আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

অসাধু ও বেপরোয় ব্যবসায়ীদের অপকর্ম রোধে সামাজিক প্রতিরোধের বিকল্প নাই

প্রেস রিলিজ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

  1. ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া, কোন আইন নিয়ম কানুন কোন কিছুর পরোয়া করছে না। বিগত ১৬ বছর দেশের ক্ষমতার কাঠামোর কেন্দ্র বিন্দুতে ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন। আর এ কাজে দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতার কাঠামো নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসন, গণমাধ্যমসহ সবকিছুকে তারা ব্যবহার করেছে। যার কারনে তারা যা চেয়েছে তা-ই হয়েছে। ফলশ্রæতিতে ব্যবসায়ীরা এক একটি বার এক একটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগনের পকেট কাটলেও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। ব্যবসায়ীরা চাল, ডাল, চিনি, সয়াবিন তেলে প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও রমজান উপলক্ষে সরকার অনেকগুলো পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানো হলেও বাজারে তার কোন প্রভাব নেই। ১৮ কোটি সাধারন মানুষের কন্ঠস্বর হিসাবে জনগনের ভোগান্তি, হয়রানি ও মনোবেদনার কথা সরকারের নজরে আনতে ক্যাবকে আরও শক্তিশালি এবং সোচ্চার হতে হবে। দেশে নৈরাষ্যবাদীদের মতো দেশে কিছু হবে না, এই তত্তে¡র স্থলে জুলাই অভ্যত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ যেমন এখন স্বপ্ন নয় বাস্তব, সেরকম ব্যবসায়ীদের নৈরাজ্য থামাতে একই ভাবে সামাজিক আন্দোলন এক সময় সফল আন্দোলনে পরিনত হবে। ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ইং নগরীর চট্টগ্রাম সার্কিট সম্মেলন কক্ষে ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ক্যাব বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(গ্রেড-০১) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ডঃ মোঃ জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও উন্নয়ন) মোঃ শরীফ উদ্দীন ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামিল চৌধুরী। আলোচনায় অংশনেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক হোসাইন কবির, বীরমুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবিদ ডঃ প্রফেসর ইদ্রিস আলী, ক্যাব বান্দারবান জেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক এস এম শাহীন, খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক আবু তাহের, ফেনী জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, কুমিল্লা জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক কাজী মাসুদুল আলম, কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দীন সিদ্দিকী, রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক রানা মহসিন, ন্যাপ কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাস গুপ্ত, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ¦ আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির সদস্য সচিব শাহাদত হোসেন, রাউজান উপজেলা কমিটির সাংবাদিক মোজাফ্ফর হোসেন, চন্দনাইশ উপজেলা কমিটির সভাপতি নুরুল হক চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা কমিটির লায়লা ইয়াছমিন, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি রাব্বি তৌহিদ, সদস্য রাসেল উদ্দীন, এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ফয়েজউল্যাহ, জেলা সহকারী পরিচালক নাসরীন আকতার এ উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, জনতার আন্দোলন বিফলে যায় না, যারা হতাশায় ভোগতেন তাদের অবশ্যই নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশ এর জুলাইয়ের আন্দোলন থেকে শিক্ষা নেয়া দরকার। ক্যাব এর আন্দোলনের কারনে আজকে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তাই কিছুই হবে না বা অসাধু ব্যবসায়ীদের শৃংখলায় আনা যাবে না এ তত্ত্ব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ব্যাপক গণজাগরন একদিন অসাধু ব্যবসায়ীদের সব অপকর্ম একদিন বন্ধ হবে। তবে এজন্য তৃণমূলে জনগনের কন্ঠশ^র শক্তিশালী করতে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নাই। যে কোন জনভোগান্তি ও অধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটলেই তাদের পাশে দাড়ানো ও জোরালো প্রতিবাদ কর্মসুচি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তরুনদের মাঝে স্বপ্ন দেখাতে হবে। দেশে ভোক্তা অধিকার লংগনের ঘটনা প্রতিরোধে তরুণ সমাজকে আরও দক্ষ ও শক্তিশালী করতে না পারলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মাঝে বৈষম্য কমানো যাবে না।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ডঃ মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেন অর্থনৈতিক সমস্যা অর্থনৈতিক ভাবে সমাধান করতে হবে। সমাজের যে কোন পরিবর্তনে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নাই। যারা অসাধু ব্যবসায়ী নানা অপকর্ম করছে, তারা আমাদের সমাজের অংশ। কারো, ভাই, কারো আত্মীয়স্বজন। তাই অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধের বিকল্প নেই। আর এ কাজে ক্যাব নেতৃত্ব প্রদান করবেন এ প্রত্যাশা করেন।

    জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মাঠ পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। বিভাগের অনেক জেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা নাই। যেখানে জেলায় একজন কর্মকর্তা দিয়ে সামাল দেয়া কঠিন, সেখানে একজন কর্মকর্তা দুই জেলার দায়িত্বপালন করছেন। ক্যাব নেতৃবৃন্দকে ভোক্তা অধিকার বিষয়ে আরও প্রশিক্ষন দিয়ে যোগ্য হিসাবে গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলা হয়, ভোক্তা ও চ্যারিটির মধ্যে পার্থক্য অনুধাবন করতে না পারলে মানুষের অধিকারের পক্ষে লড়াই করা যাবে না। সমাজে সমাজ কর্মী বা দান খয়রাত করেন এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু কোন মানুষের অধিকার লংগন হলে এগিয়ে আসেন এরকম লোকের সংখ্যা ক্রমাগতই কমছে। সমাজে অনেক ভালো মানুষ আছে, যারা “সাপকেও লম্বা বলেন না” আবার “ব্যাঙকেও ছোট বলেন না”। আর এ সমস্ত লোকজনকে দিয়ে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই কনজিউমারিজম বিষয়ে ক্যাব নেতাদের আরও দক্ষ করার বিকল্প নাই। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্যাবকে শক্তিশালী করতে সরকারের পৃষ্ঠাপোষকতা বাড়ানোর সুপারিশ করে বলা হয়, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি সরকারের নানা সুবিধা ও প্রণোদনা পেয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হলেও, সেখানে ক্যাব এখনও “নিজের খেয়ে বনের মোষ আর তাড়াচ্ছে”? সম্মেলনে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রায় ১৫০ জন ক্যাব নেতা/প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। কারা চাঁদা নেন, তাদের নাম প্রকাশের জন্য উপদেষ্টার প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রেসক্লাবের কর্ণফুলী হলে এ অনুষ্ঠান হয়।গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে অভিযোগ করেন। যদিও টাকার পরিমাণটি তিনি অনুমানের ভিত্তিতে বলেছেন বলে জানান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক-বর্তমান কোনো মেয়রের নাম উল্লেখ না করে তিনি ‘মেয়র কম, বন্দররক্ষক বেশি’ এমন মন্তব্যও করেন, যা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কিছু পত্রিকা লিখেছে, মেয়ররা নাকি চাঁদার ভাগ পেতেন। আমি তা দেখেই তাৎক্ষণিক উনাকে ফোন করি। তিনি বললেন- অতীতে যারা মেয়র ছিলেন তারা জড়িত ছিলেন। আমি বললাম- তাহলে নাম বলুন, কারা তারা?’অতীতে কারা চাঁদা নিতো, সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলে চট্টগ্রামে আসতে দেব না, এটা ফোনেই উনাকে বলেছি। আমি চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে সুনির্দিষ্ট নাম পেলে সেই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব। সেই সৎ সাহস আমার আছে।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি তো দূরের কথা, বন্দর নিয়ে আমি কখনো কাউকে ফোন বা তদবির করিনি। প্রতিদিন যদি দুই-আড়াই কোটি টাকা চাঁদা ওঠে, মাসে ৬০ কোটি, বছরে ৭২০ কোটি টাকা হয়। অথচ সিটি করপোরেশনকে ন্যায্য ২০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া হয় না। বন্দরের ভারী মালবাহী ট্রাক-ট্রেইলারের চাপ সড়কের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। আমার রাস্তাগুলো ৭-৮ টন বহনক্ষম। সেখানে ২০-৪০ টনের গাড়ি চলছে। প্রতি বছর ৪০০-৫০০ কোটি টাকা শুধু রাস্তায় খরচ করতে হয়। ন্যায্য ট্যাক্স না দিয়ে উলটো চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘সাংবাদিকতা হবে বস্তুনিষ্ঠ। যে সাংবাদিকতায় মানুষের চরিত্রহনন হয়, তার দায় সাংবাদিকদেরও নিতে হয়। প্রেসক্লাবের উচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে ও সদস্য গোলাম মওলা মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আমীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, এনসিপি নেত্রী সাগুফতা বুশরা মিশমা এবং প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি মনসুর, জ্যেষ্ঠ্য সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী, কাজী আবুল মনসুর, মুস্তফা নঈম, সালেহ নোমান, শেখর ত্রিপাঠি, জালাল উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, ফারুক আব্দুল্লাহ, ফারুক মুনির, মুজাহিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল পাশা, ফরিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, লতিফা আনসারি রুনা, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, ইবেন মীর, শরিফুল রুকন, মাহফুজুর রহমান, সরোজ আহমেদ, নুরুল আমিন মিন্টু, শাহাদাত হোসেন আবু সায়েম, জহুরুল আলম, আজিজা হক পায়েল, কিরণ শর্মা, আফসানা নুর নওশীন, অভীক ওসমান ও গিয়াস উদ্দিন বক্তব্য দেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি:
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাইফুল্লাহ চৌধুরী এ কমিটি ঘোষণা করেন।—

কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি মুস্তফা নঈম, সহ-সভাপতি ডেইজি মওদুদ, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ, অর্থ সম্পাদক আবুল হাসনাত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল খান, গ্রন্থাগার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক হাসান মুকুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক আবদুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কমিটিতে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সালেহ নোমান, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী এবং আরিচ আহমেদ শাহ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ