আজঃ শনিবার ১৪ জুন, ২০২৫

সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক  কেমন হবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদকঃ

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের

ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কে বিভিন্ন ইস্যুতে যখন টানাপোড়েন চলছে, ঠিক এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।  সব কিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতীয় কোনো সিনিয়র কর্মকর্তার প্রথম ঢাকা সফর।আর ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের এই সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

আজ সোমবার  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) যোগ দেবেন বিক্রম মিশ্রি।  গত বছর ২৪  নভেম্বর দিল্লিতে দুই দেশের মধ্যে এফওসি বৈঠক হয়েছিল।সেই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। তবে এক বছরের ব্যবধানে দুই দেশেরই পররাষ্ট্র সচিব পরিবর্তন হয়েছে।এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এফওসিতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।  আর ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন সেদেশের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

বাংলাদেশ -ভারত  এফওসিতে বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনায় উঠতে পারে।ভারতে বাংলাদেশ মিশনে নিরাপত্তা, সীমান্ত হত্যা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন,  নিত্যপণ্য আমদানি, ভিসা ইস্যু ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এছাড়াও  ভারতীয় গণমাধ্যম এখন বাংলাদেশ বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে, এবিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে।

ঢাকা-দিল্লির পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে কি কি বিষয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র  রফিকুল আলম বলেন, এফওসিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে যত উপাদান আছে সবগুলোই রাখার চেষ্টা করা হয়। আলোচ্যসূচি ঠিক করার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সম্মতিও লাগে। তবে সাধারণভাবে যেটা বলা যায়, বাণিজ্য আছে, কানেক্টিভিটি আছে, সীমান্ত আছে, পানি আছে। এ বিষয়গুলো আলোচনাতে থাকবে।

 

উল্লেখ্য অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম ভারতের কোনো শীর্ষ কূটনীতিক ঢাকায় আসছেন।  গত চার মাসে দুদেশের তিনটি টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক হয়েছে। তবে  উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এখনো হয়নি। এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন অনেকটা প্রশমিত হতে পারে বলে ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা  স্বাভাবিক  সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।  আর  এফওসি হবে সেদিকে এগোনোর প্রথম পদক্ষেপ। এফওসির মধ্যে দিয়ে  ঢাকা ও নয়াদিল্লি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে বাস্তবসম্মতভাবেই এগিয়ে যেতে পারে।

 সব ধরনের উসকানি নিরসন করে উত্তেজনা কমিয়ে এনে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য এবারের এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

এদিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এফওসি সম্পর্কে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে আলোচনা করবেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে ৬০ গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও আশপাশের অন্তত ৬০টি গ্রামের মানুষ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন শুক্রবার (৬ জুন)। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গ্রামগুলোতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট দরবার শরীফ ও গ্রামগুলোতে প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী মির্জাখীল দরবার শরীফ (সাতকানিয়া) ও জাহাঁগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ (চন্দনাইশ)–এর অনুসারীরা সৌদি আরবের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদসহ ইসলামি সব ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে আসছেন। এই ধারার প্রবর্তক ছিলেন সুফি সাধক মাওলানা মোখলেসুর রহমান (রহ.), যিনি প্রায় ২০০ বছর আগে এ রীতির প্রচলন করেন।দরবার শরীফের দায়িত্বশীলরা জানান, তাদের অনুসারীরা হানাফি মাযহাব অনুসরণ করেন এবং আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকেন।

চন্দনাইশ পৌরসভা ও উপজেলার বুলার তালুক, হরিনারপাড়া, জামিজুরি, কুন্দুপাড়া, মোহাম্মদপুর, সাতবাড়িয়া, বরকল, বাইনজুরি, ধোপাছড়ি, কাঞ্চননগর, জুনিঘোনা, কেশুয়া, শ্রীমাই, রুপকানিয়া, গুনাগরি, বারখাইন, তৈলারদ্বীপ, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, চুনতি, পুটিবিলা, ছৈয়দাবাদ, উত্তর হাশিমপুর, বড়হাতিয়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, পুরানগড়সহ প্রায় ৬০টি গ্রামে লক্ষাধিক অনুসারী শুক্রবার ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

এছাড়াও বোয়ালখালী, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের আলীকদম, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, খুলনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা মুরিদানরাও একই দিন ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।

ঈদের জামাতের সময়সূচি অনুযায়ী, চন্দনাইশের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের পীর সৈয়্যদ মো. আলীর ইমামতিতে সকাল ৭টায় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফে সকাল ৯টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সৈয়্যদ মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহমান শাহ জাহাঁগিরীর ইমামতিতে এবং সকাল সাড়ে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত পরিচালনা করবেন ড. সৈয়্যদ মাওলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান জাহাঁগিরী।

চট্টগ্রামগামী তূর্ণা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকলে যাত্রীদের দুর্ভোগ, পরে স্বাভাবিক।

চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সোমবার ভোররাতে কুমিল্লার লাকসাম-নাউটি সেকশনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। দীর্ঘ চার ঘণ্টা ট্রেনটি আটকে থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পরে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী লোকোশেড থেকে রিলিফ ইঞ্জিন এনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে ৭৪২ নম্বর তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাকসাম থেকে নাউটি সেকশনে পৌঁছালে ট্রেনের ৩০০০ সিরিজের ইঞ্জিনটি হঠাৎ বিকল হয়ে যায়। ফলে ট্রেনটি ওই সেকশনে দাঁড়িয়ে পড়ে এবং সড়কের অন্য ট্রেন চলাচলেও প্রভাব পড়ে।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী লোকোশেড থেকে একটি রিলিফ ইঞ্জিন পাঠানো হয়। ভোর ৭টা ৩০ মিনিটে বিকল্প ইঞ্জিনটি এসে সংযুক্ত করার পর ট্রেনটি নাউটি থেকে ছেড়ে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে নাঙ্গলকোট পৌঁছায়।

সেখানে সান্টিং প্রক্রিয়া (ইঞ্জিন পুনঃসংযুক্তি ও প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম) সম্পন্ন করে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছায়।

এ বিষয়ে লাকসাম স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং রিলিফ ইঞ্জিন পাঠিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইঞ্জিনটি পুরোনো হওয়ায় মাঝে মধ্যেই ত্রুটি দেখা দেয়। এই ধরণের ঘটনা রোধে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ