ড এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এএলএএমএস) কনফারেন্সের আয়োজন করেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, পূর্বে ভূমি সংক্রান্তে জনগণের কাঙ্খিত সেবা তেমন নিশ্চিত হয়নি। ভূমি জঠিলতা নিরসনে প্রত্যেকটি জমির সঠিক জরিপ ও সার্ভে প্রয়োজন। এ জন্য সারাদেশব্যাপী জিজিটাইজড জরীপ সম্পন্ন করতে পারলে জমির মূল মালিকানা শতভাগ নির্ভূল হবে। এ লক্ষ্যে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে আধুনিক পদ্ধতিতে কাজ করছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি প্রকল্পে ৬২টি মৌজা রয়েছে। পাইলটিং প্রকল্পের মাধ্যমে এগুলো জিজিটালাইজড করতে পারলে জনগণ উপকৃত হবে। নিজস্ব মোবাইল নম্বর দিয়ে অনলাইনে আবেদন পরবর্তী জমির মিউটেশন হলেই ভূূমি মালিক ঘরে বসেই পর্চা বা খতিয়ান সংগ্রহের পাশাপাশি অনলাইনে ভূমি কর পরিশোধ করতে পারবে, এর জন্য আর ভূমি অফিসে যেতে হবেনা। ভূমি সংক্রান্তে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করাই
আমাদের উদ্দেশ্য। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহঃ মনিরুজ্জামান (গ্রেড-১) বলেন, ভূমিসেবা আরও সহজীকরণে সর্বস্তরের জনগণনকে অবহিত করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর যৌথভাবে সংস্কার কাজ শুরু করেছে। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এখন থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়াই অ্যাপসের মাধ্যমে ১৪টি ভূমিসেবা গ্রহণ করতে পারবে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়সহ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর দেশব্যাপী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্লট টু প্লট সার্ভের মাধ্যমে ম্যাপ তৈরী করে প্রকৃত মালিকের নামে জমির খতিয়ান তৈরী করা আমাদের মূল লক্ষ্য। এ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর ইন্টারনেট এক্সেস থাকলে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় ঘরে বসেই দেখতে পারবে। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগের নবাগত বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়া উদ্দীন বলেন, কোন ধরণের হয়রানি, ভোগান্তি ও দুর্নীতি ছাড়াই জনগণের কাঙ্খিত ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। ভূমিসেবা গ্রহণ করতে গিয়ে কেউ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে সে বিষয়ে নজরদারী বৃদ্ধি করা হবে। দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরকে স্বচ্চতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের নবাগত বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়া উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ািছলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহঃ মনিরুজ্জামান (গ্রেড-১)। ভূমি ব্যবস্থাপনায় সংস্কার বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী ও যুগ্ম সচিব জাহিদ হোসেন পনির। আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমজাদ হোসেন, উপসচিব সেলিম আহমেদ, উপসচিব এ.টি.এম আজহারুল ইসলাম, সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব (উপসচিব) মোঃ আবু হারিস মিয়া, ইডিএলএমএস প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক-২ মাসুদুর রহমান মোল্লা, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ.এন.এম ওয়াসিম ফিরোজ, চট্টগ্রাম মহানগর
বিএনপি’র আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ, দৈনিক কর্ণফুলী সম্পাদক জামায়াত নেতা আফসার উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি নেতা মোঃ ইদ্রিছ, জেলা পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ কাশেম চৌধুরী, ছাত্র সমন্বয়ক রাসেল আহমদ প্রমূখ। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও স্টেকহোল্ডারগণ কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। কারা চাঁদা নেন, তাদের নাম প্রকাশের জন্য উপদেষ্টার প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রেসক্লাবের কর্ণফুলী হলে এ অনুষ্ঠান হয়।গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে অভিযোগ করেন। যদিও টাকার পরিমাণটি তিনি অনুমানের ভিত্তিতে বলেছেন বলে জানান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক-বর্তমান কোনো মেয়রের নাম উল্লেখ না করে তিনি ‘মেয়র কম, বন্দররক্ষক বেশি’ এমন মন্তব্যও করেন, যা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কিছু পত্রিকা লিখেছে, মেয়ররা নাকি চাঁদার ভাগ পেতেন। আমি তা দেখেই তাৎক্ষণিক উনাকে ফোন করি। তিনি বললেন- অতীতে যারা মেয়র ছিলেন তারা জড়িত ছিলেন। আমি বললাম- তাহলে নাম বলুন, কারা তারা?’অতীতে কারা চাঁদা নিতো, সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলে চট্টগ্রামে আসতে দেব না, এটা ফোনেই উনাকে বলেছি। আমি চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে সুনির্দিষ্ট নাম পেলে সেই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব। সেই সৎ সাহস আমার আছে।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি তো দূরের কথা, বন্দর নিয়ে আমি কখনো কাউকে ফোন বা তদবির করিনি। প্রতিদিন যদি দুই-আড়াই কোটি টাকা চাঁদা ওঠে, মাসে ৬০ কোটি, বছরে ৭২০ কোটি টাকা হয়। অথচ সিটি করপোরেশনকে ন্যায্য ২০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া হয় না। বন্দরের ভারী মালবাহী ট্রাক-ট্রেইলারের চাপ সড়কের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। আমার রাস্তাগুলো ৭-৮ টন বহনক্ষম। সেখানে ২০-৪০ টনের গাড়ি চলছে। প্রতি বছর ৪০০-৫০০ কোটি টাকা শুধু রাস্তায় খরচ করতে হয়। ন্যায্য ট্যাক্স না দিয়ে উলটো চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘সাংবাদিকতা হবে বস্তুনিষ্ঠ। যে সাংবাদিকতায় মানুষের চরিত্রহনন হয়, তার দায় সাংবাদিকদেরও নিতে হয়। প্রেসক্লাবের উচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে ও সদস্য গোলাম মওলা মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আমীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, এনসিপি নেত্রী সাগুফতা বুশরা মিশমা এবং প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি মনসুর, জ্যেষ্ঠ্য সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী, কাজী আবুল মনসুর, মুস্তফা নঈম, সালেহ নোমান, শেখর ত্রিপাঠি, জালাল উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, ফারুক আব্দুল্লাহ, ফারুক মুনির, মুজাহিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল পাশা, ফরিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, লতিফা আনসারি রুনা, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, ইবেন মীর, শরিফুল রুকন, মাহফুজুর রহমান, সরোজ আহমেদ, নুরুল আমিন মিন্টু, শাহাদাত হোসেন আবু সায়েম, জহুরুল আলম, আজিজা হক পায়েল, কিরণ শর্মা, আফসানা নুর নওশীন, অভীক ওসমান ও গিয়াস উদ্দিন বক্তব্য দেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি:
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাইফুল্লাহ চৌধুরী এ কমিটি ঘোষণা করেন।—

কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি মুস্তফা নঈম, সহ-সভাপতি ডেইজি মওদুদ, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ, অর্থ সম্পাদক আবুল হাসনাত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল খান, গ্রন্থাগার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক হাসান মুকুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক আবদুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কমিটিতে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সালেহ নোমান, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী এবং আরিচ আহমেদ শাহ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ