আজঃ শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বাংলাদেশী গবেষকরা পাচ্ছে অনুদান, দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে গবেষণা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ডাটা এবং এভিডেন্স টু এন্ড এক্সট্রিম পোভার্টি (ডিপ) দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে গবেষণায় আগ্রহীদের জন্য অনুদান প্রদান করবে। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড নামে এ তহবিল থেকে বাংলাদেশী গবেষকদের স্বল্প ও মাঝারি ধরনের আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সভাকক্ষে উদ্বোধনী কর্মশালার মাধ্যমে এ ফান্ডটির উদ্বোধন করেন চবি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। কর্মশালার শুরুতে ডিপ-এর কর্মকর্তা ও স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বাররা ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করেন। অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে প্রেজেন্টেশন দেন কনসালটেন্ট সোলায়মান মুহিত,
প্রিন্সিপাল ইকোনমিস্ট ওমার সালাম ও গ্লোবাল প্রজেক্ট ম্যানেজার জেমি উইলিয়াম। বক্তারা দারিদ্র্য দূরীকরণে গবেষণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। ঢাকার বাইরের গবেষকদের মাঝে ফান্ডটিকে পরিচিত করার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, শিক্ষকতা ও গবেষণা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আবশ্যকীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ দুইটি তাদের দায়িত্ব। অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টকে গবেষকদের জন্য এমন গবেষণা ফান্ডের উদ্যোগ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এমন উদ্যোগ আমাদের তরুণ শিক্ষক, পিএইচডি ও এমফিল গবেষক, ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আরও উদ্বুদ্ধ করবে। উপাচার্য অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টের সাথে একসাথে কাজ করার এটা মাত্র শুরু এবং আমরা সবসময় এমন উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবো মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। চবি উপ-উপাচার্য বলেন প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশের জন্য চালু করা হচ্ছে, যা স্থানীয় গবেষকদের দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়ক হবে। এ ফান্ডের মাধ্যমে নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় সহায়ক গবেষণা তৈরি করা, যা দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, এ ওয়ার্কশপে গবেষকদের গবেষণা বিষয়ে মতামত ও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গবেষণা প্রকল্পগুলোর জন্য তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য ডিপ-ইউনিভার্সিটি অব কর্নওয়েল, সাউদাম্পটন, কোপেনহেগেন এবং অক্সফোর্ড পলিসি ম্যানেজমেন্টের নেতৃত্বে ও বিশ্ব ব্যাংকের ডাটা ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের অংশিদারিত্বে একটি কনসোর্টিয়াম বা সংঘ। যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের অর্থায়নে কনসোর্টিয়ামটি পরিচালিত হচ্ছে। ডিপ বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রমাণ, বিশ্লেষণ ও সমাধান প্রদান করে থাকে। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশ-এর লক্ষ্য দারিদ্র্য দূরীকরণের বিষয়ে গবেষণায় বাংলাদেশী গবেষকদের উৎসাহিত করা, যা দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ে তথ্য ও উপাত্তের ঘাটতি দূর করবে এবং এ সকল তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহার করে দেশে নীতি নির্ধারকদের দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ক জাতীয় নীতি, কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা, যাতে একটি সমন্বিত ও কার্যকর উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করে মানুষের জীবনমান উন্নত করা যায়। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশ দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশ-এর স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন ড. জুলফিকার আলী, গবেষণা পরিচালক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন ড. ইমরান মতিন, নির্বাহী পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ড. সেলিম রায়হান, প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নির্বাহী পরিচালক, সানেম, ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান, রিসার্চ এন্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন বাংলাদেশ, ড. ফাহমিদা খাতুন, নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, ড. মুনিরা বেগম, অতিরিক্ত সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, প্রফেসর, ডেভলমেন্ট স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নেইল গান্ধি, এ্যাডভাইজার, এফ.সি.ডি.ও এবং নেত্রা পালানিস্বামী-সিনিয়র ইকোনমিস্ট, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক।
ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার জেমী উইলিয়ামস বলেন, আমরা তথ্য ও উপাত্তের স্বল্পতা দূর করে, দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য যাতে একটি কার্যকর জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়, সে ব্যাপারে নীতি নির্ধারকদের সহায়তা করতে চাই। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশী গবেষকদের সে সব বিষয়ে গবেষণায় উৎসাহিত করতে চাই, যা এর আগে গবেষণায় উঠে আসেনি।
আরও উল্লেখ্য, ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ডের জন্য চাইলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা একজন গবেষক বা সম্মিলিতভাবে কয়েকজন গবেষক আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের যোগ্যতার ভিত্তিতে ফান্ড প্রদান করা হবে। ডিপ চ্যালেঞ্জ ফান্ড বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, তানজানিয়া, ইথিওপিয়া, মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক এবং নাইজেরিয়াতে দারিদ্র্য দূরীকরণে স্থানীয় গবেষকদের সহায়তা দিবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চৌদ্দগ্রামে শিবির নেতা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাবেক শিবির সভাপতি সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারীর খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে করেছে ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার বিকেলে মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার প্রদক্ষিণ করে। এরআগে চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শিবিরের সভাপতি

মহিউদ্দিন রনির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ইব্রাহিম, নায়েবে আমীর কাজী এয়াছিন, সেক্রেটারী মোশারফ হোসেন ওপেল, শহীদ সাহাব উদ্দিনের পিতা জয়নাল পাটোয়ারী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি আবদুর রব ফারুকী, জেলা পূর্বের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম ফয়সাল, সাবেক সেক্রেটারী

ফরিদুজ্জামান রুবেল, অফিস সম্পাদক মোশারফ হোসাইন, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আল আমিন রাসেল, রবিউল হোসেন মিলন, মাঈন উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, জোবায়ের মাসুম, উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোজাম্মেল হক, জেলা শিবিরের সাবেক অফিস সম্পাদক রবিউল করিম মজুমদার শামীম, সাবেক সাহিত্য সম্পাদক বোরহান উদ্দিন। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পৌর এলাকার চান্দিশকরা গ্রামে নিজ বাড়িতে মায়ের সামনে থেকে উপজেলা শিবিরের সভাপতি সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। পরে ফ্যাসিস্ট মুজিবুল হকের নির্দেশে ও স্থানীয় আ’লীগ নেতাদের পরামর্শে পরদিন মহাসড়কের লালবাগ এলাকায় সাহাব উদ্দিন পাটোয়ারীর মাথায় গুলি করে হত্যা করে। আমরা এই সরকারের নিকট অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।

চট্টগ্রামে পাউবোর প্রকল্পে নিম্নমানের সরজ্ঞাম ব্যবহারের অভিযোগ

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর মেগা প্রকল্পে বেড়িবাঁধের ব্লক তৈরিতে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের বালি ও পাথর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তবে সেরকম হওয়ার কথা নয় বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। যদি অনিয়ম দেখা যায়, তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তারা। জানা যায়, ২০২১ সালের মে মাসে একনেক সভায় অনুমোদিত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পটিয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের আওতায় ১১৫৮ কোটি টাকা ও শ্রীমাই

খালে মাল্টিপারপাস হাইড্রোলিক ইলেভেটর ড্র্যাম নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৩৩ কোটি টাকাসহ মোট প্রায় ১৩শ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বারবার কাজের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য তাগিদ দিলেও ঠিকাদার ও পাউবো কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে লবণাক্ত বালি ও পাথর ব্যবহার করে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ব্লক তৈরির সময় পাউবোর কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে কাউকে দেখা যায়নি। গত ২৪ জানুয়ারি উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের বাইপাস

পয়েন্টে সরেজমিন পরিদর্শনকালে এমন চিত্রের দেখা মেলে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্লক তৈরির পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ১:২.৫:৫ মাত্রার ঢালাই টেন্ডারে থাকলেও বালি ও পাথরের পরিমাণ বেশি এবং সিমেন্টের পরিমাণ কম দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঢালাইয়ের পর কমপক্ষে ২১ দিন ব্লক ভিজিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। রোদ বেশি হলে এই সময়কাল আরও বৃদ্ধি পায়, কিন্তু তা অনুসরণ করা হচ্ছে না। সিডিউল অনুযায়ী, বালির এফএম কমপক্ষে ১.৫ হওয়া উচিত, কিন্তু তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে এফএম ১ থেকে .৮ সাইজের কাঁদাযুক্ত লবণাক্ত বালি।

ওই এলাকার বাসিন্দা মফিজুর রহমান বলেন,স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে দিয়ে বালি ও পাথর সরবরাহ করানোর কারণে ঠিকাদাররা ইচ্ছেমত লুটপাট করছে। কাজের গুণগত মান একেবারেই নিশ্চিত করা হচ্ছে না। অপর এক বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে সিন্ডিকেটের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন প্রকৌশলী পরস্পর যোগসাজশে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। পটিয়ায় পাউবোর প্রকল্পগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন,পাউবোর প্রকল্প মানেই যেন দুর্নীতির মহোৎসব।

বিগত বছরগুলোতে যারা লুটপাট করেছে, তাদের সহযোগীরাই এখনও একই কাজ করছে। তবে পাউবো চট্টগ্রাম পওর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ জানান, তারা পাথর,বালি, সিমেন্ট ইত্যাদি নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা করেছেন এবং প্রকল্প সাইট ও তৈরিকৃত ব্লক সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি করা হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকল্প পরিচালক খ.ম জুলফিকার তারেক বলেন, ‘আমার জানা মতে, এরকম হওয়ার কথা না। যদি অনিয়ম দেখা যায়,তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ